ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের গঠনতন্ত্র-অডিট রিপোর্ট হাইকোর্টে তলব

ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের গঠনতন্ত্র-কমিটি-অডিট রিপোর্ট তলব করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবারের (২ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে তা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. কামরুল ইসলাম ও মুনমুন নাহার। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান ও শাহীন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, সোমবার কোর্টে ক্যাসিনোকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সেক্রেটারি জয় গোপাল সরকারের ছয় মামলার আবেদনের ওপর শুনানি হয়েছে। শুনানিতে আসামিপক্ষের কাছে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের গঠনতন্ত্র, কমিটি ও অডিট রিপোর্ট চেয়েছেন। মঙ্গলবারের মধ্যে এসব তাদের (আসামিপক্ষ) আদালতে দাখিল করতে হবে। একইসঙ্গে আগামীকাল এ বিষয়েও শুনানি হবে।
জয় গোপাল ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের একজন ফুটবলার ছিলেন। অবসরে গিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, পরে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক হন। তার হাত ধরেই গেন্ডারিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত হওয়ার কথা জানায় সিআইডি।
গত বছরের ১৩ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের একটি ভবন থেকে এক সহযোগীসহ দুই ভাই এনু ও রুপনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। এরপর গেন্ডারিয়া থানায় মানিলন্ডারিং আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে জয় গোপালের নাম উঠে এলে সিআইডি তাকে ১৩ জুলাই লালবাগ থেকে গ্রেপ্তার করে।
পরদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এমএইচডি/জেডএস