ভাবনার আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি কিনে নিলেন রাশেক রহমান

অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা সময় পেলেই ছবি আঁকেন। বিভিন্ন সময়ে ছবি আঁকার জন্য ভক্ত-শুভাকাঙ্খীদের কাছ থেকে অনেক ভালোবাসাও পেয়েছেন। বিশেষ করে করোনাকালে লকডাউনের সময়টায় ছবি এঁকে বেশ প্রশংসা কুড়ান তিনি।
তারই ধারাবাহিকতায় ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর একটি ছবি আঁকেন তিনি। ছবিটি ফেসবুকে প্রকাশের পর থেকে অনেকেই কেনার জন্য ভাবনার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে সেদিন সবার আগে ছবিটি কিনতে চেয়ে ভাবনাকে এসএমএস করেন আওয়ামী লীগ নেতা রাশেক রহমান। কিন্তু এতদিন দেশের বাইরে থাকায় ছবিটি ভাবনার কাছ থেকে নেওয়া হয়নি তার।
অবশেষ ১০ জানুয়ারি জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসেই ভাবনার কাছ থেকে ছবিটি বুঝে নিলেই রাশেক রহমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতির মূল্যবান ছবিটি আঁকতে পেরে ভাবনা যেমন আনন্দিত তেমনি কিনতে পেরে রাশেক রহমানও বেশ খুশি।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) নিজের ফেসবুকে ছবিটি বিক্রির খবর জানান ভাবনা নিজেই। ওই পোস্টে ভাবনা লিখেন, ছবিটা দিতে দেরি হয়ে গেলো। কিছুক্ষণ আগে ছিল ১০ জানুয়ারি। পাকিস্তানের বন্ধী কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে প্রিয় স্বদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কারাগারে থাকতে বারবার বলেছিলেন, 'আমাকে যদি তোমারা মেরেও ফেলো তবু আমার লাশটা প্রিয় বাংলাদেশের মাটিতে পৌঁছে দিও তোমরা।'
পরে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে অভিনেত্রী বলেন, ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের গত মৃত্যুবার্ষিকীতে ছবিটি এঁকেছিলাম। তখন অনেকেই ছবিটি কেনার জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সবার আগে এসএমএস করেছিলেন রাশেক রহমান ভাই। পরে মূল্যও নির্ধারিত হয়। কিন্তু এতদিন তিনি দেশের বাইরে থাকায় ছবিটি নিতে পারেননি। ফাইনালি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ছবিটি তার হাতে তুলে দিয়েছি। আমার আঁকা বঙ্গবন্ধুর প্রথম ছবি এটি। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে তাকে দিতে পেরে আনন্দটা ছিল দ্বিগুন।’
ছবিটি কত মূল্যে বিক্রি হয়েছে? জানতে চাইলে ভাবনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যেমন আমাদের কাছে অমূল্য তেমনি এই ছবিটি যে দামেই বিক্রি হোক না কেনও সেটিও অমূল্য। তাই দামের বিষয়টি কাউকে জানাতে চাচ্ছি না।’
বঙ্গবন্ধুর প্রতি একান্ত ভালোবাসা আর শ্রদ্ধাবোধের জায়গা থেকে ছবিটি এঁকেছেন বলেও জানান ভাবনা।
আরআইজে