দেশে ১০ দিনে চারবার কম্পন, বিপদের লক্ষণ

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
দরিদ্র মানুষ ও দুস্থ নারীদের চাল-গমের সহায়তা কমেছে
বাজারে চালের দাম চড়া। ভালো মানের এক কেজি মোটা চাল কিনতে লাগছে ৫৫ টাকা। সরু চালের দাম অনেক বেশি। এ চড়া দামের মধ্যেই সরকারিভাবে চাল বিতরণ কমেছে। কমেছে গমের বিতরণও।
বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা ও গরিব মানুষকে সহায়তার ক্ষেত্রে সরকারি খাদ্যশস্য বিতরণকে গুরুত্বপূর্ণ বলে গণ্য করা হয়। খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১ জুলাই থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারিভাবে চাল ও গম বিতরণ করা হয়েছে প্রায় ১৭ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ২০ শতাংশ কম।
পরিমাণের দিক দিয়ে চাল ও গমের বিতরণ কমেছে প্রায় ২ লাখ ২৩ হাজার টন। চালের বিতরণ কমেছে প্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার টন। অন্যদিকে গম ও আটার বিতরণ কমেছে প্রায় ৩৮ হাজার টন।
বণিক বার্তা
এলএনজি সরবরাহে দরপত্র ডেকে কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাচ্ছে না পেট্রোবাংলা
চলমান রমজান ও গ্রীষ্মে গ্যাসের চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি বাড়িয়েছে পেট্রোবাংলা। তবে সময়মতো অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য দরপত্র ডেকেও তেমন সাড়া মেলেনি। এমনকি একাধিকবার দরপত্র আহ্বান করেও যোগ্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করতে পারেনি সংস্থাটি।
দেশে গ্যাসের চাহিদা মেটাতে ২০২৫ সালে মোট ৯০ কার্গো এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা পেট্রোবাংলার। এর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি দুটি দেশ কাতার ও ওমান থেকে ৫৬ কার্গো এবং স্পট মার্কেট থেকে ৩৪ কার্গো এলএনজি কেনার পরিকল্পনা। এর বাইরে শুধু রমজানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত আরো চার কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। এর জন্য ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। কিন্তু এ পরিমাণ অর্থ পেট্রোবাংলার কাছে নেই। তাই টাকা চেয়ে এরই মধ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) চিঠি দিয়েছে পেট্রোবাংলা। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ৬ মার্চের (আজ) মধ্যে অর্থ না পেলে অতিরিক্ত চার কার্গো এলএনজি আমদানি সম্ভব নয়। পেট্রোবাংলাকে অবশ্য গতকাল ১ হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে সেটি বকেয়া পরিশোধ, নাকি নতুন এলএনজি আমদানির জন্য দেয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।
সমকাল
দেশে ১০ দিনে চারবার কম্পন, বিপদের লক্ষণ
মাত্র ১০ দিনের মধ্যে দেশে চারবার ভূমিকম্প অনুভূত হলো। এর মধ্যে গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় অনুভূত হওয়া কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৬। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবায়েত কবীর বলেন, বেলা ১১টা ৩৬ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এটিকে মাঝারি মাত্রার হিসেবে ধরা হয়। কম্পনের উৎপত্তিস্থল ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকা। ঢাকা থেকে এর দূরত্ব ৪৪৯ কিলোমিটার।
গতকাল ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৩টা ৬ মিনিটে দেশে ভূকম্পন অনুভূত হয়। উৎপত্তিস্থল ছিল নেপালের কোদারি এলাকা। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫। এটি মাঝারি মাপের ভূমিকম্প। ২৬ ফেব্রুয়ারি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসাম রাজ্যের মরিগাঁও, মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৩। তার আগের দিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে হওয়া ভূমিকম্পের উৎপত্তি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যা-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে। মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১। এ বছরের জানুয়ারিতে দেশে তিনবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
আরও পড়ুন
যুগান্তর
চাঁদাবাজদের ভয়ে ঘরবন্দি ব্যবসায়ী
চাঁদপুর শহরের মঠখোলা খলিশাডুলি এলাকার স্থানীয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা আদায় ও বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঠখোলা খলিসাডুলি ১৩নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ফজলুল হক পাটওয়ারী অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় মহলটি ইতোমধ্যে তার কাছ থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছে। আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করে আসছে। চাঁদাবাজদের হুমকিতে তার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। ওই ব্যবসায়ী ভয়ে ঘর থেকেও বের হতে পারছেন না। তিনি বিষয়টি ভিডিওর মাধ্যমে জানিয়ে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন।
সমকাল
রাজনৈতিক দলের কোর্টে এখন ‘সংস্কারের বল’
ছয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে মতামত জানাতে রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে ‘একমত’, ‘আংশিক একমত’ এবং ‘ভিন্নমত’– এই তিনটি প্রশ্ন রয়েছে। সংস্কার বাস্তবায়নে পাঁচ বিকল্প দিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। বিকল্পগুলো হলো– নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে, নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে, নির্বাচনের সময়ে গণভোটের মাধ্যমে, গণপরিষদের মাধ্যমে এবং নির্বাচনের পর সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে। ঐকমত্য কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সূত্র সমকালকে এসব তথ্য জানিয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোকে গত কয়েক দিনে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুদক, জনপ্রশাসন এবং পুলিশ সংস্কারবিষয়ক কমিশনের প্রতিবেদন একীভূত করে দেওয়া হয়েছে।
কালের কণ্ঠ
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)—এই তিন দলই ঈদের পর পৃথক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মূলত দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে-বিপক্ষে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে রাজপথে নামবে দলগুলো।
দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে এরই মধ্যে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ করেছে বিএনপি। একই দাবিতে ঈদের পর বিভাগীয় পর্যায়ে আরো সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা।
আজকের পত্রিকা
আওয়ামী লীগবিহীন রাজনীতির মাঠে সম্প্রতি নির্বাচন নিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং আরও কয়েকটি দল নির্বাচনের কথা বলছে। তবে আগে জাতীয় সংসদ না স্থানীয় সরকারের নির্বাচন—এ নিয়ে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যও চলছে।
অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে জোর দিলেও বিএনপি চায় ন্যূনতম সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ে সংসদ নির্বাচন। জামায়াত জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য সময় দেওয়ার পক্ষে। এর সঙ্গে এনসিপির মিল থাকলেও তারা নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনেরও দাবি জানিয়েছে।
যুগান্তর
‘মব জাস্টিস’ এখন নতুন এক আতঙ্কের নাম। সংঘবদ্ধ কিছু মানুষের নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়ার প্রবণতাকে অপরাধ বিজ্ঞানের ভাষায় ‘মব জাস্টিস’ বলা হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে এই মব জাস্টিসের নামে কাউকে গণপিটুনি দেওয়া হচ্ছে। যখন-তখন কারও বাড়িতে ঢুকে লুটপাট করা হচ্ছে। কাউকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। কোথাও আবার কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনিক কাউকে জুতার মালা পরিয়ে কান ধরে উঠবস করানো হচ্ছে। বেড়েছে দলবদ্ধ হয়ে বিচারবহির্ভূতভাবে কাউকে হত্যা করার ঘটনাও। প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। মব জাস্টিসের শিকার হচ্ছেন রাজনীতিবিদ, পুলিশ, শিক্ষক, আইনজীবী, চিকিৎসক থেকে শুরু করে চোর-ডাকাত-ছিনতাইকারীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সর্বত্র এক ধরনের ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বণিক বার্তা
সড়ক আন্দোলন থেকে উঠে আসা ছাত্রনেতারা এখন সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলছেন না
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে প্রথমবারের মতো বড় পরিসরে ব্যাপক আন্দোলনের মুখে পড়ে ২০১৮ সালে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে গড়ে ওঠা সে আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তড়িঘড়ি করে সড়ক আইন পাস করে তৎকালীন সরকার। সড়ক নিরাপত্তায় নেয়া হয় বিভিন্ন উদ্যোগ। সেগুলোর বেশির ভাগই এখনো রয়ে গেছে অবাস্তবায়িত অবস্থায়।
সমকাল
চারপাশে মব সহিংসতা, গা-ছাড়া ভাব পুলিশের
‘আমার স্বামী কোনো অপরাধ করলে তাঁকে পুলিশে দিত। জমিজমার ঝামেলা মেটানোর কথা বলে আত্মীয়ের বাসা থেকে ডেকে নিয়ে দুই চোখ তুলে নিল, আঙুল কেটে দেওয়া হলো। ৪০-৫০ জন মিলে পিটিয়েছে। কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে চোখ তুলেছে। ওরা চোখ-আঙুল ফেরত দিতে পারবে? পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও পাইনি। আমি ওদের বিচার চাই।’ গত রোববার চুরির অভিযোগে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার দক্ষিণ আইচার শাহজাহান মিন্টিজ নামে এক ব্যক্তির ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়। চোখের আলো হারিয়ে তিনি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল বুধবার হাসপাতালে তাঁর স্ত্রী ফাতেমা বেগম সমকালকে এসব কথা বলেন।
শাহজাহানের মতো এমন অনেকেই একের পর এক মব সহিংসতার শিকার। কিছু ঘটনায় টার্গেট করেও দলবদ্ধ হামলা করা হচ্ছে। নিরপরাধ ব্যক্তি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, বিদেশি নাগরিকসহ অনেকেই এ ঘটনায় ভুক্তভোগী। সন্দেহের গণপিটুনিতে অনেকেই প্রাণ হারাচ্ছেন।
এছাড়া ১৮ কোম্পানির বালাইনাশক বাড়াচ্ছে কৃষকের বিপদ; প্রকৌশলী স্বামীর সরকারি দপ্তরে ঠিকাদার স্ত্রী; প্রধান উপদেষ্টা / হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।