চলচ্চিত্র অনুদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দাবি

চলচ্চিত্রে রাষ্ট্রীয় অনুদানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পর্ষদ। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৬-১৯৭৭ অর্থবছর থেকে চলচ্চিত্রে অনুদান দেয়ার ব্যবস্থা করে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংসদকর্মীদের দাবির মুখে সরকার দেশীয় চলচ্চিত্রে শিল্পগুণসম্পন্ন নান্দনিক ও নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য এই অনুদান দেয়া শুরু করেছিল। শুরুতে অনুদানের অর্থেই নির্মিত হয়েছিল ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ বা ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’র মতো কালজয়ী চলচ্চিত্র।
তারা আরও বলেন, অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে শিল্পগুণধর্মী চলচ্চিত্রের এই ধারা বহমান থাকেনি। বিগত বছরগুলোতে অনুদান প্রদানের এই ব্যবস্থাটি ধীরে ধীরে বিতর্কিত হয়েছে এবং অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় অনুদানপ্রাপ্ত বিভিন্ন চলচ্চিত্রের মান ও গুণ উভয়ই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বিষয়টি বেশ কিছুদিন ধরেই আমাদের চলচ্চিত্র অঙ্গনে আলোচিত এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে বহু সেমিনার, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র সমালোচক ও লেখক এই বিষয়ে জাতীয় দৈনিকে কলাম ও নিবন্ধ লিখে তথ্য মন্ত্রণালয় তথা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের প্রয়াস করেছেন। কিন্তু আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো সাড়া পাইনি অথবা তথ্য মন্ত্রণালয়কে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখিনি।
তারা দাবি জানিয়ে বলেন, আমরা চাই চলচ্চিত্রে এই রাষ্ট্রীয় প্রণোদনাটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহি প্রক্রিয়ায় গতিশীল থাকুক। অনুদান কেবলমাত্র শিল্পগুণসম্পন্ন নান্দনিক ও নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্রের জন্য সংরক্ষিত থাকুক। চলচ্চিত্র অনুদান দেশের তরুণ চলচ্চিত্রকর্মীদের সৃষ্টিশীলতাকে ধারণ করুক। চলচ্চিত্র অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব, প্রশাসনিক তদবির বা অন্যান্য অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার অবসান হোক।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পর্ষদের জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক বেলায়াত হোসেন মামুন, ঢাকা বিভাগের আহ্বায়ক চলচ্চিত্র নির্মাতা নির্তেশ সি দত্ত, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পর্ষদের ঢাকা বিভাগের সদস্য সচিব আহমেদ হিমু, ঢাকা বিভাগীয় কমিটির সহ-সদস্য সচিব রুমকী রুসা, তানভীর আহমেদ প্রমুখ।
এইচএন/এইচকে