উগ্রপন্থি ইহুদিদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি করতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সফরে গেছেন। গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলে এটি ব্লিঙ্কেনের চতুর্থ সফর।
আগের তিনবারের মতো এবারও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামনি নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্লিঙ্কেন। আর এ বৈঠকের পর একটি বিবৃতি দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘পশ্চিমতীরের সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ওপর যেসব উগ্রপন্থি ইহুদি অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছে তাদের অবশ্যই জবাবদিহিতার মুখোমুখি করতে হবে।‘
গতকাল পশ্চিমতীরের জেনিনে দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ৮ ও ১৫ বছর বয়সী দুই শিশু নিহত হয়। এরপরই এমন মন্তব্য করলেন মার্কিন মন্ত্রী।
হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ বাধার পর পশ্চিমতীরের সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা বাড়িয়ে দেয় অবৈধ বসতিস্থাপনকারী ইহুদিরা। এছাড়া ইসরায়েলি সেনারাও সেখানে প্রতিদিনই হামলা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন
গত ৭ অক্টোবর থেকে পশ্চিমতীরে ২৩৮ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। যার মধ্যে রয়েছে ৬৩ শিশু। এই ২৩৮ জনের মধ্যে ২২৯ জন ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে, আটজন উগ্রপন্থি ইহুদিদের হামলায় ও অপর একজন— সেনা ও উগ্রপন্থিদের যৌথ হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।
অপরদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আজ ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে বার্তা দিয়েছেন; যুদ্ধবিরতির পর যদি তারা গাজায় (দক্ষিণ দিকে) আবারও সামরিক হামলা শুরু করতে চায়; তাহলে তাদের কৌশলে পরিবর্তন আনতে হবে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে গাজায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু দেখতে চায় না।
যখন যুদ্ধ শুরু হয় তখন ইসরায়েলকে একতরফা সমর্থন দিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি গাজায় নির্বিঘ্নে হামলা চালাতে ইসরায়েলকে প্রায় প্রতিদিন অস্ত্র সরবরাহ করে গেছে মার্কিনিরা। তবে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর পর তারা তাদের অবস্থানে পরিবর্তন আনছে।
সূত্র: বিবিসি
এমটিআই