ছয় বছরে কেরোসিন বাদ দিয়েছে ৩৮.১ শতাংশ খানা

গত ছয় বছরে দুর্যোগপ্রবণ এলাকা থেকে ৩৮.১ শতাংশ খানা কেরোসিন ব্যবহার বাদ দিয়েছে। কারণ গত ছয় বছরের দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় বিদ্যুতের ব্যবহারের ব্যাপক পরিধি বেড়েছে। যার ফলে কেরোসিন ব্যবহার কমে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪.০৬ শতাংশ। গত ছয় বছরে এই হার বেড়েছে প্রায় ৩৪.০৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ ডিজাস্টার-রিলেটেড স্ট্যাটাসটিক (বিডিআরএস)-২০২১’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বিবিএস-এর প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি তৈরিতে দেশের ৬৪ জেলার ৪ হাজার ২৪০টি মৌজার মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০টি খানা থেকে দীর্ঘ প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। বিবিএস খানাভিত্তিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিষয়ক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে রিপোর্ট প্রণয়নের কাজ করছে।
বিডিআরএস-২০২১ প্রতিবেদনে আলোর উৎসের বিষয়ে জানা যায়, বিডিআরএস-২০২১ জরিপে দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় ৯৪.০৬ শতাংশ খানার আলোর উৎস বিদ্যুৎ। এছাড়া, সৌরশক্তি ব্যবহার করে ৪.০১ শতাংশ খানা, কেরোসিন ও অন্যান্য ব্যবহার করে ১.৯২ শতাংশ খানা।
অন্যদিকে বিডিআরএস-২০১৫ জরিপে দুর্যোগ প্রবণ এলাকার খানার আলোর উৎস হিসেবে বিদ্যুৎ ও সৌরশক্তি ব্যবহার হতো ৫৯.৯৮ শতাংশ, কেরোসিন ও অন্যান্য ব্যবহার করতো ৪০.০২ শতাংশ খানা।
বিডিআরএস-২০২১ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দুর্যোগ প্রবণ এলাকার খানার মোট পাকা পায়খানা (ওয়াটার সিল ও সিল বিহীন) ৫২.৪৩ শতাংশ, কাঁচা পায়খানা ৪৫.৪৮ শতাংশ এবং খোলা জায়গায় পায়খানার হার ২.০৯ শতাংশ চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদিকে বিডিআরএস-২০১৫ সালের জরিপে দুর্যোগ প্রবণ এলাকার খানার মোট পাকা পায়খানা (ওয়াটার সিল ও সিল বিহীন) ছিল ৪৯.৯০ শতাংশ, কাঁচা পায়খানা ছিল ৪৬.৫৬ শতাংশ এবং খোলা জায়গায় পায়খানা করতো ৩.৫৪ শতাংশ মানুষ।
এসআর/এনএফ