‘সয়াবিন সরবরাহ পর্যায়ে সংকটের তথ্য জানতে সময় প্রয়োজন’

ভোজ্য তেল সয়াবিন পাইকারি বা সরবরাহ পর্যায়ে কোনো ধরনের সংকট আছে কিনা, সেটা জানার জন্য একটু সময় প্রয়োজন হবে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
তিনি বলেন, আমরা একটা তদন্ত কমিটি করব। তদন্ত করে এটা জানাতে পারব। সয়াবিন তেল পর্যাপ্ত থাকলে মানুষ স্বস্তিতে থাকবে। আমরা মানুষকে স্বস্তিতে রাখার চেষ্টা করছি।
রোববার (২ মার্চ) সকালে রোজা উপলক্ষ্যে কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটে পরিদর্শন করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি এবং কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) নেতাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন
ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, আমরা আজকে কারওয়ান বাজারে খুচরা এবং পাইকারি দোকানগুলো পরিদর্শন করলাম। দোকানদারদের সঙ্গে আলাপ করে প্রত্যক্ষভাবে জানতে পারলাম, ভোজ্য তেল সয়াবিন ব্যতীত অন্য কোনো পণ্যের সংকট নেই। গত বছরের তুলনা এ বছর কিছুটা কমতির দিকে। তাই দোকানদাররা চাহিদা মেটাতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন।
‘রমজানে অতিরিক্ত চাহিদা থাকে। স্বাভাবিকের তুলনা রমজানের চাহিদা বৃদ্ধি পায়।’
তিনি আরও বলেন, একজনের নামে খুচরা দোকানদার ২০ লিটার লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। যিনি একসঙ্গে ২০ লিটার ক্রয় করেন তিনিও বাজারে সংকটের কারণ হতে পারে না। আমরা যুক্তিসংগত পরিমাণ যেটা আমাদের প্রয়োজন, তার অতিরিক্ত আমরা ক্রয় করব না। পাইকারি দোকানদাররা জানান, আগের তুলনা সয়াবিন কম পাচ্ছেন। তারা কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারাও স্বাভাবিক করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।
এমএসআই/এমএন