খুশি করতে না পারলেই কপাল পোড়ে মিলারের

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
বিএনপি ও জামায়াতের ডাকে দোটানায় ইসলামি দলগুলো
বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ার পর আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইসলামপন্থী দলগুলোকে নিয়ে মৈত্রী গড়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। একইভাবে বিএনপিও তৎপর নির্বাচনী যাত্রায় ইসলামপন্থীদের পাশে পেতে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচন ঘিরে এ দুটি দলের তৎপরতায় ইসলামি দলগুলোর মধ্যে দোটানা ভাব দেখা দিয়েছে। আগামী নির্বাচনে কী ধরনের ভূমিকা নেওয়া সঠিক হবে, তা নিয়ে আলোচনা আছে এসব দলে। যদিও দলগুলোর সব উদ্যোগই এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে।
বণিক বার্তা
নতুন নোটেও থাকছে শেখ মুজিবেরই ছবি
শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পরিবর্তন করা হয়েছে শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে গড়ে তোলা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অর্ধশতাধিক স্থাপনার নাম। আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসনের আইকন আখ্যা দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি, যা ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘর। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে তার অসংখ্য ভাস্কর্য ও মুরাল। যদিও এখনো দেশের সবক’টি নোট ও স্মারক মুদ্রায় শোভা পাচ্ছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি।
আজকের পত্রিকা
অফিসার্স ক্লাবে ৪২৩ কোটির বিলাসী ব্যয়
সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সংগঠন অফিসার্স ক্লাব। রাজধানীর বেইলি রোডে এই ক্লাবের জন্য রাষ্ট্রের ৪২৩ কোটির বেশি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হচ্ছে দুটি অত্যাধুনিক ভবন। একটি ক্লাবের জন্য শত শত কোটি টাকার সরকারি প্রকল্প কীভাবে অনুমোদন হলো, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।
এই প্রকল্পে তিনটি সুইমিংপুল ও আনুষঙ্গিক উপকরণের জন্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা, ১৪৫০ টন এসির জন্য ২৪ কোটি টাকা, বিদেশি ফার্নিচারের (আসবাব) জন্য ৭ কোটি টাকা খরচের হিসাব অনেকেই অস্বাভাবিক মনে করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে ধরনের ফার্নিচার কেনার দরকার, তা দেশে পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে দরপত্রে বিদেশি ফার্নিচারের শর্ত দেওয়া হয়েছে। বড় কথা হলো, সবকিছু আমাদের হাতে না। যাদের জন্য কাজ করা হয়, তাদের চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘অনেক কিছু আছে, যা স্থাপত্য অধিদপ্তরের বিষয়। আমরা কাজ করি; বাস্তবায়ন করি। এটি সরকারি প্রতিষ্ঠান না, এটা সত্য। মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, আমরা শুধু কাজ করছি।’
প্রথম আলো
মানুষের হাতে থাকা ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকে ফিরেছে
ব্যাংকের বাইরে থাকা টাকা আবারও ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে। তাতে ব্যাংকে আমানতের পরিমাণও বেড়েছে। গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর—এই ৬ মাসে ব্যাংকে সাড়ে ৩৪ হাজার কোটি টাকা আমানত বেড়েছে। তাতে ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতে মোট আমানতের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ৩১৫ কোটি টাকায়। দেশের আর্থিক সূচকসংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ব্যাংক খাতে গত জুন শেষে মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ৪২ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। ডিসেম্বর শেষে তা প্রায় ২ শতাংশ বা ৩৪ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা বেড়েছে। ডিসেম্বর শেষে ১৭ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকার আমানতের বিপরীতে ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৭ লাখ ২ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। সেই হিসাবে, আমানতের প্রায় ৯৬ শতাংশই ঋণ হিসেবে বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো।
বণিক বার্তা
সরকারি মজুদ বাড়ায় চালের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল
দেশের প্রধান খাদ্যশস্য চালের সরকারি মজুদ আড়াই মাসের ব্যবধানে বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। একই সঙ্গে খোলাবাজারে চাল বিক্রি শুরু হওয়ায় নতুন করে আর দামও বাড়ছে না। ফলে চালের বাজার এখন কিছুটা স্থিতিশীল। রমজানেও নতুন করে দাম বাড়বে না বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। তবে পর্যাপ্ত আমদানি ও সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা না গেলে বোরো মৌসুমের আগে ফের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
মানবজমিন
শিক্ষার জঞ্জাল ঘোচাতেই নাভিশ্বাস
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অনিয়মই নিয়ম হয়ে ওঠা শিক্ষা খাতের জঞ্জাল সারাতে এখন গলদঘর্ম অবস্থা অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা প্রশাসনের। একের পর এক দাবি নিয়ে শিক্ষা খাতের কর্মীদের আন্দোলন থামাতে ব্যতিব্যস্ত কর্মকর্তারা। যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেয়ার পর সামনে নতুন দাবি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুরো খাত নিয়ে মহাপরিকল্পনা বা সংস্কার পরিকল্পনা নেয়া ছাড়া এই সমস্যা উতরানো যাবে না। শিক্ষা খাতে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার প্রথম চিত্র দেখা গেছে সরকার পতনের পর প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপক মব। দলীয় প্রশাসন ও দলীয় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ অনেকটা মবে পরিণত হয়েছিল। এই মব পরিস্থিতি এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আওয়ামী লীগের শাসনামলে শিক্ষার প্রতিটি স্তরে গড়ে উঠেছে অনিয়মের আখড়া। সনদ বিক্রি, যত্রতত্র প্রতিষ্ঠান করে বাণিজ্য করার সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। আর এই সিন্ডিকেটেই ধস নামে শিক্ষা ব্যবস্থায়। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রধান চ্যালেঞ্জ সামনে আসে পাঠ্য বইয়ের সংস্কার। দ্রুত সময়ে এই সংস্কার এবং পরিবর্তন করতে গিয়ে নানা বিপত্তিতে পড়ে প্রশাসন। সংস্কার করতে গিয়ে বছরের প্রায় দুই মাস পার হলেও এখনো অনেক শিক্ষার্থী হাতে বই পায়নি।
আরও পড়ুন
কালের কণ্ঠ
৬৩ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারাক্রান্ত ঢাকা
রাজধানী ঢাকার আয়তন মাত্র এক হাজার ৪৬৩ বর্গকিলোমিটার। ছোট্ট আয়তনের এই শহরে ৬৩টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি আটটি এবং বেসরকারি ৫৫টি বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, রাজধানীতে অবস্থিত শতাধিক সরকারি-বেসরকারি কলেজেও যত্রতত্র অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে আরো একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকা।
দেশ রূপান্তর
টাস্কফোর্সের সুপারিশ নিয়ে সংশয়
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি তাৎক্ষণিকভাবে সরকারের করণীয় বিষয়ে শতাধিক সুপারিশ করেছে। কিন্তু টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা দলিল হিসেবে স্বীকৃত নয়। ফলে কোন মন্ত্রণালয় বা বিভাগ সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে সে বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা বা ম্যাপিং করা হয়নি। তাই এটি বাস্তবায়নে কোনো মন্ত্রণালয়ের তাগিদ দেখা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে টাস্কফোর্স কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে সংশয় দেখা দিয়েছে।
যুগান্তর
গার্মেন্টশিল্পে পরিকল্পিত অস্থিতিশীলতা, নেপথ্যে ফ্যাসিস্টের দোসররা
দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস গার্মেন্ট শিল্পকে পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীল করে তোলা হচ্ছে। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এই অস্থিরতার নেপথ্যে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বেসিক্সমকো গ্রুপসহ বিদায়ি ফ্যাসিবাদ সরকারের পলাতক দোসররা। যারা আওয়ামী ব্যবসায়ী হিসাবে সবার কাছে পরিচিত। এই অসন্তোষের জেরে গত সাড়ে ৫ মাসে বন্ধ হয়ে গেছে ১১৯টি কারখানা। এগুলোর মধ্যে আশুলিয়ায় ও গাজীপুরে ৪০টি, নারায়ণগঞ্জে ৩৬ এবং ঢাকা মহানগরীতে তিনটি কারখানা রয়েছে। এছাড়া একই সময়ে গার্মেন্ট শিল্প এলাকায় এক হাজার ১৪৭টি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-৫২টি অগ্নিকাণ্ড, ৭৫ ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ ২৩৯, লুটতরাজ ৩, কর্মবিরতি ৭৭৮ এবং চুরির ঘটনা ১১টি। সরকারের একটি বিশেষ সংস্থার প্রতিবেদন এবং যুগান্তরের নিজস্ব অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সমকাল
খুশি করতে না পারলেই কপাল পোড়ে মিলারের
খাদ্য অধিদপ্তরে চাল, আটা ও ময়দা কলের মালিকদের তালিকাভুক্তি নিয়ে চলছে ব্যাপক অনিয়ম। খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা মিলেমিশে গড়ে তুলেছেন ঘুষ বাণিজ্যের সিন্ডিকেট। তাদের ‘খুশি’ করতে না পারলে আবেদন করলেও যোগ্য মিলারদের তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে না। দিনের পর দিন ফেলে রাখা হয় আবেদন। এমন ঘটনাও ঘটেছে, মিলার হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর চাহিদামাফিক ‘খুশি’ না করায় এক মিলারের অনুমোদনপত্র পরদিনই বাতিল করা হয়েছে।
আবার খাদ্য অধিদপ্তরের তালিকাভুক্তির জন্য জেলা খাদ্য কর্মকর্তার মাধ্যমে আবেদনের নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। অসাধু কর্মকর্তাদের হাত করে সরাসরি খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বা সচিব বরাবর আবেদন করে তালিকাভুক্তির ঘটনাও ঘটেছে। এতে তালিকাভুক্তির বাইরে থেকে যাচ্ছেন অনেক প্রকৃত মিলার। ফলে দেশে খাদ্য মজুতের সঠিক চিত্রও অনেক সময় আড়ালে থেকে যায়। এটি সরকার ও দেশের মানুষেরও ভয়াবহ সংকটে পড়ার ঝুঁকি তৈরি করছে।
বণিক বার্তা
বাংলাদেশে হুমকি-হামলার শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকরা
সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশে গণ-আন্দোলনের মুখে ক্রমে কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠা সরকারের পতনের ছয় মাস পরও সাংবাদিকরা তাদের কাজের জন্য হুমকি পাচ্ছেন এবং হামলার শিকার হচ্ছেন। একই সঙ্গে খসড়া পর্যায়ে থাকা দুটি অধ্যাদেশ আইনে পরিণত হলে তা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কালের কণ্ঠ
জুলাই বিপ্লবে শহীদদের নিয়ে ভাবছে সরকার। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আলোচনা চলছে। কিন্তু এক নারীসহ ছয়জনের পরিচয়ই শনাক্ত হলো না এখন পর্যন্ত। তাদের লাশ ছয় মাসের অধিক সময় পড়ে আছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের লাশঘরে।
পুলিশ ও মর্গ কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করেও গত ছয় মাসে লাশের স্বজনদের খুঁজে পাচ্ছেন না। এমনি তিনটি লাশ পড়েছিল সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গেও। শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি জারির পর সেটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে স্বজনরা গিয়ে লাশ শনাক্ত করে নিয়ে যান। এ হাসপাতালটিতে অর্ধশতাধিক লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়।
এছাড়া ঠিকাদারিতে ম্যানেজ মাস্টার ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং; তারেক রহমান / জনগণের প্রত্যক্ষ প্রতিনিধি ছাড়া সংস্কার সম্ভব নয়; ‘গণহত্যার পাহারাদার’ / র্যাবের সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা; বৃহস্পতিবার উপদেষ্টার পদ ছাড়ছেন নাহিদ!; চাঁদাবাজি অর্ধেকে নেমেছে, হত্যাও কমেছে—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।