জামিন মেলেনি, কারাগারে যেসব সুবিধা পাচ্ছেন আমান

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অথবা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেওয়াসহ জেলকোড অনুযায়ী ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে তাকে।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ আবুল কাশেমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। এসময় আমানের অসুস্থতার বিষয়টি তুলে ধরে আইনজীবীরা তার জামিন চাওয়ার পাশাপাশি তাকে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন।
এছাড়া জেলকোড অনুযায়ী প্রথম শ্রেণির ডিভিশন দেওয়া জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল/বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে সুচিকিৎসা দেওয়ার আবেদন করেন।
শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে অন্যান্য অবেদন মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তার আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন : বিএনপি নেতা আমান কারাগারে
দুদকের মামলায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে ঘোষিত রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটের দিকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।

এদিকে, সকাল থেকেই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের খণ্ড খণ্ড মিছিল দেখা যায়। অন্যদিকে, বিএনপি নেতা-কর্মীরা আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের বের করে দেয় পুলিশ। মূলত, আমান উল্লাহ আমানের সঙ্গে আদালত প্রাঙ্গণে আসেন তারা।
গত ৭ আগস্ট দুর্নীতির মামলায় আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী সাবেরা আমানের তিন বছরের দণ্ডের রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতে রায় পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
গত ৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণের পর আমানের স্ত্রী সাবেরা আমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গত ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন।
২০১০ সালের ১৬ আগস্ট সেই আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে ওই রায় বাতিল করে হাইকোর্টকে মামলাটির আপিল পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
এনআর/এসএম