‘মৃগী রোগের চিকিৎসায় ঝাড়-ফুঁক নয়’

মৃগী রোগের জন্য বৈদ্য-কবিরাজের ঝাড়ফুঁকের মতো অপচিকিৎসার আশ্রয় না নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) নিউ কনফারেন্স হলে বিশ্ব মৃগী রোগ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে নিউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. হাসানুজ্জামান এই আহ্বান জানিয়েছেন।
নিউরোলজি বিভাগ এই সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনার শেষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা চমেক হাসপাতালের আশপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নিউরোলজি বিভাগের সামনে এসে শেষ হয়।
সেমিনারে ‘মৃগী রোগের সঙ্গে বসবাস’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী ডা. মাহবুবুল আলম খন্দকার। চমেক হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. হাসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও রেজিস্ট্রার ডা. সামী এম আদনানের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, মৃগী রোগের চিকিৎসায় ঝাড়ফুঁক নয়। অন্য সাধারণ রোগের মতো সঠিক চিকিৎসায় মৃগী রোগীও সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারে। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে মৃগীরোগের উপসর্গ অন্য কোনো রোগের উপসর্গ হিসেবেও দেখা দিতে পারে। তাই পরিবারের কারও মৃগী রোগের উপসর্গ দেখা দিলে বৈদ্য কিংবা কবিরাজের অপচিকিৎসা না নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. শিউলি মজুমদার, অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার কায়স্থগীর, অধ্যাপক ডা. পঞ্চানন দাশ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহিতুল ইসলাম, ডা. মসীহুজ্জামান আলফা, ডা. মো. তৌহিদুর রহমান, ডা. মো. সালাউদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল কিবরিয়া, ডা. জামান আহমেদ, ডা. একরামুল আজম, ডা. হুমায়ুন কবির, ডা. শামসুল আলম, ডা. নাঈমা মাসরুরা, ডা. প্রিয়তোষ দাশ, ডা. বেলাল হোসেন, সেমিনারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রেজিস্ট্রার ডা. মো. রিফাত কামাল ও ডা. মুবিনুল হক চৌধুরী সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন ডা. সৈয়দ আরিফ উদ্দীন, ডা. মো. ওসমান ও ডা. কামরুল হাসান।
এমআর/এমএন