৩০ জেলায় শিশুর টিকা সংকট

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
ওয়ান-ইলেভেনে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ভূমিকায় বিরাট ভুল ছিল: সাবেক মার্কিন কূটনীতিক
বাংলাদেশে ২০০৭-০৮ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জনগণের প্রত্যাশার চেয়ে জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের ভাবনাকে যুক্তরাষ্ট্র বেশি গুরুত্ব দিয়েছিল। এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্ব ছিল নির্বাচনের সময়সীমার ওপর। ওই সময়ে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন এই নীতি বড় ভুল ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক উপরাষ্ট্রদূত জন ড্যানিলোভিচ।
গতকাল শনিবার রাজধানীতে এক আলোচনায় বাংলাদেশে ২০০৭-০৮ সালের রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে নিজের দেশের ভূমিকা নিয়ে এমন মন্তব্য করেন সাবেক এই মার্কিন কূটনীতিক। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা নিয়েছিল। ওই ঘটনা ওয়ান ইলেভেন বা এক-এগারো নামে পরিচিত। জন ড্যানিলোভিচ ওই সরকারের আমলে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতেন।
সমকাল
নির্বাচন ঘিরে সন্দেহ শঙ্কায় বিএনপি
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রলম্বিত করার চেষ্টা চলছে বলে সন্দেহ করছে বিএনপি। গণপরিষদ নির্বাচন, নতুন সংবিধান, সেকেন্ড রিপাবলিক ও জুলাই ঘোষণাপত্র ঘিরে সময়ক্ষেপণের আয়োজন করা হচ্ছে বলেও মনে করে দলটি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির উল্লেখ করে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান যে লক্ষ্য একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, এভাবে চলতে থাকলে সেটি ধীরে ধীরে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে তারা ‘নির্বাচন প্রলম্বিত করার’ আয়োজন হিসেবে দেখছেন।
পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকার যদি ‘অনির্দিষ্ট মেয়াদে’ ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করে, তাহলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতাও তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে মাঠের রাজনীতিতে থাকা বৃহৎ এই দলটি।
কালের কণ্ঠ
দেশের বিভিন্ন জেলায় গত জানুয়ারি মাস থেকে শিশুদের টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ সংকট এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এতে শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় জন্মের পর থেকে ২৩ মাস বয়সের মধ্যে শিশুদের ১০টি বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক এই টিকা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন
বণিক বার্তা
সাশ্রয় নেই জনপ্রশাসনে খরচ বেড়েই চলেছে
প্রতি বছরের বাজেটে জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় মেটাতে বড় অংকের অর্থ বরাদ্দ থাকে। এ বাবদ সরকারের প্রকৃত ব্যয়ের পরিমাণও বেশ বড়। প্রতি বছরই এ খাতে সরকারের ব্যয় বাড়ছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) এর আগের বছরের তুলনায় জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে সরকারের ব্যয় বেড়েছে হাজার কোটি টাকারও বেশি। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, ভূতাপেক্ষ পদোন্নতিসহ সামনে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা দেয়া হলে এর প্রভাবে বেতন-ভাতা বাবদ সরকারের ব্যয় আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মানবজমিন
সরকার বদল হলেই ডেভিল বদলায়। সামরিক-বেসামরিক সব সরকারের আমলে একই হাল। স্থানীয় কিছু আছে ‘পার্মানেন্ট পাওয়ার পার্টি’। তারা সব আমলে সক্রিয়। পথ-ঘাট চেনার কারণে বহিরাগত রাজনৈতিক ডেভিলদের কাছে তারা অপরিহার্য। তাদের নিজের কোনো পুঁজি খাটাতে হয় না। তাদের অবস্থা লাসভেগাস, সিঙ্গাপুর কিংবা হংককের ক্যাসিনোতে থাকা পার্মানেন্ট জুয়াড়িদের মতো। যারা নিজের অর্থে খেলে না। তবে তারা সার্টিফিকেট বা কার্ডধারী জুয়াড়ি। দামি ক্যাসিনোতে কোটি কোটি ডলার তাদের কার্ডেই ট্রানজেকশন হয়। রেকর্ডে তারা ক্যাসিনোর একেকজন সম্রাট। চোরাচালান রাজ্য পূর্ব সিলেটেও এমন অনেক জুয়াড়ি আছে।
আজকের পত্রিকা
থানায় থানায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাদের তালিকা হচ্ছে
নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সারা দেশের নেতা-কর্মীদের খোঁজখবর রাখতে বিশেষ তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে প্রতিটি থানায় ছাত্রলীগ নেতাদের তালিকা করা হচ্ছে। সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, সামাজিক কার্যক্রম এবং সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বুঝতে এই উদ্যোগ বলে জানা গেছে।
পুলিশ সদর দপ্তর, বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ও থানা পর্যায়ের একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এই উদ্যোগের বিষয়টি জানা গেছে। পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো ধরনের হয়রানি, মামলা করতে নয়; রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের তথ্য-উপাত্ত যাচাই করা হচ্ছে।
যুগান্তর
রামগড় স্থলবন্দর এবং ফেনী ইকোনমিক জোন চালু হলে দেশের নিরাপত্তা হুমকি বাড়ার আশঙ্কা করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এক গোপনীয় প্রতিবেদনে বিজিবি দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে রামগড় স্থলবন্দর এবং ফেনী অর্থনৈতিক অঞ্চলে চালু না করার সুপারিশ করেছে। সম্প্রতি ওই প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
সমকাল
ক্ষোভে ফুঁসছে দেশ, মধ্যরাতে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
নির্যাতন, ধর্ষণসহ নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। গতকাল শনিবার সারাদেশে কর্মসূচির মাধ্যমে নিপীড়কদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার দাবি তুলেছে নানা শ্রেণি-পেশার ক্ষুব্ধ মানুষ।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন, নারী ও কন্যার উন্নয়ন’। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘অদম্য নারী, শক্তিতে অজেয়’ শীর্ষক সমাবেশ করে ছাত্রদল। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। এগুলো রোধ করা না গেলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার রহস্য উন্মোচন করুন। এসব নির্যাতনের ঘটনায় পতিত ফ্যাসিস্টদের চক্রান্ত আছে কিনা, তা বের করুন। বাংলাদেশকে কোনোভাবে অস্থিতিশীল করা যাবে না।’
প্রথম আলো
জাতীয়তাবাদী চালক দল কীভাবে এল, নেতা কারা
‘অবৈধ অস্ত্র ও ছাত্র-জনতার হত্যাকারীরা’ লুকিয়ে আছে—এমন কথা রটিয়ে ‘মব’ সৃষ্টি করে ঢাকার গুলশানে একটি বাড়ি লুট করতে যায় একদল লোক। ৪ মার্চ মধ্যরাতে এ ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন জুয়েল খন্দকার নামের এক ব্যক্তি। যিনি নিজেকে ‘জাতীয়তাবাদী চালক দল’-এর সাধারণ সম্পাদক বলে পরিচয় দেন।
এ ঘটনার পর আলোচনায় আসে জাতীয়তাবাদী চালক দল। এটা কী ধরনের সংগঠন, কারা বানিয়েছে এটা? এর সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির কোনো যোগসূত্র আছে কি না। বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের কেউ এই সংগঠনকে স্বীকৃতি দিতে রাজি নন। কেউ বলেন, এগুলো সব ‘দোকান’; কেউবা বলেন, ‘ভুঁইফোড়’ সংগঠন। বিএনপির নাম ভাঙিয়ে ‘ধান্দা’ করার জন্য সামনে এমন সংগঠন সামনে আরও বাড়তে পারে বলেও নেতাদের অনেকে আশঙ্কা।
কালের কণ্ঠ
মৃত্যুদণ্ড সত্ত্বেও থেমে নেই ধর্ষণ!
দেশে ধর্ষণ বন্ধে সরকার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান করেছিল। কিন্তু ওই আইনেও কাজ না হওয়ায় ২০২০ সালে মৃত্যুদণ্ডের বিধান তৈরি করে সরকার। তাতেও কাজ হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইন্টারনেটের পর্ন সাইটগুলো বন্ধ করা এবং নীতি-নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়া ছাড়া ধর্ষণের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না।
২০২০ সালে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারা দেশে লকডাউন চলছিল। ছিল কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা। এ অবস্থায়ও কমেনি ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন। বরং পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গত পাঁচ বছরের মধ্যে করোনার সময় ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
এছাড়া তারেক রহমান জানালেন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ তিন নারীর কথা; প্রধান উপদেষ্টা / মোকাবিলা করা হবে নারীবিরোধী শক্তিকে; মাগুরার শিশুটি ‘সংকটাপন্ন’ সিএমএইচে স্থানান্তর—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।