আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠন হবে সেপ্টেম্বরে

চলতি বছর সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠন করা হবে। শুক্রবার মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) বরাত দিয়ে করা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
কাবুলে তালেবান বাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ নেতা এপিকে এ সম্পর্কে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। তাদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি অনুযায়ী, সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত আমরা (সরকার গঠন বিষয়ক) আনুষ্ঠানিক কোনো পদক্ষেপ নেব না।’
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলা করেছিল মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা নেটওয়ার্ক। সে সময় সেই সংগঠনের প্রধান ঘাঁটি ছিল তালেবানশাসিত আফগানিস্তানে।
এ ঘটনার জেরে ওই বছরই আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করে মার্কিন ও ন্যাটো সেনাবাহিনী। অভিযানে পতন হয়ে তালেবান সরকারের।
অভিযানের ১৮ বছর পর আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারে তালেবান নেতাদের সঙ্গে চুক্তি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই চুক্তি অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে দেশটি থেকে মার্কিন সেনাদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন জো বাইডেন। ২০২১ সালের জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার পর এপ্রিলে তিনি ঘোষণা করেন, চলতি বছর ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে, পরে এই সময়সীমাকে বাড়িয়ে ৩১ আগস্ট করা হয়।
এদিকে বাইডেন এই ঘোষণা দেওয়ার এক মাস পর, মে থেকে আফগানিস্তান দখলের অভিযান শুরু করে তালেবান বাহিনী এবং মাত্র আড়াই মাসে দেশের ৩৪ টি প্রদেশের ২৮ টি নিজেদের দখলে নেওয়ার পর ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুলও দখল করে নেয়।
কাবুল দখলের দিনই আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যান দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহও চলে যান আত্মগোপনে।
সম্ভব্য নতুন সরকারে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইতোমধ্যে আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন তালেবান তালেবান নেতারা।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আফগানিস্তানে আটকা পড়া সব মার্কিন নাগরিক দেশে ফেরার আগ পর্যন্ত সেখানে থাকবে মার্কিন সেনারা।
সূত্র : আল জাজিরা
এসএমডব্লিউ