আমিরাতে বাংলাদেশিদের গোল্ডেন ভিসা দেওয়ার দাবিটি সঠিক নয়

বিভিন্ন ধরনের পেশাজীবীদের জন্য দীর্ঘদিন ধরে গোল্ডেন ভিসা চালু রেখেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। তবে এই গোল্ডেন ভিসা পাওয়ার জন্য কিছু শর্তও রয়েছে। দেশটিতে গোল্ডেন ভিসা পেতে সাধারণত সম্পদ কিংবা ব্যবসায় বিপুল বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। গত সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বাংলাদেশি ও ভারতীয়দের জন্য নতুন ধরনের গোল্ডেন ভিসা চালুর তথ্য জানানো হয়। তবে আমিরাতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত নতুন ধরনের গোল্ডেন ভিসা চালুর খবরটি সঠিক নয়।
আমিরাতের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, মেধাবী শিক্ষার্থী এবং বিশেষজ্ঞরা দেশটিতে শর্ত সাপেক্ষে গোল্ডেন ভিসা পেয়ে থাকেন। অতীতের মতো বর্তমানেও এই কর্মসূচি বহাল রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির কর সুবিধা, বিশ্বমানের অবকাঠামো এবং স্থিতিশীল পরিবেশের কারণে অনেকেই সেখানে বসবাস করতে আগ্রহী। যে কারণে অনেকেই সেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের শর্তে এই ভিসা পেয়ে থাকেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্পদশালী ব্যক্তিদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে ২০১৯ সালে গোল্ডেন ভিসা কর্মসূচি চালু করে আমিরাতের সরকার। ওই সময় দেশটির রিয়েল এস্টেট খাতে বিপুল বিনিয়োগকারীরা গোল্ডেন ভিসা পেতেন।
পরে ২০২২ সালে দেশটির ১০ বছরের ভিসার জন্য বিনিয়োগের ন্যূনতম সীমা কমিয়ে ২০ লাখ আমিরাতি দিরহাম (বাংলাদেশি প্রায় ৬৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা) নির্ধারণ করা হয়। যা আরও বড় পরিসরে বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে। দেশটিতে অভিবাসীরাও বিপুল বিনিয়োগের মাধ্যমে দুবাইয়ের গোল্ডেন ভিসা পেতে পারেন।
আমিরাতের ফেডারেল অথোরিটি ফর আইডেন্টিটি, সিটিজেনশিপ, কাস্টমস অ্যান্ড পোর্ট সিকিউরিটি (আইসিপি) বলেছে, শ্রেণি, শর্ত ও নিয়ম আইনি কাঠামো, প্রযোজ্য আইন ও মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গোল্ডেন ভিসা দেওয়া হয়ে থাকে। আর এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আইসিপির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট কিংবা স্মার্ট অ্যাপ্লিকেশনে পাওয়া যায়।
সূত্র: পিটিআই, এনডিটিভি।
এসএস