এমপি পাপুল ও পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পেছাল

মানবপাচারের দায়ে কুয়েতের আদালতে কারাদণ্ড পাওয়া লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে করা মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় পিছিয়েছে। এ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ১০ মার্চ।
আজ (রোববার) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী নতুন দিন ধার্য করেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম, ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন, পাপুলের ব্যক্তিগত কর্মচারী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির, জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা, জেসমিন প্রধানের মালিকানাধীন কোম্পানি জেডাব্লিউ লীলাবালী ও কাজী বদরুল আলম লিটন। এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
গেল বছরের ২২ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার (অর্গানাইজড ক্রাইম) আলামিন বাদী হয়ে কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুল, তার শ্যালিকা ও মেয়েসহ আটজনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা মানবপাচারকারী চক্র। তারা বিভিন্ন সময় ৩৮ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ টাকা অবৈধভাবে আয় করেছেন। যার সঙ্গে পাপুল ও তার মেয়ের প্রতিষ্ঠান জড়িত।
২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে এমপি হন শহিদুল ইসলাম পাপুল। এমপি হওয়ার পর স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের কোটায় স্ত্রীকেও এমপি করে আনেন তিনি।
মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগে ২০২০ সালের ৬ জুন কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে পাপুলকে গ্রেপ্তার করে সেদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর সদস্যরা। এসব অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এ বছরের ২৮ জানুয়ারি তার চার বছরের সাজা হয়েছে। বাংলাদেশের কোন এমপির বিরুদ্ধে এই প্রথম বিদেশে সাজা হওয়ার ঘটনা ঘটলো।
টিএইচ/এনএফ