রাজনৈতিক মতাদর্শ যাচাই বন্ধের সুপারিশ

বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি চাকরি প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে পুলিশ সংস্কার কমিশন।সুপারিশে চাকরিপ্রার্থীর রাজনৈতিক মতাদর্শ যাচাই-বাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা রহিত করাসহ এ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট বিধিমালা সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জমা দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে ৬টি সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদেন প্রকাশ করা হয়।
কমিশনের প্রতিবেদনের উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ কর্তৃক সম্পাদন করা হয়ে থাকে। পুলিশ ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে চাকরিপ্রার্থীরা অহেতুক বিড়ম্বনার স্বীকার হন।
এছাড়া স্থায়ী ঠিকানা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে অনেক চাকরিপ্রার্থী চাকরির উপযুক্ততা প্রমাণে জটিলতার সম্মুখীন হয়। এছাড়া পুলিশ কর্তৃক চাকরিপ্রার্থী অধ্যায়ন করা একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই-বাছাই করাও দীর্ঘসূত্রিতার একটি অন্যতম কারণ এবং পুলিশের জন্য সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
আরও পড়ুন
চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন সহজে সুপারিশ
১. জাতীয় পরিচয়পত্র ধারী চাকরিপ্রার্থীদের স্থায়ী ঠিকানা অনুসন্ধানের বাধ্যবাধকতা রহিত করা যেতে পারে।
২. চাকরি প্রার্থীর বিভিন্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা/শিক্ষা সনদপত্র/ট্রান্সক্রিপ্ট/মার্কশিট ইত্যাদি যাচাই-বাছাই করার দায়-দায়িত্ব নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তাবে। এগুলো পুলিশ ভেরিফিকেশনের অংশ হবে না।
৩. পুলিশ ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীর রাজনৈতিক মতাদর্শ যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজনীয়তা রহিত করাসহ এ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট বিধিমালা সংস্কার করা যেতে পারে। তবে চাকরিপ্রার্থী বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা সংক্রান্ত কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত কিনা, তা ভেরিফিকেশন রিপোর্টে প্রতিফলিত হবে।
৪. চাকরির জন্য সব পুলিশ ভেরিফিকেশন সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে সমাপ্ত করতে হবে এবং অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ ১৫ দিন পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
জেইউ/এসএম