মাদ্রাসায় শিক্ষা নিচ্ছে আফগান মেয়েরা

ষষ্ঠ শ্রেণির পর আর পড়াশোনার সুযোগ না থাকায় শিক্ষার জন্য এখন মাদরাসাকে বেঁছে নিচ্ছে আফগানিস্তানের মেয়েরা। বার্তাসংস্থা এপির বরাতে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে আফগান সংবাদমাধ্যম খামা প্রেস।
তিন বছর আগে ষষ্ঠ শ্রেণির পর মেয়েদের স্কুলে লেখাপড়ায় নিষেধাজ্ঞা দেয় আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। অন্য কোনো উপায় না থাকায় দেশটির মেয়েরা এখন মাদরাসায় ঝুঁকছে। এছাড়া মাদরাসাগুলোও তাদের সুযোগ দিচ্ছে।
১৩ বছর বয়সী নাহিদা এপিকে বলেছে, “আমি স্কুলে যাওয়াকে প্রাধান্য দেই। কিন্তু আমার সুযোগ নেই। তাই আমি মাদরাসায় যাব।” নাহিদার ইচ্ছা ছিল চিকিৎসক হওয়ার। কিন্তু যেহেতু আর স্কুলে পড়াশোনা করতে পারবে না, তাই তার এ স্বপ্ন অসম্ভব হয়ে উঠছে। তার পরিকল্পনা আগামী বছর থেকে মাদরাসায় পড়াশোনা শুরু করবে।
মার্কিন সেনারা চলে যাওয়ার পর ২০২১ সালে আশরাফ গনির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এরপর তারা মেয়েদের পড়াশোনায় নিষেধাজ্ঞা দেয়।
রাজধানী কাবুলের তাসনিম নুসরাত ইসলামী বিজ্ঞান কেন্দ্রের পরিচালক জাহেদুর রহমান সাহেবি জানিয়েছেন, তার প্রতিষ্ঠানে ৪০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। যারমধ্যে ৯০ শতাংশই তিন থেকে ১৬ বছর বয়সী মেয়ে। তিনি বলেছেন, স্কুলে মেয়েদের পড়াশোনায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর তার এ প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। জাহেদুর জানিয়েছেন, তার প্রতিষ্ঠানে কোরআন, ইসলামি আইনশাস্ত্র, হাদিস এবং আরবি ভাষা শিক্ষা দেওয়া হয়।
এদিকে গতবছর তালেবান সরকারের শিক্ষা কর্মকর্তা কারামাতুল্লাহ আখুন্দজাদা জানিয়েছিলেন, শুধুমাত্র এক বছরে নতুন করে মাদরাসায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। এতে করে মাদরাসার শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০ লাখেরও বেশি ছাড়িয়েছে।
সূত্র: এপি
এমটিআই