আশুলিয়ায় নারীকে কুপিয়ে হত্যা : মিরপুরে গ্রেপ্তার সাবেক স্বামী

ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে গামেন্টসকর্মী কুইন আক্তার হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবুল হোসেন মন্ডলকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাতে র্যাব-৪ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর মিরপুর-১ কোটবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার বাবুল হোসেন মন্ডলের গ্রামে বাড়ি নওগাঁয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক এএসপি মাজহারুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বাবুল হোসেনের সঙ্গে ২০০৮ সালে মৃত কুইন আক্তারের বিয়ে হয় এবং বৈবাহিক জীবনে তাদের ১০ বছরের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।
গত ২০১৪ সালে তারা স্বামী-স্ত্রী উভয়ই জীবিকার তাগিদে ঢাকায় আসে এবং ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় একই গার্মেন্টসে চাকরি শুরু করে। প্রায় দুই বছর পর তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহের কারণে উভয়ই আলাদাভাবে বসবাস করতো।
এক পর্যায়ে আসামি বাবুল হোসেন অন্য এক গার্মেন্টসকর্মীর সঙ্গে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিষয়টি জানতে পেরে কুইন আক্তার তার স্বামী বাবুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
বাবুল হোসেন দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে প্রায় চার বছর সংসার করার পরও পুনরায় প্রথম স্ত্রী কুইনের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে, কিন্তু সাড়া না দেওয়ায় বাবুল প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আসামি ভিকটিম কুইন আক্তারকে হত্যার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে এবং ঘটনার দিন গত ১৯ এপ্রিল সকাল ৭টায় প্রতিদিনের মতো কুইন আক্তার তার কর্মস্থলে যাওয়ার পথে আশুলিয়া থানাধীন জামগড়া এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে হত্যার উদ্দেশ্যে চাকু দিয়ে বুকে ও পেটে জখম করে পালিয়ে যায় বাবুল।
নিহতের বাবা বাবুল হোসেনের নামে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে র্যাব-৪ আসামি গ্রেপ্তারে ছায়া তদন্ত শুরু করে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় বাবুল হোসেন মিরপুর এলাকায় অবস্থান করছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি দল অভিযান পরিচালনা করে বাবুল হোসেন মন্ডলকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার বাবুল সাবেক স্ত্রী কুইন আক্তারকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
জেইউ/জেডএস