মুভমেন্ট পাসের ওয়েবসাইটে ২৩ কোটি হিট
সরকারের জারি করা কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে যাদের একান্তই বাইরে যাওয়া প্রয়োজন তাদের জন্য মুভমেন্ট পাসের ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ পুলিশ। উদ্বোধনের দিন থেকে ব্যাপক চাহিদা থাকায় এ পাস ইস্যু করতে হিমশিম খায় তারা। এখন পর্যন্ত মোট ২২ কোটি ৭৫ লাখ ২৮ হাজার ৩৬৫ নাগরিক পুলিশের মুভমেন্ট পাস নেওয়ার জন্য ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন।
পুলিশ সদর দফতরের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর আগে চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল থেকে মুভমেন্ট পাস দেওয়া শুরু করে পুলিশ।
পুলিশ সদর দফতর জানায়, ১৪ এপ্রিল থেকে ৭ মে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মুভমেন্ট পাসের ওয়েবসাইটে ২২ কোটি ৭৫ লাখ ২৮ হাজার ৩৬৫টি হিট হয়েছে। পাসের জন্য সঠিকভাবে রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১২ লাখ ৮২ হাজার ৫৪৮ জন। ১২ লাখ রেজিস্টার্ড নাগরিক ২০ লাখ ৩৩ হাজার ১৩৩টি পাস পেয়েছেন (অনেকেই একাধিক পাসের আবেদন করেন)।
গত ১৩ এপ্রিল সকালে মুভমেন্ট পাসের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। উদ্বোধনের পরপরই পুলিশের movementpass.police.gov.bd ওয়েবসাইটটিতে ঢুকতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বারবার চেষ্টা করেও সেখানে ঢোকা যায়নি। আবার ঢুকতে পারলেও ‘৫০৪- গেটওয়ে টাইম-আউট’ বার্তা দেখানো হয়েছে। পরে অবশ্য মুভমেন্ট পাসের ওয়েবসাইটের সক্ষমতা বাড়ায় পুলিশ সদর দফতর।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, মুভমেন্ট পাসের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সাধারণ মানুষের মধ্যে এটি সংগ্রহের আগ্রহ দেখা দেয়। ১৮ পেশার নাগরিক ছাড়া অন্যরা উৎসাহের সঙ্গে এ পাস সংগ্রহ করেন।
পাসের প্রয়োজন নেই— এমন ১৮ পেশায় কর্মরতরা হচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল স্টাফ, কোভিড- ১৯ টিকা/চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/স্টাফ, ব্যাংকার, ব্যাংকের অন্যান্য স্টাফ, সাংবাদিক, গণমাধ্যমের ক্যামেরাম্যান, টেলিফোন/ইন্টারনেট সেবাকর্মী, বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী, জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা/কর্মচারী, অফিসগামী সরকারি কর্মকর্তা, শিল্পকারখানা/গার্মেন্টস উৎপাদনে জড়িত কর্মী/কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ফায়ার সার্ভিস, ডাকসেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/কর্মকর্তা ও বন্দর-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/কর্মকর্তা।
এআর/এমএআর