এইচএসসির ফলে বড় ধস, ৫ বছরে পাসের হার কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ

এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে বড় ধরনের ধস নেমেছে। গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। এবার ১২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে মাত্র ৭ লাখ ২৬ হাজার, ফলে সামগ্রিক পাসের হার নেমে এসেছে ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশে- যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। গত পাঁচ বছরে পাসের হার কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ।
পাঁচ বছরের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ধারাবাহিকভাবে কমছে। ২০২১ সালে পাসের হার ছিল ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ, ২০২২ সালে ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ২০২৩ সালে ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ২০২৪ সালে ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ, আর এবার ২০২৫ সালে এসে তা নেমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৭ দশমিক ১২ শতাংশে।
এবারের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে ভালো ফল করেছে সিলেট শিক্ষা বোর্ড। এ বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ৫৯ হাজার ২৩৯ জন, যার মধ্যে পাস করেছে ৩৭ হাজার ৬৬ জন। পাসের হার ৭১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। মেয়েদের পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ১১ শতাংশ, আর ছেলেদের ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ। বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা উভয় শাখাতেই সিলেট বোর্ডের শিক্ষার্থীরা তুলনামূলকভাবে ভালো করেছে। সবচেয়ে কম পাসের হার দেখা গেছে যশোর বোর্ডে। সেখানে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৯৯ হাজার ৫৭৬ জন, পাস করেছে ৪৮ হাজার ৬৫৭ জন। পাসের হার ৪৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন
বোর্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের দুর্বল পারফরম্যান্স এ বোর্ডের সামগ্রিক ফল নিচে নামিয়েছে।

এবার ঢাকা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল সবচেয়ে বেশি- এক লাখ ৩৬ হাজার ২১৩ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৮৩ হাজার ৯৮৮ জন, পাসের হার ৬১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ, মানবিকে ৫৪ দশমিক ১২, আর ব্যবসায় শিক্ষায় ৫৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
রাজশাহী বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল, ৬৩ হাজার ৩১৭ জন, পাস করেছে ৪৩ হাজার ৪৯৪ জন, পাসের হার ৬৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। মেয়েদের পাসের হার ৭২ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যা ছেলেদের (৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ) তুলনায় অনেক বেশি।
কুমিল্লা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ৪২ হাজার ৫২ জন, পাস করেছে ২৪ হাজার ১৭৫ জন, পাসের হার ৫৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে ভালো ফল হলেও মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় তুলনামূলক দুর্বল ফল দেখা গেছে।
শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ফল এমন হওয়ার পেছনে মূল কারণ হলো পূর্ণ সিলেবাসে ফেরা ও মূল্যায়নে কঠোরতা। করোনাকাল ও পরবর্তী বছরগুলোতে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ও নমনীয় মূল্যায়নের কারণে শিক্ষার্থীরা তুলনামূলক সহজভাবে ভালো ফল পেয়েছিল। কিন্তু এবার দীর্ঘ সময় পর সম্পূর্ণ সিলেবাসে পরীক্ষা ও কঠোর মানদণ্ডে মূল্যায়ন হওয়ায় ফলে বিপর্যয় ঘটেছে।
চট্টগ্রাম বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল, এক লাখ ১২ হাজার ৫৭৪ জন, পাস করেছে ৫৬ হাজার ৫০৯ জন, পাসের হার ৫০ দশমিক ২০ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৭৮ দশমিক ০২ শতাংশ হলেও মানবিক বিভাগে মাত্র ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ।
বরিশাল বোর্ডে ফলাফলের ভারসাম্য তুলনামূলক ভালো। মোট পরীক্ষার্থী ৫৬ হাজার ৩৫৪ জন, পাস করেছে ৩১ হাজার ৫৫৫ জন, পাসের হার ৫৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ। মানবিক বিভাগে পাসের হার সবচেয়ে বেশি, ৭০ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৬২ দশমিক ০৫ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৭৬ দশমিক ১২ শতাংশ, মানবিকে ৪৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

আরও পড়ুন
ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৫৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৭৬ দশমিক ৯০ শতাংশ হলেও মানবিক বিভাগে তা মাত্র ৪৫ দশমিক ৬৩ শতাংশে নেমে এসেছে।
অন্যদিকে, মাদ্রাসা বোর্ডে এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৪৫ হাজার ৬৮ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৩৩ হাজার ৫৪৪ জন। পাসের হার ৭৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। মেয়েদের পাসের হার ৭৮ দশমিক ০৭ শতাংশ, ছেলেদের ৭১ দশমিক ৩২ শতাংশ।
আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ৫ হাজার ৬১০ জন, পাস করেছে ৬২ হাজার ৪১৫ জন, পাসের হার ৫৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। মেয়েদের পাসের হার ৬২ দশমিক ৯৭ শতাংশ, ছেলেদের ৫৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
শিক্ষার্থীদের গ্রুপ ভিত্তিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার সবচেয়ে বেশি। যা ৭৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষায় পাসের হার ৫৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ, আর মানবিক, ইসলামিক স্টাডিজ ও সংগীত গ্রুপে সবচেয়ে কম- ৪৮ দশমিক ২৩ শতাংশ।

ছেলে-মেয়ের তুলনায় দেখা যায়, ছেলেরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৬ লাখ ৩৯ হাজার ৩৬৮ জন, মেয়েরা ৬ লাখ ৩০ হাজার ৯৮৯ জন। পাস করেছে, ছেলেদের মধ্যে ৩ লাখ ৯১ হাজার ৮৩৫ জন, মেয়েদের মধ্যে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৪ জন। শতাংশ হিসেবে ছেলেদের পাসের হার ৬১ দশমিক ২৯, মেয়েদের ৫৩ দশমিক ২০। তবে বিভিন্ন বোর্ডে দেখা গেছে, গড় নম্বরের বিচারে মেয়েদের ফলের মান ছেলেদের চেয়ে ভালো।
শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ফল এমন হওয়ার পেছনে মূল কারণ হলো পূর্ণ সিলেবাসে ফেরা ও মূল্যায়নে কঠোরতা। করোনাকাল ও পরবর্তী বছরগুলোতে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ও নমনীয় মূল্যায়নের কারণে শিক্ষার্থীরা তুলনামূলক সহজভাবে ভালো ফল পেয়েছিল। কিন্তু এবার দীর্ঘসময় পর সম্পূর্ণ সিলেবাসে পরীক্ষা ও কঠোর মানদণ্ডে মূল্যায়ন হওয়ায় ফলে বিপর্যয় ঘটেছে।
বিগত কয়েক বছর করোনাজনিত সংকট ও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হওয়ার ফলে পাসের হার অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছিল।
মূল্যায়নে কড়াকড়ি, তবে পরীক্ষায় কোনো অনিয়মের অভিযোগ নেই
এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সম্পূর্ণ সুষ্ঠু, নির্ভুল ও পূর্ণ সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির।
তিনি বলেন, এবারের পরীক্ষাটি যথাসময়ে, পূর্ণ সিলেবাস ও পূর্ণ নম্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি শিক্ষাব্যবস্থার স্বাভাবিক ধারায় ফেরার একটি বড় দৃষ্টান্ত।
এবার প্রশ্নপত্র পূর্ণ সিলেবাসের আলোকে প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষকদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে নির্ভুলতা নিশ্চিত করতে বোর্ডের উদ্যোগে বিশেষ প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজন করা হয়। মূল্যায়নের সময়সীমাও বাড়ানো হয়, যাতে কোনো ত্রুটি না থাকে। উত্তরপত্রের গোপনীয়তা রক্ষায়ও নেওয়া হয় কঠোর ব্যবস্থা- যেসব পরীক্ষক বা প্রধান পরীক্ষকের উত্তরপত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে মূল্যায়ন কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এ বছর থেকে পরীক্ষক, প্রধান পরীক্ষক ও নিরীক্ষকদের সম্মানিও বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরীক্ষার স্বচ্ছতা রক্ষায় এবার শুধুমাত্র হাওর, পার্বত্য ও দুর্গম অঞ্চল ছাড়া অন্য কোথাও ভেন্যু কেন্দ্র রাখা হয়নি। এতে প্রশ্নপত্র পরিবহন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা বজায় থাকে।

চেয়ারম্যান বলেন, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীরা তাদের নির্ধারিত আসনে বসেছে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে কেন্দ্র সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড পাঠানো হয়েছে। ফলে প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ ছিল না। আমরা চেষ্টা করেছি যাতে পরীক্ষার প্রতিটি ধাপ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও সততার সঙ্গে সম্পন্ন হয়।
ভুলত্রুটি ছাড়াই ফল প্রস্তুত হয়েছে, এটিই প্রকৃত অবস্থা
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জানিয়েছেন, দীর্ঘ প্রস্তুতি ও নিবিড় মূল্যায়নের পর ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যেন কোনো ভুল না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, এবার পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষকদের আমরা সময় বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। ফলে তারা খাতা মূল্যায়নের পর্যাপ্ত সময় পেয়েছেন এবং খুব মনোযোগসহকারে কাজ করেছেন। একইসঙ্গে প্রায় এক দশক পর এবারই প্রথম পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষকদের সম্মানী বোর্ডের নিজস্ব তহবিল থেকে বাড়ানো হয়েছে। আমরা এর জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি। ফলে পরীক্ষকদের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছিল।

খাতা মূল্যায়নে অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু অভিযোগ আমরা দেখেছি। তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় ১৪ জন শিক্ষক ও প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য তাদের বোর্ডের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি সবকিছু নির্ভুল রাখতে।
পড়ার টেবিলে ফিরতে হবে শিক্ষার্থীদের, বাড়াতে হবে পরিচর্যা
ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার মনে করেন, এ ফলাফলকে হতাশার চোখে দেখলে ভুল হবে।
তিনি বলেন, এটি কোনো ব্যর্থতা নয়। বরং এটাই শিক্ষার বাস্তব চিত্র- যেখানে মুখস্থ নির্ভরতা নয়, বোঝাপড়ার সক্ষমতা যাচাই করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, করোনার সময় ও পরবর্তী তিন বছর শিক্ষার্থীরা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে, নমনীয় মূল্যায়নের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এখন যখন পূর্ণ সিলেবাসে ফিরে আসা হলো, তখন তাদের মৌলিক জ্ঞান ও অধ্যয়ন অভ্যাসের ঘাটতি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবই পড়ার নিয়মিত অভ্যাস থেকে দূরে সরে গিয়েছিল। কোচিং, গাইডবই বা ভিডিও ক্লাসের ওপর নির্ভরতা বাড়ায় তাদের বিশ্লেষণী দক্ষতা কমেছে। এখন সময় এসেছে পড়ার টেবিলে ফিরে যাওয়ার, বইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার।

অধ্যাপক খোন্দকারের মতে, শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক ও অভিভাবকদের দায়িত্বও বেড়েছে।
তিনি বলেন, পরিচর্যা শুধু স্কুলে নয়, বাড়িতেও দরকার। শিক্ষককে শুধু পাঠদান নয়, শেখার কৌশলও শেখাতে হবে। অভিভাবককেও জানতে হবে সন্তান সত্যি সত্যি কতটা বোঝে, নাকি শুধু মুখস্থ করে যাচ্ছে। এই সামগ্রিক নজরদারিই মানোন্নয়নের মূল চাবিকাঠি।
তিনি আরও বলেন, মানবিক বিভাগে ফল সবচেয়ে খারাপ হওয়া নতুন কোনো বিষয় নয়, তবে এটি এখন উদ্বেগের জায়গা। মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্নে দুর্বল, কারণ তারা ধারনার বদলে মুখস্থের ওপর নির্ভরশীল। অথচ সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান- এসব বিষয়ে বোঝাপড়া ছাড়া ভালো ফল সম্ভব নয়। শিক্ষকদের এখানেই বেশি কাজ করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় এখন গভীর মানসিক পুনর্গঠন প্রয়োজন।
আরএইচটি/এমএসএ
