হিমাগারের আকস্মিক ভাড়া বৃদ্ধিতেই দাম পড়েছে কৃষিপণ্যের

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
দুই বছরের মাথায় যন্ত্র বিকল: একেকটি ট্রেন ধুতে গচ্চা ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা
বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেন ধোয়ার জন্য ৩৮ কোটি টাকায় দুটি স্বয়ংক্রিয় ধৌতকরণ ব্যবস্থা বা ওয়াশিং প্ল্যান্ট কিনেছিল। একটি স্থাপন করা হয় ঢাকার কমলাপুরে, অন্যটি রাজশাহীতে। ২০ মাসের মাথায় প্ল্যান্ট দুটি বন্ধ হয়ে যায়।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, দুটি প্ল্যান্ট দিয়ে ২ হাজার ৯২৯ বার ট্রেন ধোয়া সম্ভব হয়েছিল। হিসাব করে দেখা যায়, প্ল্যান্ট দুটি স্থাপনে যে ব্যয় হয়েছে, তাতে প্রতিটি ট্রেন ধোয়ার পেছনে সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। প্রচলিত ব্যবস্থায় হাতে ট্রেন ধুতে খরচ হয় ১ হাজার টাকার মতো।
সমকাল
মাদক মাফিয়ারা কারাগারে তবু সক্রিয় ১৪ চক্র
রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের ৪ নম্বর সেক্টরে সাকিল বুক ডিপো থেকে ৭ নম্বর সেক্টরের ডাস্টবিন পর্যন্ত চলে গেছে একটি রাস্তা। এর মধ্যেই তিনটি পয়েন্টে দেখা মেলে তিন দল মাদক বিক্রেতার। শুরুতে পাপ্পু স্যালুন এলাকায় ইমতিয়াজ ও শাহ আলমের লোকজন ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইন বিক্রি করছে। কিছুদূর এগোনোর পর নাসিরের সিমেন্টের দোকানের আশপাশে হাসিব এবং আরও পরে ভাঙাড়ি দোকান এলাকায় মাদক বিক্রি করছিল আজাদ-বিল্লালের সহযোগীরা। রাস্তায় নতুন কাউকে দেখলেই তারা হাঁকডাক শুরু করে। কেউ বলছিল, ‘পাতা লাগবে, পাতা?’ আবার কেউ বলে, ‘ছোট না বড়?’ আরেক দল শুধু বলছিল, ‘পঞ্চাশ-একশ, পঞ্চাশ-একশ’।
এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাতা মানে হেরোইন, ছোট না বড় বলতে ইয়াবার আকারের ভিত্তিতে দুটি ধরন এবং পঞ্চাশ-একশ বলতে গাঁজার পুরিয়ার দাম বোঝানো হচ্ছে। নিয়মিত ক্রেতা সাংকেতিক শব্দ শুনলেই বুঝতে পারেন কোন কারবারি কী বিক্রি করছে।
কালের কণ্ঠ
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে। ছাত্রদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় সব উপাচার্য (ভিসি) দ্রুত ছাত্রসংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এই সাত মাসে শুধু জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় রোডম্যাপ ঘোষণা করতে পারেনি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রসংসদ নির্বাচন নিয়ে নানা সমীকরণ চলছে।
যুগান্তর
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য জালিয়াতির তথ্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। গ্রুপটির নামে এতদিন যে খেলাপি ঋণের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে বাস্তবে তা দ্বিগুণের বেশি। অর্থাৎ খেলাপির অঙ্ক গোপন রেখে অর্ধেকের কম দেখানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত সম্পন্ন হওয়া তদন্তে বেক্সিমকো গ্রুপের নামে-বেনামে ৫৩ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণের তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এটি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
শুধু তাই নয়, আমদানি-রপ্তানির আড়ালে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার হিসাব এখনও মিলছে না। এসব টাকা পাচার হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকা পাচারের তথ্য শনাক্ত করা হয়েছে। আর সব মিলিয়ে মোট ৬১ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, লেনদেন স্থগিত বা আটক করা হয়েছে। বিদেশে ৫টি শেল কোম্পানির (প্রকৃত মালিকের পরিচয় গোপন করে বেনামি কোম্পানি) অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এছাড়া পিতা (সালমান) পুত্রের মতো চাচা (সালমান) ভাতিজা মিলেও টাকা পাচার করেছেন।
আজকের পত্রিকা
সংস্কার কখন কতটুকু হবে সিদ্ধান্ত নেবে দলগুলো
বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংস্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, সংস্কারপ্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে পারে জাতিসংঘ। তবে কতটুকু সংস্কার করা হবে এবং তার কতটা নির্বাচনের আগে এবং কতটা পরে হবে, দেশের জনগণের সঙ্গে আলোচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোকেই তা ঠিক করতে হবে।
রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল শনিবার রাজনৈতিক দল এবং তরুণ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে এসব কথা বলেন জাতিসংঘের মহাসচিব। পরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনেও সংস্কারপ্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের সহায়তার কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন
সমকাল
সরকারি খাতায় সফল, আদতে ‘মাকাল ফল’
ভিক্ষুক পুনর্বাসনের নামে উত্তরের ১৬ জেলায় ঢালা হয়েছে কোটি কোটি টাকা। প্রকল্প ‘সফল’ বলে কর্মকর্তারা মুখে তুলছেন ফেনা। সরকারি প্রতিবেদনেও ‘হাজার হাজার ভিক্ষুক পুনর্বাসিত’ উল্লেখ করে কুড়াচ্ছেন বাহবা। বাস্তবতা এই, রাস্তায় রাস্তায় থালা হাতে দাঁড়িয়ে থাকছেন আগের ভিক্ষুকরাই! তাহলে বরাদ্দের টাকা গেল কই? যদি ভিক্ষুকরা পুনর্বাসিতই হবেন, তাহলে কেন ফিরলেন আগের পেশায়– এসব প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তারা। তবে বরাদ্দের টাকা ইচ্ছামতো নয়ছয় ও অব্যবস্থাপনার কারণে পুরো প্রকল্প ব্যর্থ– অনুসন্ধানে সে প্রমাণ পেয়েছে সমকাল।
ভিক্ষাবৃত্তি থেকে দরিদ্র মানুষকে দূরে রাখতে সরকারি এ প্রকল্প দেশজুড়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ‘ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান’ নাম দিয়ে কর্মসূচিটি চালাচ্ছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ভিক্ষুক পুনর্বাসনে ক্ষুদ্র ব্যবসা, গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগি ও সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। ২০১০ সালের আগস্টে কর্মসূচি শুরু হলেও সেই সময় পুনর্বাসন কার্যক্রম তেমন গতি পায়নি। পরে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে একযোগে উত্তরের ১৬টিসহ দেশের ৫৮ জেলায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। জানা গেছে, ২০১০ সাল থেকে পরের ১৪ বছরে এই প্রকল্প ৮৭ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। এর মধ্যে ৫৪ কোটি ১০ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে কাগজে-কলমে পুনর্বাসনের সুবিধা পেয়েছেন ১৭ হাজার ৭১০ জন। বরাদ্দের প্রায় ২৮ কোটি টাকা ছিল উত্তরের ১৬ জেলায়। তবে এখানকার বেশ কয়েকটি জেলা ঘুরে ভিক্ষাবৃত্তি কমার বদলে উল্টো নতুন ভিক্ষুকের আবির্ভাব ঘটেছে। প্রকল্পের সুবিধা নিয়েও অধিকাংশ ভিক্ষুক ভিন্ন কর্মক্ষেত্রে স্থায়ী হননি।
দেশ রূপান্তর
২০ বিলিয়নের ‘ফাঁদে’ আটকে রিজার্ভ
একটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রধান নির্দেশক হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এটি মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ, যা আমদানিব্যয় মেটানো, মুদ্রার বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ করা এবং বৈদেশিক দেনা পরিশোধের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের ঘরে ওঠানামা করছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রিজার্ভ থেকে ডলার খরচ ও অর্থ পাচার অনেকটা বন্ধ থাকলেও ২১ বিলিয়নের গন্ডি পার হয়নি রিজার্ভ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে আমদানিব্যয় সংকুচিত করা ছিল। সম্প্রতি সংকট ঠেকাতে আমদানি বাড়ানো হয়েছে। যে কারণে রিজার্ভ একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আটকে আছে।
বণিক বার্তা
হিমাগারের আকস্মিক ভাড়া বৃদ্ধিতেই দাম পড়েছে কৃষিপণ্যের
কৃষক পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি কেজি টমেটো উৎপাদনে তাদের ব্যয় হয় ১২-১৩ টাকা। আর পণ্যটি রাজধানীর বাইরে বিক্রি হচ্ছে স্থান ও মানভেদে প্রতি কেজি ৮ থেকে ১৮ টাকায়। পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যয় কেজিতে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। কোনো কোনো স্থানে তা ৩৫ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে।
প্রথম আলো
সুপারিশ নিয়ে পুলিশে ক্ষোভ, বলবেন প্রধান উপদেষ্টাকে
পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশে কিছু বিষয়ে অস্পষ্টতা নিয়ে এবং কিছু দরকারি সুপারিশ না করায় পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়টি অন্যতম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রেখে পেশাদারত্বের সঙ্গে পরিচালনার জন্য স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা ছিল, কিন্তু সংস্কার কমিশন এ বিষয়ে কোনো রূপরেখা দেয়নি। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত এবং ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা’ ও ‘বিচার-বিশ্লেষণ’ করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছে অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞদের দিয়ে গঠিত সংস্কার কমিশন।
কালের কণ্ঠ
সড়কপথে গণপরিবহনে ঈদ যাত্রা ঘিরে আতঙ্ক
ঈদ যাত্রায় সড়কপথে গণপরিবহন চালাতে ডাকাতির ভয়ে আতঙ্কে আছেন বাস মালিকরা। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনে ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবহন খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বিশেষ করে রাতে দূরপাল্লার বাসে ডাকাতির আশঙ্কা বেশি। দূরপাল্লার বাস মালিকরা বলছেন, ছদ্মবেশে ডাকাতরা যাত্রী হয়ে বাসে উঠে সুযোগ মতো স্থানে চালক ও যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে।
দেশ রূপান্তর
ভরদুপুরে গোডাউনে চলছে মুরগি, মাছ ও গরুর খাবারের সঙ্গে ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য মেশানোর কাজ। একজন পুরুষ চালাচ্ছেন কাটার মিল (ফিড তৈরির যন্ত্র)। কয়েকজন নারী শ্রমিক গোডাউনে রাখা ট্যানারির বর্জ্য গামলায় নিয়ে ঢালছেন কাটার মিলের ছোট্ট চুল্লিতে। পাশাপাশি ওই চুল্লিতে ঢালা হচ্ছে ইউরিয়া সার এবং ইউলো প্রোটিন নামে এক ধরনের পদার্থ। আর এসব মেশানোর সময় গোডাউনটিতে যেন ‘ধূলিঝড়’ বয়ে যাচ্ছে। শরীরে ধূলির আস্তর পড়ে চেনা যাচ্ছে না নাক-মুখে কাপড় পেঁচানো শ্রমিকদের। বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে পোলট্রি ফিড নামে পরিচিত মাছ, মুরগি ও গরুর খাবার তৈরির এমন ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানা এলাকার রাজাখালী ফায়ার সার্ভিস এলাকার ‘ফাইভ স্টার’ গলির হাজী মো. সালাউদ্দিন ওরফে সালাউদ্দিন মাঝির গোডাউনে।
এছাড়া কূটনীতিকপাড়ায় গুরুত্ব বেড়েছে জামায়াতের; রাজনীতিকরাই ঠিক করবেন সংস্কার কীভাবে-কতটুকু; দ্রুত সংস্কার শেষে নির্বাচনের কথা বলেছে বিএনপি; সংস্কার ও জাতীয় ঐক্যে গুরুত্ব দিয়েছে জামায়াত—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।