বিদ্যুৎ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা

অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন ও চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে আন্দোলন করছেন সারাদেশের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) কর্মীরা। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টার কাছে গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি দেন পবিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে মোট ৩০ হাজার ১৭৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বাক্ষর করেছেন।
বিদ্যুৎ উপদেষ্টাকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত বছরের জানুয়ারি থেকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতি, দ্বৈতনীতি, শোষণ, বৈষম্য, নিপীড়ন ও অনিয়মের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে স্মারকলিপি প্রেরণ, গণস্বাক্ষর গ্রহণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও গ্রাহক সেবা চালু রেখে কর্মবিরতি সহ শান্তিপূর্ণ নানান কর্মসূচি পালন করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর আরইবি কর্তৃক নিম্নমানের মালামাল ক্রয়ের কারণে সৃষ্ট গ্রাহক ভোগান্তি এবং আরইবির বিগত সময়ের বিভিন্ন ধরণের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সারা দেশে একযোগে মানববন্ধন এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
এতে আরও বলা হয়, মাঠ পর্যায়ে কোনো ধরনের কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও আরইবি গতবছরের ১৬ অক্টোবর সমিতির ১০ জন কর্মকর্তাকে কোনো পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত এবং রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়। পরের দিন ১৭ অক্টোবর সকাল থেকে বিভিন্ন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক ধড়পাকড় ও বেধড়ক মারধরসহ আরও ১৪ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত এবং ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে দেওয়া হয়। পৃথক তিন মামলায় মোট ১৭১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, প্রায় ২০ জন কর্মকর্তাকে কারাবন্দি, স্ট্যান্ড রিলিজ ও ওএসডি করা হয় আরও প্রায় অর্ধশতাধিক।
এদিকে, সারাদেশের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিগত সরকারের আমল থেকে আন্দোলন শুরু করলেও অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর গত বছরের অক্টোবরে চরম আকার ধারণ করে। এসময় আরইবি এলাকায় বিদ্যুৎ শাটডাউনের মতো ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামলাতে কঠোর অবস্থানে যায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত, তাৎক্ষণিক বদলি ও মামলা করা হয়। শেষ পর্যন্ত সমস্যা সমাধানে সরকার পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।
জেডএস