বোর্ডের সুপারিশে রাষ্ট্রপতি সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ক্ষমা করবেন

ক্ষমা প্রদর্শন আইন নামে একটি আইন প্রণয়ন করা হবে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতাসহ অন্যান্য সব নির্বাহী ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা এই আইনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হবে। ক্ষমা প্রদর্শন আইনের মাধ্যমে একটি ক্ষমা প্রদর্শন বোর্ড গঠিত হবে। অ্যাটর্নি জেনারেলের নেতৃত্বে এই বোর্ডে আরও ৫ জন থাকবেন।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দেওয়া বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা গঠিত ক্ষমা প্রদর্শন বোর্ডের সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করবে।
ক্ষমা প্রদর্শন বোর্ড বছরে ন্যূনতম দুই বার, জানুয়ারি ও জুলাই মাসে সভায় মিলিত হবে। সরকার বোর্ডের সভা অনুসারে সদস্যদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা করবে।
আগ্রহী দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি নির্ধারিত ফরমে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবরে ক্ষমা প্রদর্শনের আবেদন করবেন। সব আবেদন যাচাই-বাছাই করে অ্যাটর্নি জেনারেল ক্ষমা প্রদর্শন বোর্ডের সভা আহ্বান করবেন। ক্ষমা প্রাপ্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণে বোর্ড একমত না হতে পারলে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। গৃহীত সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতি বা সংশ্লিষ্ট নির্বাহী দপ্তরকে অবহিত করা হবে।
বোর্ডের গৃহীত সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি বা সংশ্লিষ্ট নির্বাহী বিভাগ ক্ষমা প্রদর্শন করবে।
আরও পড়ুন
সুপারিশ প্রদানের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নীতি ক্ষমা প্রদর্শনের সুপারিশ প্রদানের ক্ষেত্রে বোর্ড নিম্নবর্ণিত নীতিমালা অনুসরণ করবে:
১. অনুকম্পা প্রদর্শন একটি বিশেষ সাংবিধানিক ক্ষমতা তাই অত্যন্ত বিরল এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রেই এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে
২. অপরাধের মাত্রা ও ধরন;
৩. ভুক্তভোগী এবং সার্বিকভাবে সমাজের ওপর সংশ্লিষ্ট অপরাধের প্রভাব
৪. দণ্ড প্রদানের পরে অপরাধীর আচরণ আমলে নিতে হবে
৫. অপরাধী আদালতে দোষ স্বীকার করেছে কিনা দেখতে হবে
৬. অপরাধী তার অপরাধের জন্য অনুতপ্ত কি না জানতে হবে (আচার আচরণ থেকে)
৭. যেখানে শান্তি হিসেবে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে সেখানে অপরাধী কারাদণ্ডের কতটুকু খেটেছে এবং কতটুকু বাকি রয়েছে
৮. অপরাধীর বয়স এবং সার্বিক বিবেচনায় তার সম্ভাব্য আয়ুষ্কাল
৯. অপরাধী শারীরিক বা মানসিক রোগাক্রান্ত হলে তার ধরন
১০. জনমত
১১. ক্ষমা প্রদর্শন করা হলে বা না করা হলে তার কারণ জানাতে হবে
এমএইচডি/এসএম