বিয়াম ফাউন্ডেশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১০ নির্দেশনা

বিয়াম ফাউন্ডেশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১০ নির্দেশনা দিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-১ শাখা থেকে সম্প্রতি বিয়াম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিগত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত অনুমান ৩টা ১৫ মিনিটে বিয়াম ভবনের বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ সমিতির ৫০৪ নং কক্ষে সংঘটিত বিস্ফোরণে কক্ষটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ভবনে অবস্থানরত প্রশিক্ষণার্থী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব গত এক মার্চ বিয়াম ফাউন্ডেশন পরিদর্শন করেন এবং ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। ভবনের ক্ষতিগ্রস্ত কক্ষ পরিদর্শন এবং সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে সিনিয়র সচিব স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
নির্দেশনাগুলো হলো:
১) বিয়াম ফাউন্ডেশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ভবনে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রিত থাকবে। মাঠ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা বা কোনো অতিথি রাত ১১টার পর অবস্থানের জন্য বিয়ামে প্রবেশের প্রয়োজন হলে আগেই ফ্রন্ট ডেস্ককে অবহিত করতে হবে এবং তার বিবরণ রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ থাকবে।
২) প্রশাসনিক ভবনের মূল প্রবেশদ্বারে কলাপসিবল গেট বা এ ধরনের মজবুত ও নিরাপদ স্টেইনলেস স্টিলের গেট অতিসত্বর স্থাপন করতে হবে। প্রশাসনিক ভবনের মূল প্রবেশ পথেই রিসেপশন থাকবে এবং ভবনে প্রবেশের জন্য সব দর্শনার্থীকে রিসেপশনে রক্ষিত রেজিস্টারে নাম, পদবি ও ফোন নম্বর এবং কারণ লিখতে হবে।
৩) সার্বক্ষণিকভাবে সিসিটিভির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৪) প্রধান ফটক, প্রশাসনিক ভবন, মাল্টিপারপাস হলের প্রবেশদ্বারের ভেতরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োজিত করতে হবে এবং নিরাপত্তা প্রহরীর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।
৫) নৈশ প্রহরীরা নির্ধারিত পোশাকে ডিউটি করবেন, নৈশকালীন ডিউটিতে প্রত্যেক নিরাপত্তা প্রহরীর হাতে তিন ব্যাটারির টর্চ থাকবে।
৬) নিরাপত্তা প্রহরীদের জন্য নির্ধারিত কক্ষে কোনো প্রকার খাট/চৌকি অথবা ঘুমানোর জন্য কোনো প্রকার ব্যবস্থা রাখা যাবে না।
৭) প্রতিটি শিফটে নিরাপত্তা প্রহরীদের ডিউটি তদারকির জন্য একজন সুপার ভাইজার নিয়োজিত থাকবে।
৮) নৈশ প্রহরী এবং অন্যান্য সব স্টাফের পোশাকে বড় হরফে নেমপ্লেট থাকবে, যাতে দূর থেকেই নাম দেখা যায়।
৯) বিয়ামের সীমানা প্রাচীরে বারবেডওয়্যার স্থাপন করতে হবে।
১০) নিয়মের বাইরে দীর্ঘদিন যাতে কেউ বিয়ামে অবস্থান করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
চিঠিতে বলা হয়, বিয়াম ফাউন্ডেশন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া, এ প্রতিষ্ঠানে মাঠ পর্যায়ের বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তারা জরুরি প্রয়োজনে সীমিত সময়ের জন্য অবস্থান করে থাকেন। বিগত ২৮ ফেব্রুয়ারির বিস্ফোরণের ঘটনায় বিয়াম ফাউন্ডেশনের নিরাপত্তার ঘাটতি বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়। এতে প্রশিক্ষণার্থী ও হোস্টেলে অবস্থানকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয় এবং বিয়ামের সুনাম বিনষ্ট হয়।
এতে আরও বলা হয়, সিনিয়র সচিবের নির্দেশনা অনুযায়ী বিয়াম ফাউন্ডেশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে এ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এসএইচআর/জেডএস