বালাইনাশকের দেশি বাজার খাচ্ছে বিদেশি পুঁজিপতিরা

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
৪টি সড়কে অবস্থান–বিক্ষোভ, জনভোগান্তি
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বাতিল হওয়া নিয়োগ ফিরে পাওয়ার দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিপেটা, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বেলা একটার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করছিলেন তাঁরা। বেলা দুইটার দিকে তাঁদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। পুলিশের লাঠিপেটার পর আন্দোলনকারীরা সড়ক ছেড়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন। রাত আটটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁরা সেখানেই অবস্থান করছিলেন।
এদিকে গতকাল একই সময়ে আরও একটি দল শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। তাঁরা সরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিয়োগবঞ্চিত দাবি করে আন্দোলনে নামেন। তাঁদের ওপরও লাঠিপেটা করে পুলিশ। রাত আটটায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় তাঁরা জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করছিলেন।
সমকাল
বস্তুনিষ্ঠ খবর প্রকাশে অন্তরায় নানা হস্তক্ষেপ
প্রচলিত গণমাধ্যমের চেয়ে অনলাইন মাধ্যমের ওপর মানুষ বেশি নির্ভরশীল। রাজনৈতিক, সরকারি ও প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ বস্তুনিষ্ঠ খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে জনমনে ক্ষোভের প্রেক্ষাপটে পাঠক, দর্শক ও শ্রোতাদের মনোভাব জানার জন্য পরিচালিত এক জরিপে এ চিত্র উঠে এসেছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের জন্য এটি করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। গণমাধ্যমের ব্যবহার নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপকভিত্তিক এ ধরনের জরিপ দেশে এই প্রথম।
জরিপে দেখা গেছে, মানুষ মুদ্রিত খবরের কাগজ কম পড়লেও অনলাইন সংস্করণ পড়ছে মোবাইল ফোনে। জাতীয় দুর্যোগ বা সংকটে তথ্য খোঁজার জন্য এখনও মানুষ চোখ রাখে টেলিভিশনের পর্দায়। তথ্য সংগ্রহের মাধ্যম হিসেবে রেডিওর প্রাসঙ্গিকতা তলানিতে।
দেশ রূপান্তর
৮৪ পুলিশ কর্তা গ্রেপ্তারের তালিকায়
পুলিশ বাহিনীতে গ্রেপ্তার-আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কাজে মন বসাতে পারছেন না পুলিশ কর্তারা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হতাহতের ঘটনায় ঢাকাসহ সারা দেশে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, এমপি, নেতাকর্মী ও আমলাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশের সাবেক আইজিপি থেকে শুরু করে কনস্টেবলদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। সাবেক আইজিপিসহ ৩৩ জন পুলিশকর্তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার ও নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের কেউ কেউ দেশের বাইরে আছেন। কেউ আছেন আত্মগোপনে অথবা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে। ২০২ জনের মতো পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন।
বণিক বার্তা
সরকার অতিরঞ্জিত বললেও খুঁজে পাচ্ছে না বিবিএস
দেশের সরকারি পরিসংখ্যান দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্নবিদ্ধ। মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপির তথ্যে নেই বাস্তব চিত্রের প্রতিফলন। সম্প্রতি ক্ষমতার পালাবদলের পর এ প্রশ্ন আরো জোরালো হয়েছে। দেশী-বিদেশী বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকেও জিডিপির তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বলা হয়েছে, উন্নয়নের বয়ান তৈরির জন্য জিডিপির আকার ও প্রবৃদ্ধিকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছিল বিগত সরকার। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার ছয় মাস পর গতকাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গত অর্থবছরের জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশ করেছে। তাতে অবশ্য বিগত সময়ের তথ্যের সঙ্গে খুব বেশি ফারাক নেই।
সমকাল
লাইনে দাঁড়িয়ে অজ্ঞান অন্তঃসত্ত্বা সানজিদা
‘হঠাৎ দেখি, লাইনে দাঁড়ানো একটা মেয়ে পড়ে গেল। এর পর কয়েকজন নারী দ্রুত ধরাধরি করে তাকে তুলে ভ্যানগাড়িতে শুইয়ে দিয়েছে। তার কানের মধ্যে একটি শলা ঢুকিয়ে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করলাম। দেখলাম, কোনো সাড়াশব্দ নেই। মেয়েটি পুরোপুরি অজ্ঞান।’
কথাগুলো এক নিঃশ্বাসে বলে গেলেন ভাসমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হারুন শেখ। ঘটনাটি গতকাল সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ী এলাকার দীপিকার মোড়ের। সরকারি সংস্থা টিসিবি গতকাল সোমবার সেখানে সাশ্রয়ী দরে ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করেছে। ট্রাকের পাশেই তিনি ভ্যানে করে বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাদ্য বিক্রি করছিলেন।
সমকালকে এই ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী বলেন, মেয়েটি পড়ে গেছে দেখে আমি আর লাইনে দাঁড়ালাম না। তাকে তোলার চেষ্টা করলাম। ট্রাক থেকে কয়েক ফুট দূরে একটি ভ্যানগাড়ির ওপর মুখে মাস্ক পরে বসে থাকা এক নারীকে হাতের ইশারায় দেখিয়ে হারুন শেখ বললেন, এটিই সেই মেয়ে।
দেশ রূপান্তর
বাংলাদেশে পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন ও ব্যবহার নিষিদ্ধে আইন আছে। পলিথিন ব্যবহার সীমিত করতে সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের প্রচেষ্টাও আছে। এরপরও প্রতিদিন দেশে প্রায় তিন হাজার কারখানায় দেড় কোটির কাছাকাছি পলিথিন ব্যাগ উৎপাদিত হয়। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন কোনো না কোনো পলিথিন ও প্লাস্টিকসামগ্রী ব্যবহার করছে। ফলে প্লাস্টিক দূষণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দেশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার ইতিমধ্যে দেশের জনস্বাস্থ্য ও প্রকৃতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আজকের পত্রিকা
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার চান ৮২% মানুষ
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার দেখতে চান দেশের ৮২ শতাংশ মানুষ। বিপরীতে ৬ শতাংশ মানুষ চান ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যে ৪৫ শতাংশ মানুষ চান সরকারপ্রধানের ক্ষমতা। বিপরীতে ৩৬ শতাংশ মানুষ মনে করেন, রাষ্ট্রপতিকে আরও ক্ষমতা দেওয়া উচিত। অন্যদিকে দেশের ৮৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন, সংসদ সদস্যদের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার অধিকার থাকা উচিত।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব তৈরির লক্ষ্যে পরিচালিত এক জনমত জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাধ্যমে এ জরিপ চালায় সংবিধান সংস্কার কমিশন। গত ৫-১০ ডিসেম্বর জরিপটি পরিচালনা করে বিবিএস। সংবিধান সংস্কার কমিশন ৮ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ জরিপটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন
কালের কণ্ঠ
উচ্চ সুদ বহাল রেখেই মুদ্রানীতি ঘোষণা
উচ্চ সুদের হার বহাল রেখে মুদ্রানীতি ঘোষণা করল বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) সময়ের জন্য এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এবারের মুদ্রানীতির মাধ্যমে ব্যবসা-বিনিয়োগ বাড়বে এমন আশা নেই গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের। তাঁর মতে, ২০২৪ ও ২০২৫ সাল বিনিয়োগ বৃদ্ধির বছর নয়।
বণিক বার্তা
আফ্রিকার দেশ উগান্ডায় মব জাস্টিস বা মব সহিংসতার সূত্রপাত হয়েছিল বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনার মধ্য দিয়ে। একপর্যায়ে তা গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং মারাত্মক আকার ধারণ করে। উগান্ডা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালে দেশটিতে উত্তেজিত মবের হাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ৪২৬টি। সেখান থেকে বেড়ে ২০১৯ সালে এভাবে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৪৬-এ। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, উগান্ডায় মব সহিংসতার সূচনা হয়েছিল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি দেশটির সাধারণ জনগণের অনাস্থা থেকে। পরে তা সারা দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। মব জাস্টিস প্রতিরোধে ২০১৯ সালের পর আলাদা একটি বিভাগ খুলতে হয়েছিল উগান্ডা সরকারকে।
সমকাল
প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেয়ে জোর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে
প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আপাতত নীতি সুদহার ১০ শতাংশে অপরিবর্তিত থাকছে। মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে নামলে তখন নীতি সুদহার কমানো হবে। চলতি বছরের জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশ এবং পরের জুনে ৫ শতাংশে নামতে পারে।
গতকাল চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন সময়ের মুদ্রানীতি ঘোষণা উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন আশার কথা জানান গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকাকে সাফল্য উল্লেখ করে শিগগিরই অস্থিতিশীলতার কোনো কারণ নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রথম আলো
বিদেশি বিনিয়োগে বড় পতন, ৬ মাসে কমেছে ৭১ শতাংশ
বিদেশি বিনিয়োগে বড় ধরনের পতন হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) বিদেশি বিনিয়োগ আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে কমে চার ভাগের প্রায় এক ভাগে নেমেছে। এ সময় বিদেশি বিনিয়োগ আগের বছরের চেয়ে ৭১ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য–উপাত্ত বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে মাত্র ২১ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৭৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার। গত রোববার প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অবহিত করে একটি প্রতিবেদন দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। সেই প্রতিবেদনে বিদেশি বিনিয়োগের এই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
সমকাল
ঘুরেফিরে সেই প্রশাসন ক্যাডারে সুনজর
আওয়ামী লীগ সরকারের গত সাড়ে ১৫ বছরে সুনজরে ছিলেন আমলারা। বাড়ি, গাড়ি, পদোন্নতিসহ অনেক সুবিধা বাগিয়েছেন তারা। এখন অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও প্রাধান্য বিস্তার করেছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। ফলে দেশের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তা পেয়েছেন ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি। এর মধ্যে ১১৯ জন হয়েছেন সচিব। এ পদোন্নতির ঘটনায় এরই মধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
পদোন্নতি তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৮১ ব্যাচ থেকে সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন চারজন, ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের ৩৫ জন, ১৯৮২ (বিশেষ) ব্যাচের ১০ জন, ৫ম ব্যাচের ১৬ জন, সপ্তম ব্যাচের ১৭ জন, অষ্টম ব্যাচের ৮ জন, নবম ও দশম ব্যাচে দু’জন করে, ১১তম ব্যাচের চারজন এবং ১৩তম ব্যাচের তিনজন। অন্য ক্যাডারের মাত্র ১৮ কর্মকর্তা সচিব হতে পেরেছেন। এর মধ্যে দু’জন ১৯৮১ ব্যাচের, ৫ জন ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের। অন্যান্য ব্যাচে আছেন ১১ জন। এতে ১৯৮২ সালের নিয়মিত ও বিশেষ ব্যাচে পদোন্নতি পেয়েছেন ৫০ জন কর্মকর্তা।
যুগান্তর
শেখ মুজিব বন্দনায় রেলে হরিলুটের উন্নয়ন প্রকল্প
‘শেখ মুজিব’ বন্দনায় সরকারের অন্য সব দপ্তরের চেয়ে কোনো অংশেই কম ছিল না বাংলাদেশ রেলওয়ে। বরং শেখ মুজিবের নামে নানা প্রকল্প তৈরি করে লুটপাটে রেলওয়ে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে ছিল। ২০২০-২১ সালে যখন করোনায় ট্রেন চলাচল এক প্রকার বন্ধ তখনও বিভিন্ন স্টেশন, স্টেশন চত্বর, ভবন ঘিরে চলছিল শেখ মুজিবের ম্যুরাল-ভাস্কর্য তৈরির প্রতিযোগিতা। তার জন্মশতবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে শতাধিক রেল স্টেশন ঘিরে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চলে হরিলুটের উন্নয়ন প্রকল্প। ২০২৩ সাল পর্যন্ত অর্ধশত স্টেশনে ‘মুজিব ম্যুরাল-ভাস্কর্য’ তৈরি করা হয়। ওই সময়ের রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, রেলপথ সচিব মো. সেলিম রেজা ও ড. হুমায়ুন কবিরের পরিকল্পনায় দেশের সবকটি রেলওয়ে স্টেশন-স্টেশন চত্বর ও বিশেষ প্রকল্পে শেখ মুজিবের ম্যুরাল-ভাস্কর্য নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে রেলওয়ের দুই অঞ্চলে দুটি বিশেষ কোচে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর’ তৈরি করা হয়। সংশ্লিষ্টদের মন্তব্য, এই জাদুঘরসহ লুটপাটের ম্যুরাল-ভাস্কর্য চুরমার করা হচ্ছে।
কালবেলা
বালাইনাশকের দেশি বাজার খাচ্ছে বিদেশি পুঁজিপতিরা
বাংলাদেশের কৃষির অন্যতম বৈশিষ্ট্য বালাইনাশক নির্ভরতা। এই বালাইনাশক বা পেস্টিসাইড মূলত ফসলের ক্ষতিকর উদ্ভিদ বা প্রাণী, যেমন—পোকামাকড়, জীবাণু, আগাছা, ইঁদুর ইত্যাদি দমনে ব্যবহৃত হয়। দেশে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার বালাইনাশকের বাজার রয়েছে। যার সিংহভাগ নিয়ন্ত্রণ করে হাতে গোনা কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানি। একচেটিয়া ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে এসব কোম্পানিকে সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে দেশের নিয়মনীতি। যদিও বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের বহু দেশে ওষুধ রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে দেশ।
বালাইনাশকের ক্ষেত্রে দেশীয় কোম্পানিগুলোর জন্যে নানা নিয়মের খড়্গ থাকলেও উল্টো বহুবিধ সুযোগের সমাহার বহুজাতিক কোম্পানির ক্ষেত্রে। এসব কোম্পানি উচ্চমূল্যে ফিনিশড পণ্য (কাঁচামাল থেকে উৎপাদিত সম্পূর্ণ পণ্য) আমদানি করে দেশীয় বাজারে আরও বেশি মূল্যে বিক্রি করে। আর প্রান্তিক কৃষকরা বহুগুণ দামে কৃষিকাজে এসব বালাইনাশক ব্যবহার করেন। ফলে বিপুল বিনিয়োগেও লাভ তুলতে পারছেন না কৃষকরা। ২০১৪ সালের পর থেকে বালাইনাশকের বাজার বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর জন্যে নানা সুযোগ-সুবিধার জোয়ার দেখা দিলেও নতুন করে এসব সুবিধা বিধিবদ্ধ আইনে পরিণত করতে চাচ্ছে মন্ত্রণালয়।
প্রথম আলো
অবসরের আগেও বিচারকদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে
তিন বছর পরপর এবং অবসর নেওয়ার ছয় মাস আগে বিচারকদের ও তাঁদের ওপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যদের সম্পদের বিবরণ সংগ্রহ করে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রকাশ করবে। এর পাশাপাশি বিচারিক দক্ষতা, আদালত ব্যবস্থাপনা, মামলা ব্যবস্থাপনা, আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বিচারকদের আচরণ পর্যবেক্ষণ-পর্যালোচনার কাজও করবে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এমন প্রস্তাব রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের শৃঙ্খলা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধনী এবং যথাযথ কার্যপদ্ধতি প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন।
সমকাল
সুদূর আফ্রিকা থেকে গবেষণার জন্য দু’দফায় উড়িয়ে আনা হয়েছিল ১১ জোড়া উটপাখি। এর মধ্যে এখন মাত্র দুই জোড়া আছে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) শেডে। গবেষণার বাকি উটপাখি নাই হয়ে গেছে। মাংসের স্বাদ পরখের জন্য চড়ানো হয় ‘রান্নার হাঁড়িতে’! একে একে গবেষণার উটপাখি চলে যায় কর্তাদের পেটে।
গবেষণার নামে ‘ভোজনবিলাস’ হয়েছে ২০২৩ সালেও। সে সময় বিএলআরআই শেড থেকে গবেষণার ৩৮ মোরগ চুরি গেছে বলে আওয়াজ তোলা হয়। এ নিয়ে তদন্ত তদন্ত খেলা হলেও প্রতিবেদন আর আলোতে আসেনি। তবে চাউর আছে, সেসব মোরগ জবাই করে খেয়েদেয়ে গবেষণার শেড খালি করা হয়েছে।
প্রথম আলো
ঢাকার রাস্তায় ধুলা, বাড়ছে শিশুদের অসুস্থতা
রাজধানীর মিরপুরের ৬০ ফুট সড়ক এলাকার বাসিন্দা মো. আফসার হোসেন। সড়কের পাশেই তাঁর বাসা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। বাসা কিংবা দোকানের বাইরে কিছুক্ষণ দাঁড়ালেই তাঁর অস্বস্তি হয়। এর কারণ অতিরিক্ত ধুলাবালু। বছরজুড়ে এ সমস্যা থাকলেও শীতকালে তা অনেক বেড়ে যায়।
এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের প্রভাব পড়েছে আফসারের পরিবারের সদস্যদের ওপরও। বিশেষ করে তাঁর সাত বছরের সন্তানের হাঁচি-কাশি লেগেই থাকে। বছরের এ সময়ে তীব্রতা আরও বেড়ে যায়।
ইত্তেফাক
১২ অর্থ পাচারকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও সুইজারল্যান্ডের পৃথক এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিগগির প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হবে। অর্থ উদ্ধারে সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিনিধিদল সম্প্রতি বাংলাদেশ ঘুরে গেছে। সুইজারল্যান্ডের একটি প্রতিনিধিদলও বাংলাদেশে আসছে।
যুগান্তর
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তার নেতাকর্মীদের বুলেটে শহিদ হয়েছেন ১৫৮১ জন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ছিল শিশু। এছাড়া গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত আরও ছয়জনকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়। পাশাপাশি জানুয়ারি থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত হাসিনার শাসনামলে রাজনৈতিক সহিংসতায় কমপক্ষে ১৯৯ জন নিহত ও ৬৯৭৯ জন আহত হয়। ২০০৯ সালে হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে রাজনৈতিক আন্দোলন দমন ও ভিন্নমতাবলম্বীদের কণ্ঠ রোধ করে জোর করে ক্ষমতায় থাকার জন্য গুম-খুনকে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে দেশে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়। হাসিনার ক্ষমতার শেষ পাঁচ মাসেও অন্তত ২০ জনকে গুম করা হয়েছিল। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর ২০২৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে আসে এসব তথ্য। সোমবার সংগঠনটির ওয়েসাইটে ৫৪ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
সমকাল
প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিতে প্রবেশের গ্রেড হবে ১২তম
প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরিতে যোগদানের বর্তমান গ্রেড ১২তম করার সুপারিশ করেছে প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মান উন্নয়নে গঠিত কনসালটেশন কমিটি। পাশাপাশি শিক্ষকদের পদবিতেও আসবে পরিবর্তন। সেই সঙ্গে স্কুলগুলোর মান অনুযায়ী বিভিন্ন রঙে চিহ্নিত করা হবে।
এ ধরনের এক গুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ দিয়েছে কনসালটেশন কমিটি। গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন কমিটির সদস্যরা। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং কনসালটেশন কমিটির আহ্বায়ক ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমদ।
প্রথম আলো
সাগর-রুনি হত্যার ১৩ বছর: ৬ বছর মামলার কার্যত কোনো তদন্ত হয়নি
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তরের আগের ছয় বছর কার্যত কোনো তদন্ত হয়নি। এ সময় তদন্তকারী সংস্থা র্যাব আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া নিয়ে কেবল সময়ই চেয়েছে। এর আগের ছয় বছর, অর্থাৎ ২০১২–১৮ পর্যন্ত র্যাবের তদন্তের ফল ছিল ‘শূন্য’।
এ মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিগত সময়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন অভিমত দিয়েছেন। তদন্ত সংস্থা পিবিআই এখন এ হত্যার ঘটনায় ডিএনএ প্রতিবেদনে পাওয়া সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে খুঁজছে।
এছাড়া ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার; ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে ‘হাড়গোড়’ সংগ্রহ সিআইডির; জনপ্রশাসনে ১১ সমস্যা; আ.লীগের সাবেক মন্ত্রী এমপিসহ গ্রেপ্তার ৩৪৪; নাহিদ ইসলাম / আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ মতাদর্শ নিয়ে রাজনীতি আর চলবে না—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।