আফগানিস্তানে ফের শুরু পোলিও টিকাদান কর্মসূচি

জাতিসংঘভিত্তিক দুই প্রতিষ্ঠান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ইউনিসেফের উদ্যোগে আফগানিস্তানে ফের শুরু হয়েছে শিশুদের পোলিও টিকা খাওয়ানোর কর্মসূচি। দেশটিতে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার এই কর্মসূচি পরিচালনায় সহায়তা করছে।
আফগানিস্তানে ডব্লিউএইচওর ইমার্জেন্সি অপারেশন শাখার সমন্বয়কারী নাইকওয়ালি শাহ মোমিম বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয়েছে শিশুদের পোলিও টিকা খাওয়ানো। তবে এই কর্মসূচি পরিচালনা করতে গিয়ে সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটির মুখোমুখি হতে হচ্ছে ডব্লিউএইচও ও ইউনিসেফের- তা হলো দক্ষ কর্মীর অভাব।
মোমিম জানিয়েছেন, এই কর্মসূচির আওতায় ৩০ লাখ আফগান শিশুকে পোলিও টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত এলাকাসমূহে যেন টিকাকর্মীরা পৌঁছাতে সহযোগিতা করছে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার।
এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচওর পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক আহমেদ আল মান্ধারি বলেন, ‘দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে পুরোদমে চালু করা এবং প্রতিরোধযোগ্য সব অসুখ নিরাময়ে টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনায় ডব্লিউএইচও ও ইউনিসেফকে পূর্ণ সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তালেবান কর্তৃপক্ষ।’
তবে রয়টার্সকে মমিম বলেছেন, রাজধানী কাবুল ও তার আশপাশের এলাকায় তেমন কোনো সমস্যা নেই, তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনার জন্য আরও অধিক সংখ্যক প্রশিক্ষিত কর্মী প্রয়োজন।
পোলিও একপ্রকার পানিবাহিত রোগ। অত্যন্ত সংক্রামক ও নিরাময়অযোগ্য এ রোগে কোনো শিশু আক্রান্ত হলে তার চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে।
দশকের পর দশক ধরে টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনার ফলে বিশ্বের প্রায় সব দেশ থেকে পোলিও নির্মূল হলেও আফগানিস্তান ও তার প্রতিবেশী পাকিস্তানে এখনও শিশুরা আক্রান্ত হয় এই রোগে।
অবশ্য এই দুই দেশে পোলিও টিকাদান কর্মসূচীও ঠিকমতো পরিচালিত হয়নি কখনও। নিরাপত্তাহীনতা, যাতায়াত পথের দুর্গমতা, ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি ও যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে আফগানিস্তানে ও পাকিস্তানের কিছু অংশে বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে জাতীয় পোলিও টিকাদান কর্মসূচি।
চলতি বছরই আফাগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে বেশ কয়েকজন পোলিও টিকাদান কর্মী বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন। অবশ্য এটি এখনও পরিষ্কার নয় যে কারা এসব হামলা ঘটিয়েছিল।
এসএমডব্লিউ