শিশু হত্যার আসামির জামিনে আপস : বাদী বাবাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ

সিলেটের বিয়ানীবাজারের এক শিশু হত্যা মামলায় আপস করে আসামির জামিন আবেদন করার ঘটনায় মামলার বাদী শিশুর বাবাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) শিশুর বাবা খছরু মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে গ্রেপ্তার করতে বলেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) এ মামলার এক আসামির জামিন আবেদনের শুনানিতে নিয়ে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ সময় তার জামিন আবেদনটিও সরাসরি খারিজ করে দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী আল আমীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান খান শাহীন।
আইনজীবী ড. বশির উল্লাহ বলেন, সিলেটের বিয়ানীবাজর থানার উত্তর আকাখাজনা গ্রামে সুরমা বেগমের (৩৮) সঙ্গে তার দেবর নাহিদ ইসলাম ইব্রাহিমের (২৬) পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। তাদের অপকর্মের ঘটনাটি সোহেল আহমেদ ওরফে সোহেল (৪) শিশুটি দেখে ফেলে। ঘটনাটি দেখে ফেলায় তারা শিশুটিকে হত্যা করে লাশটি কম্বল দিয়ে পেঁচিয়ে গোসলখানায় ড্রামের মধ্যে ভরে রাখেন। পরবর্তী পর্যায়ে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনাটার পরিপ্রেক্ষিতে শিশুটির বাবা বিয়ানীবাজার থানায় একটি মামলা করেন।
তিনি বলেন, এই মামলায় সুরমা বেগম ও নাহিদ ইসলাম ইব্রাহীম গ্রেপ্তার হন। এর মধ্যে নাহিদ ইসলাম নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করেন। এ সময় মামলার বাদী শিশুটির বাবা একটি আবেদন দেন এই মর্মে, তাকে জামিন দিলে তাদের আপত্তি নেই। এরপরও নিম্ন আদালত নাহিদ ইসলামকে জামিন দেননি। সেখানে জামিন না পেয়ে নাহিদ ইসলাম হাইকোর্টে আবেদন করেন। তার আবেদনের শুনানির সময় বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি দেখে ক্ষুব্ধ হন। যেখানে আসামি নাহিদ ইসলাম ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে আসামিকে বাঁচানোর জন্য শিশুর বাবা মামলার বাদী অগ্রগামী হয়েছেন।
এ কারণে আদালত তার জামিন আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়ে বিয়ানীবাজার থানাকে মামলার বাদী শিশুর বাবা খসরু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ধারায় মামলা করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এমএইচডি/এফআর