অযৌক্তিক প্রকল্পে অপচয় ১৪-২৪ বিলিয়ন ডলার

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
বেপরোয়া ডাকাত ও ছিনতাইকারীরা, ছয় মাসে মামলা বেড়েছে ৫০%
দেশে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অপরাধীরা। তারা মানুষকে জিম্মি করে, অস্ত্র ঠেকিয়ে, গুলি করে অথবা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে। এতে মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে নিরাপত্তাহীনতাবোধ ও আতঙ্ক।
সর্বশেষ গত রোববার রাতে রাজধানীর বনশ্রীতে বাসায় ফেরার সময় এক সোনা ব্যবসায়ীকে গুলি ও কুপিয়ে জখম করে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনার ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আতঙ্ক তৈরি হয়।
সমকাল
মহাসড়কে বাসের ভেতরে অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ। মধ্যরাতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে সোনাদানা ছিনতাই। দিনদুপুরে খোদ রাজধানীতে চলন্ত বাসে অস্ত্র ঠেকিয়ে লুটতরাজ। প্রান্তিক জনপদে ট্রিপল মার্ডার। বীরদর্পে দাপিয়ে বেড়ানো কিশোর গ্যাং। ‘ডেভিল হান্ট’ নামে বিশেষ অভিযানের মধ্যেও খুনোখুনি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ধর্ষণ, মব ভায়োলেন্স– এমন কোনো অপরাধ নেই, যা ঘটছে না। অপরাধের নানা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় নিরাপত্তা নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে ভীতি। অভিযানের মধ্যেও অপরাধীরা যখন এমন বেপরোয়া, তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ভূমিকা নিয়ে উঠেছে নানামুখী প্রশ্ন।
অপরাধ বিশ্লেষকরা বলেছেন, ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বেশি পরিচালিত হচ্ছে বলে দৃশ্যমান। অভিযানে এরই মধ্যে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল যারা, অধরা তাদের ধরা। সংঘবদ্ধ অপরাধে যারা জড়িত, তাদের মধ্যে ধারণা জন্মেছে– তারা অভিযানের ফোকাসে নেই। এ কারণে অভিযানের পূর্ণ ফল আসেনি। প্রতিদিন ঘর থেকে বেরিয়ে আবার নিরাপদে ফিরতে পারবে কিনা, অনেকের মধ্যে এমন শঙ্কা ভর করেছে। আবার ঘরে ফিরে সেখানেও ডাকাত-চোর আতঙ্ক থেকেই যাচ্ছে।
দেশ রূপান্তর
অযৌক্তিক প্রকল্পে অপচয় ১৪-২৪ বিলিয়ন ডলার
গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে। এ ছাড়া রাজনৈতিক প্রভাব এবং অযৌক্তিক প্রকল্প ব্যয়ের মাধ্যমে ১৪ থেকে ২৪ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ অপচয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে গড়ে ব্যয় বেড়েছে ৭০ শতাংশ।
দেশের চলমান সংকট কাটিয়ে ওঠার উপায় খুঁজতে সরকার গঠিত টাস্কফোর্সের এক প্রতিবেদনে বিগত সরকারের দুর্নীতি সম্পর্কে শ্বেতপত্র পর্যালোচনা করে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
ইত্তেফাক
১৬ বছর পর ষড়যন্ত্র উন্মোচনের চেষ্টা
রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে সেনা অফিসারদের নৃশংসভাবে হত্যাযজ্ঞের ১৬ বছর আজ। শোকাবহ পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এই দিনটিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করেছে। পিলখানার ভেতরে সেনা অফিসারদের হত্যাকাণ্ডের পেছনে কি ছিল ষড়যন্ত্র? কেন এতগুলো অফিসারকে জীবন দিতে হলো? এই ষড়যন্ত্র উন্মোচনের চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য গঠন করা হয়েছে ‘জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন’। এ পর্যন্ত কমিশন ৩৭ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে। শহীদ সেনা পরিবারের পক্ষ থেকে ন্যায় বিচারের দাবিতে গঠন করা হয়েছে ‘শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশন’।
কালের কণ্ঠ
সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া, আতঙ্কে মানুষ
দেশজুড়ে একের পর এক নানা অপরাধ ঘটে চলেছে। ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি থেকে খুন, ধর্ষণও হচ্ছে অবলীলায়। সারা দেশে চলমান ‘ডেভিল হান্ট’ কর্মসূচির মধ্যেও থেমে নেই অপরাধচক্রের এসব অপকর্ম। প্রকাশ্যে, জনারণ্যেও এসব ফৌজদারি অপরাধ ঘটছে।
অপরাধীরা কাউকেই তোয়াক্কা করছে না; বরং দিনে দিনে তারাও আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। অব্যাহত এমন কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। অবিলম্বে তাদের জোরদার টহল ও নজরদারি শুরু হচ্ছে।
বণিক বার্তা
জানুয়ারিতে ভারত থেকে বাংলাদেশের আমদানি বেড়েছে ১৭%
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয় ৮ আগস্ট। ওই সময় থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ অনেকের বক্তব্যেই ভারতবিরোধিতা ও এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা উঠে এসেছে। নাগরিক পর্যায়েও ভারতীয় পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমানোর ডাক দিয়েছেন অনেকেই। যদিও দুই দেশের বাণিজ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রকৃতপক্ষে পণ্য আমদানিতে ভারতের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা আরো বেড়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে ১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ।
দেশ রূপান্তর
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির অভিযোগ উঠেছে রাজনৈতিক দলগুলোসহ বিভিন্ন মহল থেকে। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক ঘটছে দিনে-দুপুরে ছিনতাই, চলন্ত বাস বা বাসাবাড়িতে ডাকাতি, গুলি করে বা কুপিয়ে মানুষ হত্যা ও ধর্ষণের মতো জনমনে চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। সব মিলিয়ে আতঙ্ক ভর করেছে নগরবাসীর মনে। সন্ধ্যার পর রাত গভীর না হতেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে নগরীর বহু অলিগলি। দায়িত্ব পালনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্যদের শিথিলতার সুযোগে অপরাধ বাড়ছে অভিযোগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগের দাবিতে গতকাল সোমবার দিনভর বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার পদত্যাগে আলটিমেটাম দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। তার আগে রবিবার মধ্যরাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে দেশের আইনশৃঙ্খলার বর্তমান চিত্র নিয়ে গত রবিবার রাত ৩টায় হঠাৎই নিজের বাসায় সাংবাদিকদের ডেকে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া গতকাল এক বৈঠকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘সন্তোষজনক’ বলেও দাবি করেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোর-কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এছাড়া অপরাধের ‘হটস্পট’ ঘিরে ব্যবস্থা নেয়নি সরকার; স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের পদযাত্রায় পুলিশের বাধা; তর্কবিতর্ক করতে গিয়ে যেন স্বৈরাচার সুযোগ না পায়; বল প্রয়োগে সতর্ক থাকতে বললেন সেনাপ্রধান; বনশ্রীতে মোটরসাইকেলে আসা ৭ জনই পেশাদার; ছাত্রদের রাজনৈতিক দল / আখতারই সদস্য সচিব শুক্রবার দল ঘোষণা—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।