রাখাল রাহা ও এসপি আলেপের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ

আল্লাহ ও নবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তিকারী রাখাল রাহাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং র্যাব কর্মকর্তা আলেপের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে তৌহিদী ছাত্র-জনতা এ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মহান আল্লাহ ও আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তিকারী রাখাল রাহার ঠিকানা বাংলাদেশে হবে না। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে যারা কটূক্তি করবে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। আর প্রশাসন যদি এটা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।
আরও পড়ুন
তারা আরও বলেন, একটি মুসলিম রাষ্ট্রে কীভাবে রাখাল রাহা এবং হাসান গালিব নবীকে নিয়ে কটূক্তি করে। অবিলম্বে এ দুই রাষ্ট্রদ্রোহী ও ইসলাম বিদ্বেষীকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দিতে হবে। একইসঙ্গে মুসলিম নারীদের সম্ভ্রমহানিকারী র্যাব কর্মকর্তা ধর্ষক আলেপকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে।
সমাবেশে প্রশাসন থেকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্টদের চিহ্নিত করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে, শুক্রবার চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী মসজিদ এলাকায়, খুলনার শিববাড়ি মোড়ে, রাঙামাটির ফিসারী ঘাট জামে মসজিদ এবং ফরেস্ট জামে মসজিদ এলাকাসহ সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রদ্রোহী রাখাল রাহা, কবি গালিবের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এবং ধর্ষক পুলিশ কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতি ইসলাম ধর্মকে চরম অবমাননা করে রাখাল রাহা ফেসবুকে একটি পোস্ট প্রকাশ করেন, যা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ পোস্টের পরে অনলাইনে প্রতিবাদের ঝড় উঠলে রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদুর রহমান পোস্টটি ডিলিট করে দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ১৫০ জন আলেম ও ইসলামি চিন্তাবিদ এনসিটিবির পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটির সদস্য রাখাল রাহাকে অপসারণ ও শাস্তি দাবি করে বিবৃতি দেন।
এআর/এসএসএইচ