দ্রুত নিয়োগের দাবিতে শাহবাগে এনটিআরসিএ’র নিবন্ধিত শিক্ষকরা

শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ১ম-৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদে স্বচ্ছ নিয়োগ দেওয়া হয়নি—এমন অভিযোগ তুলে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন এনটিআরসির নিবন্ধিত নিয়োগ প্রত্যাশী শিক্ষকরা।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে থানা পর্যন্ত ব্যানার ফ্যাস্টুন নিয়ে অবস্থান নেন তারা।
এসময় উপস্থিত নিয়োগ প্রত্যাশীদের ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘আমাদের সংগ্রাম, চলছেই চলবে’, ‘দাবি আদায় না হলে, ফিরবো না ঘরেতে’, ‘আবু সাঈদের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, নিয়োগযোগ্য নিবন্ধিত শিক্ষকদের দিয়ে শূন্যপদ পূরণ না করে, নতুন করে প্রার্থী খোঁজা হচ্ছে। এটি হতে পারে না। আগে যোগ্যদের নিয়োগ দিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত নিবন্ধিত শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা জায়গা ছাড়বো না।
আরও পড়ুন
এনটিআরসিএ সিস্টেম দুর্নীতি করছে। ইনডেক্সধারীদের সুযোগ দিয়ে কৃত্রিম শিক্ষক সংকট তৈরি করছে। আবার গণবিজ্ঞপ্তির শূন্যপদগুলো আবেদন করা যোগ্য প্রার্থীদের দিয়ে পূর্ণ করা হচ্ছে না। যোগ্যপ্রার্থী থাকার পরও স্বজনপ্রীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে নিবন্ধন পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগ প্রত্যাশী শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক জিএম ইয়াছিন বলেন, এনটিআরসিএ এখন পর্যন্ত ১৭টি নিয়োগ পরীক্ষার সুপারিশ করলেও মাত্র ৫টি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ দিয়েছে। এতে প্রায় ১২-১৩ হাজার যোগ্য শিক্ষক বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। বহু নিবন্ধিত শিক্ষক একাধিকবার পরীক্ষায় পাস করেও চাকরির সুপারিশ পাননি। অথচ কিছু লোক আবেদন ছাড়াই নিয়োগ পেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর থেকে আমরা লাগাতার মানববন্ধন করে আসছি। এনটিআরসিএর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে আজও আমাদের নিয়োগ অনিশ্চিত। গত ১৭ অক্টোবর ও ২৩ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার এপিএস সাব্বির আহমেদ আমাদের দ্রুত নিয়োগের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। আমলারা তার প্রতিশ্রুতি মানছেন না। এমন অবস্থায় দাবি আদায় না হলে এখানেই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি।
আরএইচটি/এসএম