যুক্তরাজ্যে শিক্ষার্থী গমন কমেছে ৩৯%

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
ভূগর্ভস্থ পানির স্তর সবচেয়ে বেশি নামছে কোথায় কোথায়
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের জগদল গ্রামের তিনটি টিউবওয়েলের সব কটিই নষ্ট। গ্রামটিতে প্রায় এক শ পরিবারের বাস। তাদের নিত্যদিন পানির কষ্ট। এই গ্রামে ২৫০ বিঘার বোরো চাষের একটি ‘স্কিম’ ছিল বাবুল হোসেনের। গভীর নলকূপের সেচেই চলত বোরো চাষ। ভূগর্ভে পানি কমে যাওয়ায় বছর দশেক ধরে সব জমিতে বোরো চাষ বন্ধ। তাই এসব খেতে এখন গমের চাষ হয়।
গ্রামে এখন আমন ধান আর শুষ্ক মৌসুমে গম—এই দুই চাষে সীমাবদ্ধ চাষাবাদ। তবে লালমাটির বরেন্দ্রভূমির এ গ্রামে বর্ষার পানিনির্ভর আমনেও অনেক সেচ লাগে। বাবুল হোসেন বলছিলেন, আমনের বীজ লাগানোর পরই সেচ শুরু হয়। এরপর একনাগাড়ে চলে। বর্ষাও তো কমে গেছে।
সমকাল
৪০ হাজারের যাচাই শেষ বাকি আরও ৫০ হাজার
২০১২ সালের ৩ জুলাই পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে মো. সুমন। মুক্তিযোদ্ধার নাতি হিসেবে পুলিশ ভেরিফিকেশনের পর তাঁর এ নিয়োগ সম্পন্ন হয়। ২০১৩ সালের ২৯ মার্চ থেকে কনস্টেবল পদে চাকরিরত ছিলেন তিনি। গত ২১ অক্টোবর তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি নেওয়ার লিখিত অভিযোগ দেন স্থানীয় যুবক মো. ফরহাদ মিয়া।
অভিযোগে বলা হয়, মো. সুমনের দাখিল করা মুক্তিযোদ্ধার সনদে উল্লিখিত মো. হোসেন মিয়া (অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য) তাঁর দাদা নন। তাঁর দাদার নাম আলতাফ আলী হোসেন। তদন্ত চলাকালে ১ ডিসেম্বর চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন সুমন। ২ মার্চ তাঁকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
আজকের পত্রিকা
জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি জোরালো হচ্ছিল। সেই সময়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা সরকারের নেই জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া বক্তব্য ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ।
আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে—এমন আশঙ্কা থেকে নিরাপত্তা বাহিনীকেও জড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণেরা। এ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না এলে রাজনীতিতে নতুন সংকটের ছায়া দেখছেন বিশ্লেষকেরা।
বণিক বার্তা
ব্যবসায়িক স্বস্তিতে আদানি, বাংলাদেশে অনেকটা দুশ্চিন্তামুক্ত
বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে আদানি পাওয়ারের বিপুল পরিমাণ পাওনা বকেয়া পড়ে যায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে। সে সময়ে আদানি পাওয়ারকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ বিল পরিশোধ করা হতো প্রতি মাসে গড়ে ২০-৩০ মিলিয়ন ডলার। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর আদানির কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনা বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিল পরিশোধও বেড়েছে আগের চেয়ে তিন-চার গুণ। বর্তমানে প্রতি মাসে গড়ে ৮০-৮৫ মিলিয়ন ডলার বিল পাচ্ছে আদানি পাওয়ার। চলতি মার্চেও আদানি পাওয়ারকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ ৯৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিল পরিশোধ করেছে বিপিডিবি।
কালের কণ্ঠ
হঠাৎ রাজনীতি উত্তাল, জনমনে উদ্বেগ
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা সরকারের নেই—প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের এই বক্তব্য ঘিরে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই বক্তব্যের পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন দল ও মহলের অবস্থানে রাজনৈতিক অঙ্গনে হঠাৎ তোলপাড় শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের মধ্যেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। দেশ আবার সংঘাতময় হয়ে উঠে কি না, তা নিয়ে শঙ্কিত দেশের জনগণ।
সমকাল
ঢাকার ফুটপাতে চাঁদাবাজি সচল, কুশীলব বদল
গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর শূন্যের ঘরে নেমে এসেছিল রাজধানীর ফুটপাতের চাঁদাবাজি। সুসময় টেকেনি বেশি দিন। আবারও চাঁদাবাজরা ফিরেছে পুরোনো চেহারায়। আগের চেয়ে বরং ফুটপাত-রাজপথে বেড়েছে হকার। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেড়েছে চাঁদার অঙ্ক। কোথাও কোথাও এসেছে নতুন চাঁদাবাজ।
অনেক এলাকায় আওয়ামী লীগের বদলে চাঁদাবাজের তালিকায় উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীর নাম। চাঁদাবাজির হোতা হিসেবে রাজধানীর দুয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নামও সামনে আসছে। কোনো এলাকায় বদল হয়েছে লাইনম্যানের। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আগের চেয়ে অনেকটাই কম।
আরও পড়ুন
যুগান্তর
ধর্ষণের বিচারে পদে পদে সময়ক্ষেপণের চিত্র
সামাজিক হেনস্তার ভয় কাটিয়ে ধর্ষণের বিচার চাইতে দাঁড়ালেও পদে পদে বাধার মুখে পড়তে হয় নারীদের। এক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি প্রভাবশালীদের চাপ, আইনের ফাঁক, বিচারের প্রতিটি ধাপে সময়ক্ষেপণ, মামলার দীর্ঘসূত্রতাকে বড় কারণ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীরা। বর্তমানে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত এবং ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার কাজ সম্পন্নের বিধান থাকলে বিচার শেষ করতে লাগছে ৫ বছর বা তারও বেশি। সম্প্রতি মাগুরার আলোচিত শিশু ধর্ষণের ঘটনার পর সরকার ১৫ দিনে তদন্ত এবং ৯০ দিনে বিচার কাজ সম্পন্ন করার কথা বলছে। বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকৃতপক্ষে বিচার প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে সময়ক্ষেপণের যে চিত্র তা ভয়াবহ। আদালতে ধর্ষণ মামলার স্তূপ জমে গেছে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারাচ্ছে মানুষ।
কালের কণ্ঠ
ঢাকায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনি দুজন নিহত
ঢাকার চকবাজার ও কেরানীগঞ্জে গতকাল শুক্রবার ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে আরো দুজন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চকবাজার চম্পাতলী সোয়ারীঘাট এলাকায় এক ছিনতাইকারী নিহত হয়।
চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, কেরানীগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় ছিনতাই করার সময় স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দেয়। এ সময় ছিনতাইকারী দলের এক সদস্য পালিয়ে যায়। অন্য তিনজন নদীতে ঝাঁপ দেয়। তারা সাঁতার কেটে চকবাজার চম্পাতলী ঘাটে এলে স্থানীয় জনতা তাদের পিটুনি দেয়।
দেশ রূপান্তর
ঐকমত্য কমিশনে অভিমত জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিএনপির অবস্থান কী হবে তা তৈরি করেছে দলটি। কমিশনে অভিমত জমা দেওয়ার পাশাপাশি সংস্কারের ব্যাপারে তাদের প্রস্তাব কী হবে তা সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ করবে বিএনপি। জানা গেছে, সরকারের কিছু বিভাগে সংস্কার চাইলেও সংবিধানের মৌলিক পরিবর্তনে বিএনপি একমত নয়। এতে নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে বলে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা সংশয়ান্বিত।
সমকাল
বনের ৮৭৫ একর জমির বরাদ্দ বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আরও ১৩ হাজার ৫৬৭ একরের বরাদ্দ শিগগির বাতিল হচ্ছে। গত তিন দশকে সারাদেশে সরকারি ৪৫টি সংস্থাকে ১ লাখ ৬১ হাজার একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এসব জমির বড় অংশে এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে আজ শুক্রবার সরকারি-বেসরকারিভাবে বিশ্ব বন দিবস পালন করা হবে। এবারের প্রতিপাদ্য– ‘বন-বনানী সংরক্ষণ, খাদ্যের জন্য প্রয়োজন’।
বণিক বার্তা
যুক্তরাজ্যে শিক্ষার্থী গমন কমেছে ৩৯%
বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য যুক্তরাজ্য। তবে গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২৩ সালে সবচেয়ে কম শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে যুক্তরাজ্যে গেছেন। এ বছর বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে গেছেন মাত্র ৯ হাজার ২৭৫ জন। যেখানে ২০২২ সালে দেশটিতে পড়তে যান ১৫ হাজার ২৩৪ বাংলাদেশী শিক্ষার্থী। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শিক্ষার্থী যাওয়ার হার কমেছে প্রায় ৩৯ শতাংশ।
প্রথম আলো
বেড়েছে ছিনতাই–অপহরণ, কমেছে ৩ ধরনের অপরাধ
দেশে সামগ্রিক অপরাধ ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে ডাকাতি, ছিনতাই, দস্যুতা, অপহরণের মতো ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। খুনও বেড়েছে কিছুটা। তবে ধর্ষণ, চুরি ও সিঁধেল চুরির মতো অপরাধ কমেছে। গত সাত মাসে উল্লেখিত সাত ধরনের অপরাধের ঘটনায় সারা দেশের মামলার পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
২০২৪ সালের আগস্ট থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই সাত ধরনের ১৩ হাজার ৪৯৬টি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ২০২৩-২৪ সালের একই সময়ে এই সাত ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ১২ হাজার ৭১৪টি। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে অপরাধ ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়েছে।
এছাড়া ইউনূস-মোদি বৈঠক এখনো অনিশ্চিত; সরকার-এনসিপির দূরত্ব বাড়ছে; ক্যান্সার হাসপাতালটিও উড়িয়ে দিল ইসরায়েল—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।