কাগজসংকটে ৩ কোটি পাঠ্যবই ছাপা হয়নি

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
অর্থনীতি সংস্কারে আগ্রহ কম, কমিটিতে হতাশা
অর্থনীতি নিয়ে সংস্কারের দুটি প্রতিবেদন জমা পড়ে আছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সুপারিশ বাস্তবায়নে জোরালো কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে অর্থনীতিতে কাঠামোগত সংস্কারের প্রত্যাশা পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অর্থনীতিতে দুর্নীতি-অনিয়ম এবং ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক কৌশল নির্ধারণ নিয়ে আলাদা দুটি প্রতিবেদন তৈরি করিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। একটি হলো বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন কমিটির তৈরি শ্বেতপত্র। অন্যটি বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদের নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন।
বণিক বার্তা
শিক্ষাবিরতিতে বাড়ছে শিখন ঘাটতি, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র পরিবারের শিশুরা
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নওশিন জাহান (ছদ্মনাম)। বছরের দুই মাস পার হয়ে গেলেও এখনো হাতে আসেনি সব বই। এর মধ্যেই দীর্ঘ ছুটিতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে তাদের। রমজান, ঈদুল ফিতরের ছুটির পাশাপাশি নওশিনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র হওয়ায় ক্লাস শুরু হতে অপেক্ষায় থাকতে হবে মে মাস পর্যন্ত। সে হিসাবে তারা পড়েছে টানা ৭০ দিনের ছুটির ফাঁদে। দেরিতে বই পাওয়া এবং দীর্ঘ ছুটির কারণে নির্ধারিত সময়ে সিলেবাস শেষ করা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
কালের কণ্ঠ
সরকার রাজস্বের জন্য হাহাকার করছে। যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়, সেটিও আদায় হয় না। ফলে বড় অঙ্কের রাজস্ব ঘাটতির মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অথচ চোখের সামনেই লাখ লাখ ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে, ভোক্তার কাছ থেকে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট হিসেবে কেটেও রাখছে; কিন্তু সরকারের খাতায় জমা দিচ্ছে না।
বলা যায়, দেশের বেশির ভাগ ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানই ভ্যাট দেয় না। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবেই সারা দেশে অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান বা ইউনিটের পরিমাণ এক কোটি ১৮ লাখেরও বেশি। এর মধ্যে স্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক ইউনিটের সংখ্যা প্রায় ৬৩ লাখ। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মাত্র পাঁচ লাখ ৭০ হাজার।
সমকাল
দিনে লরি, রাতে জাহাজ থেকে তেল চুরি
সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীর বড়াল নদীতে রাতের আঁধারে প্রতিদিন তেলবাহী জাহাজ থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার লিটার ডিজেল, অকটেন। বিশেষ কায়দায় পাইপলাইন থেকে ড্রামে তেল ভরার পর ছোট নৌকায় করে সেগুলো চলে যাচ্ছে কালোবাজারে। এই চুরির সঙ্গে জড়িত একটি শক্তিশালী চক্র। এর মধ্যে রয়েছেন জাহাজের সারেং, তেল ডিপোর কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী। তেল চুরির কারণে বছরে সরকারের ক্ষতি হচ্ছে শত শত কোটি টাকা। সেই টাকায় ফুলেফেঁপে উঠছে অপরাধী চক্র। স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় এই লুটপাট চললেও যেন দেখার কেউ নেই। সমকালের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ীতে বড়াল নদীর তীরে ১৯৮৩ সালে ৪৭ একর জায়গার ওপর নির্মিত হয় এ বন্দর। রয়েছে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা কোম্পানির তেলের ডিপো। এখান থেকে উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া নদীপথে উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার জন্য সার, কয়লা, সিমেন্ট, চাল, গম, জ্বালানি তেলসহ ৯০ শতাংশ নিত্যপণ্য নামে এই বন্দরে। প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে নাব্য সংকট দেখা দেওয়ায় পণ্য নিয়ে বড় জাহাজ বন্দরে ভিড়তে পারে না। সে সময় বাঘাবাড়ী থেকে প্রায় ৪৫ মাইল দূরে মানিকগঞ্জের বাহাদুরাবাদে যমুনা নদীতে জাহাজগুলোকে অবস্থান করতে হয়। সেখান থেকে ছোট ছোট জাহাজে করে মালপত্র আসে।
আরও পড়ুন
বণিক বার্তা
নীরবে বাড়ছে বন্যপ্রাণী নিধন পাঁচ মাসে আক্রান্ত সাড়ে তিন হাজার, মৃত্যু ২৬৯
চুয়াডাঙ্গার মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের দীননাথপুর গ্রামের এক কৃষক ফসল বাঁচাতে তার ভুট্টাখেতে বিষ প্রয়োগ করেন। এতে গত ২৬ জানুয়ারি পাঁচ-সাতটি শেয়াল, একটি গন্ধগোকুল, একটি বেজি, একটি পোষা কুকুরসহ আরো অনেক বন্যপ্রাণী প্রাণ হারায়। ঘটনাটি জানাজানি হলে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পরে বন অধিদপ্তর ওই কৃষকের বিরুদ্ধে মামলাও করে। শুধু চুয়াডাঙ্গা নয়, দেশব্যাপীই বন্যপ্রাণী নিধন বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। গত বছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর—এ পাঁচ মাসে দেশে ৩ হাজার ৩০৪টি বন্যপ্রাণী আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতে মৃত্যু হয়েছে ২৬৯টির। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
কালের কণ্ঠ
এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সময়সংকটের কারণে নির্বাচন কমিশন (ইসি) দল নিবন্ধনের জন্য সময়সীমা উল্লেখ করে আবেদন আহ্বান নাও করতে পারে। ইসির পক্ষে বলা হচ্ছে, গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে আবেদন আহ্বানের বিষয়টি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নয়। এরই মধ্যে অনেক দলের আবেদন জমা হয়েছে। গত বছর আগের ইসির কাছে আবেদন করে যেসব দল নিবন্ধন পায়নি সেসব দলের অনেকে তাদের আবেদন পুনর্মূল্যায়নের অনুরোধ জানিয়েছে।
যুগান্তর
দ্রুত বদলে যাচ্ছে দেশের রাজনীতির দৃশ্যপট। প্রকাশ্যে যে যাই বলুক, পর্দার আড়ালে জোর কদমে শুরু হয়েছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। সোমবার প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ভোট সম্ভবত এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীন বলেছেন, ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন ধরেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেক্ষেত্রে অক্টোবরের দিকে তফশিল, ডিসেম্বরে ভোট এবং জানুয়ারিতে সরকার গঠন-এমন লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচনি রোডম্যাপ সাজানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
মানবজমিন
অপকর্মে বহিষ্কৃতদের আর সুযোগ দেবে না বিএনপি
গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর সারা দেশে দখল, চাঁদাবাজি ও অপকর্মের অভিযোগে বহিষ্কৃত নেতাকর্মীদের আর সুযোগ দেবে না বিএনপি। এরমধ্যে দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের বার্তা দিতে চায় যে, ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়’। দলের এই সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভবিষ্যতে যারা দখল, চাঁদাবাজি ও আইশৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দলের সৎ ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের জায়গা বিএনপিতে হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। পাশাপাশি দলে কোনো সন্ত্রাসী, অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিডদের জায়গা না দেয়ার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে হাইকমান্ড।
প্রথম আলো
দলের নিবন্ধনের শর্ত কিছুটা সহজ করার সুপারিশ
দলীয় প্রতীকে কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে তাদের নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত হতে হয়। এ নিবন্ধন পেতে কিছু শর্ত পূরণ করার বিধান আছে। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন এসব শর্ত কিছুটা সহজ করার সুপারিশ করেছে।
২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করা হয়। এ জন্য জাতীয় নির্বাচন–সংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে নতুন বিধান যুক্ত করা হয়।
ওই আইন অনুযায়ী, কোনো দলকে নিবন্ধন পেতে কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, অন্তত এক–তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কার্যালয় এবং অন্তত ১০০টি উপজেলা বা মেট্রোপলিটন (মহানগর) থানায় কার্যালয় থাকতে হবে এবং প্রতিটি কার্যালয়ে ন্যূনতম ২০০ ভোটার তালিকাভুক্ত থাকতে হবে।
আজকের পত্রিকা
জনগুরুত্বপূর্ণ সব নাগরিক সেবা এক ছাতার নিচে আনতে নতুন একটি কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। স্বাধীন এই কমিশনের অধীনে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), জন্ম-মৃত্যু, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন, ইউনিক আইডিসহ নাগরিক সেবার গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ হবে।
এই লক্ষ্যে উপদেষ্টা পরিষদের নির্দেশনায় সিভিল রেজিস্ট্রেশন (কমিশন) অধ্যাদেশের খসড়া করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এই খসড়া পর্যালোচনায় গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ-সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির প্রথম সভা হয়েছে। সেখানে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতিনিধিও ছিলেন। তবে ইসি এনআইডি সেবা নিজের কাছে রাখতে চায়। সিইসি গতকাল মঙ্গলবারও বিষয়টি জানিয়েছেন।
ইত্তেফাক
কাগজসংকটে ৩ কোটি পাঠ্যবই ছাপা হয়নি
দুই দফায় প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এখনো প্রায় ৩ কোটি পাঠ্যবই ছাপানোই হয়নি। ছাপানো শেষ হলেও বাঁধাই, মান যাচাই ও অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে আরও ৩ কোটি বই। অনেক শিক্ষার্থী পেয়েছে আংশিক বই। চলছে শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় মাস। নতুন শ্রেণির সব বই না পাওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এমনিতেই দিশেহারা। তার ওপর বই না দিয়েই সব বইয়ের পড়া দিয়ে পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ কয়েকটি ছুটি মিলিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা ৪০ দিনের ছুটিতে গেছে স্কুলগুলো। এতে অস্বস্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।
বণিক বার্তা
এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক সংখ্যা ৫০-এর নিচে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা
বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২৩-এর বিধি প্রণয়ন করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিধি প্রণয়নের কাজ শেষে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) নির্বাচন আয়োজনের কথা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, নতুন এ বিধিতে সংগঠনটির মোট পরিচালকের সংখ্যা নামিয়ে আনা হতে পারে ৫০-এর নিচে। তাদের মধ্যে মনোনীত পরিচালকের সংখ্যা কমিয়ে আনা হতে পারে ১২-তে।
বর্তমানে এফবিসিসিআই পর্ষদের মোট ৮০ পরিচালকের মধ্যে মনোনীত পরিচালকের পদ আছে ৩৪টি। এর মধ্যে ১৭টিতে মনোনয়ন দেয়া হয় চেম্বার গ্রুপ (বিভিন্ন চেম্বার) থেকে। আর অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ (বাণিজ্য সংগঠন) থেকে দেয়া হয় বাকি ১৭টিতে। বাকি পরিচালকরা সরাসরি নির্বাচিত হয়ে আসেন।
সমকাল
ঘুরছে কম কলকারখানার চাকা, উৎপাদনে ধাক্কা
গ্যাসের ঘাটতি দিনে প্রায় ১৩৫ কোটি ঘনফুট। গ্যাস-স্বল্পতায় সবচেয়ে বেশি ধুঁকছে শিল্প খাত। এখন চাহিদার চেয়ে ৩০ শতাংশ কম গ্যাস পাচ্ছে শিল্পকারখানা। গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, নরসিংদীসহ দেশের শিল্পাঞ্চলে এই সংকট দিন দিন বাড়ছেই। এতে ছেদ পড়ছে উৎপাদনে। বন্ধ হয়েছে শতাধিক কারখানা। অনেকটি বন্ধের পথে। বাধ্য হয়ে চলছে শ্রমিক ছাঁটাই। বেকার হয়ে পড়া শ্রমিকরা নানা দাবিতে প্রায় দিনই সড়ক অবরোধ, ভাঙচুরসহ বিক্ষোভ করছেন। উৎপাদনে ধাক্কা লাগায় কমছে পণ্য রপ্তানি, বিদেশ থেকে বাড়ছে কাঁচামাল আমদানি।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভোগান্তি এমন পর্যায়ে ঠেকেছে, কারখানা চালু রাখার চেয়ে বন্ধ রাখলেই লাভ। বারবার শিপমেন্ট বাতিল করতে হচ্ছে। এর মধ্যে নতুন কারখানার গ্যাসের দর দ্বিগুণ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গ্যাসের দাম বাড়লে নতুন বিনিয়োগ আসবে না।
জ্বালানি বিশ্লেষকরা বলছেন, সহসাই গ্যাস সংকট দূর হবে না। আগে দেশীয় গ্যাসের অনুসন্ধানের চেয়ে আমদানিতেই সরকারের ঝোঁক ছিল বেশি। সম্ভাবনা থাকার পরও দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস অনুসন্ধানে অবহেলা করা হয়েছে। এতে গ্যাসের উৎপাদন কমেছে। অন্যদিকে চাহিদা দিন দিন বেড়েছে। ফলে সংকট ঘনীভূত হয়েছে।
যুগান্তর
নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্থাপনাসমূহ সংরক্ষণ ও পুনর্নির্মাণ’ প্রকল্পের। গায়েব হয়ে গেছে প্রয়োজনীয় রেকর্ড ও কাগজপত্র। ফলে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর। অডিটসংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই। কেনাকাটা বা দরপত্রের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। আসবাবপত্র, কম্পিউটার ও অফিস সরঞ্জামাদিরও হদিস নেই। এছাড়া ১৬ কর্মকর্তার বিদেশ সফর নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং এলজিইডির চরম গাফিলতি এবং উদাসীনতায় কোনো মনিটরিং হয়নি। সব মিলিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে পদে পদে ছিল দায়িত্বহীনতার ছাপ। বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সমাপ্ত এ প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন চিত্র।
ইত্তেফাক
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে নিতে আইন সংশোধন করেছিল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। সেই আইন স্থগিত করে জন্ম নিবন্ধন, এনআইডি ও পাসপোর্ট সেবা নিয়ে দুর্ভোগ-জটিলতা নিরসনে স্বতন্ত্র কমিশন প্রতিষ্ঠায় ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন (কমিশন), ২০২৫’ নামে একটি অধ্যাদেশ করার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এতে ইসির অধীনে থাকবে, নাকি অন্যত্র চলে যাবে এনআইডি সেবা, সেটি নিয়ে ইসিতে চলছে জোর আলোচনা। এই অবস্থায় এনআইডি সেবার ভাগ্য ঝুলে আছে। যদিও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
প্রথম আলো
‘গণপরিষদ’ ও ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ নিয়ে যে কারণে বিএনপিতে সন্দেহ
ছাত্র-তরুণদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) স্বাগত জানালেও তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে ভিন্ন অবস্থানে বিএনপি। বিশেষ করে নতুন দলের নেতাদের সেকেন্ড রিপাবলিক ও গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি নিয়ে বিএনপিতে ‘সন্দেহ’ তৈরি হয়েছে। বিএনপির নীতিনির্ধারণী নেতারা মনে করছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিলম্বিত করার লক্ষ্য নিয়ে এ দাবি সামনে আনা হয়েছে।
বিএনপির নেতাদের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে—এখন পর্যন্ত ছাত্র-তরুণদের যে তৎপরতা, তাতে একটি বিষয় স্পষ্ট যে তাঁদের মূল লক্ষ্য সংবিধান পুনর্লিখন বা আমূল পরিবর্তন। এর জন্য তাঁরা গণপরিষদ নির্বাচনের কথা সামনে আনছেন। এর সূত্র ধরে সেকেন্ড রিপাবলিকের কথা সামনে আনা হচ্ছে; কিন্তু ছাত্র-তরুণেরা সংবিধানের আমূল পরিবর্তনের যে ভাবনা বা লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন, তাতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে। এটি রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া কখনোই সম্ভব হবে না।
কালের কণ্ঠ
গণপিটুনিতে মানুষ হত্যা বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ গত সোমবার রাতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ সালেক গণপিটুনিতে নিহত হন। স্থানীয় মসজিদে এলাকায় ডাকাত এসেছে ঘোষণা দিয়ে এই দুজনকে হত্যা করা হয়। সাতকানিয়া থানার ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, শুনেছি, ওই দুজনকে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই মাসে ৩০টি ঘটনায় গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে ১৯ জন। আহত হয় ২০ জন। বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম গতকাল কালের কণ্ঠকে এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, দেশে গত এক বছরে (২০২৪) গণপিটুনির অন্তত ২০১টি ঘটনায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৭৯ জন।
বণিক বার্তা
দেশে অস্ত্রোপচারের হার বেড়েছে বাড়েনি অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট
হার্নিয়ার অসুখ নিয়ে গত জানুয়ারিতে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন মনিরুজ্জামান মল্লিক। ১৬ জানুয়ারি অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল তার। এজন্য সকাল সাড়ে ৭টার সময় ওই হাসপাতালের একজন নার্স তার ওপর একটি চেতনানাশক ইনজেকশন প্রয়োগ করেন। এর ৫-১০ মিনিটের মধ্যেই ওই রোগীর মৃত্যু হয়। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, চেতনানাশক অ্যানেস্থেসিয়ার প্রয়োগ অস্ত্রোপচার কক্ষেই করার কথা ছিল। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের উপস্থিতিতে এ ধরনের ইনজেকশন দেয়ার কথা থাকলেও সেখানে কোনো চিকিৎসক ছিল না বলে দাবি রোগীর স্বজনদের।
এছাড়া খালেদা জিয়া আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ; জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’; নাহিদ ইসলাম / পুরোনো সংবিধানে নতুন বাংলাদেশ গঠন সম্ভব নয়—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।