হাসিনা-রেহানাসহ ১৭ আসামির রায়ে অসন্তোষ দুদকের আইনজীবীদের

ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ নেওয়ায় দুদকের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বোন শেখ রেহানা, ভাগনি টিউলিপসহ ১৭ আসামির রায়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবীরা। সর্বোচ্চ সাজার প্রত্যাশা ছিল তাদের।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুদকের পিপি মঈনুল হাসান বলেন, এ মামলায় সব ধরনের সাক্ষ্য-প্রমাণ আমরা দাখিল করেছি। সাক্ষীদের জবানবন্দিসহ যুক্তি উপস্থাপনে এসব প্রমাণে সক্ষম হয়েছি। আইনানুযায়ী আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন প্রত্যাশা ছিল আমাদের। কিন্তু আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারিনি। তাই কমিশনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিন দুপুরে এ মামলায় আসামিদের পৃথক দণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম। এর মধ্যে শেখ হাসিনার পাঁচ, শেখ রেহানার সাত ও টিউলিপের দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। বাকি ১৪ আসামিকে দেওয়া হয় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড। একই সঙ্গে, প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্র জানায়, শেখ রেহানার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন।
তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। গত ৩১ জুলাই একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালে ৩২ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।
এমআরআর/এমজে