হোমিওপ্যাথি চিকিৎকদের ৯ দফা দাবি

জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার স্বীকৃতি সংক্রান্ত ৯ দফা দাবি জানিয়েছে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ ডিএইচএমএস ডক্টরস ফাউন্ডেশন।
শনিবার (৮ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ডা. সিরাজুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ওমর কাউসার।
সংগঠনের ৯ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাকে অন্তর্ভুক্ত করা, স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে হোমিওপ্যাথির স্বীকৃতি নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্য বাজেটে হোমিওপ্যাথির জন্য ১০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে আলাদা হোমিওপ্যাথিক অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, ডিএইচএমএস কোর্সকে স্নাতক মান নির্ধারণ, শিক্ষকদের শতভাগ বেতন ও ভাতা প্রদান, হোমিওপ্যাথিক ওষুধ আমদানি ও বিক্রয়ে শুধুমাত্র ‘হোমিওপ্যাথিক আইন ২০২৩’ কার্যকর রাখা এবং বায়োকেমিক চিকিৎসা পদ্ধতির কোর্স চালু করা।
আরও পড়ুন
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার কথা উল্লেখ থাকলেও হোমিওপ্যাথির কোনো স্বীকৃতি নেই, যা দুঃখজনক। এ অবহেলা দ্রুত সংশোধনের করতে হবে।
এছাড়া, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার প্রসারে একটি আলাদা অধিদপ্তর গঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন এবং জাতীয় বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ নিশ্চিত করার দাবি তুলে ধরা হয়। এসব দাবি পূরণ করা হলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা আরও সমৃদ্ধ হবে এবং জনগণ সহজে সাশ্রয়ী চিকিৎসাসেবা পাবে।
ওএফএ/এমএন