গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকদের মুক্তির দাবি গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের

গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ ও রবিনটেক্স লিমিটেডের গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি এবং হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সৌমিত্র কুমার দাসের পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন, সাইফুল ইসলাম শরিফ, আনোয়ার খান, রুহুল আমিন সোহাগ, খোরশেদ আলমা মথুন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, রবিনটেক্সের শ্রমিকরা ইউনিয়ন গঠন ও নিবন্ধন করার প্রচেষ্টা শুরু করার পর থেকেই কারখানা কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিতভাবে শ্রমিকদের সংগঠিতভাবে মত প্রকাশের অধিকারকে দমন করতে ইউনিয়ন নির্মূল করার কাজ চালিয়ে আসছিল। ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় রবিনটেক্স কর্তৃপক্ষ সরকারের ঊর্ধ্বতনদের সহায়তায় শ্রম অধিদপ্তরের ওপর অন্যায় চাপ তৈরি করে শ্রমিকদের ইউনিয়ন নিবন্ধন দিতে বাধা দেয়। শ্রম অধিদপ্তরের এই অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শ্রমিক ইউনিয়ন শ্রম আদালতে আপিল করে যা এখনও বিচারাধীন। ইউনিয়ন নিবন্ধনের প্রক্রিয়া অনিষ্পন্ন থাকা অবস্থায় ইউনিয়ন কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা যায় না, কিংবা চাকরির শর্ত পরিবর্তন করা যায় না। শ্রম আইনের এই বিধান স্বত্বেও ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদককে গত চার মাস যাবত কারখানায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। শ্রম অধিদপ্তর ও শ্রম পরিদর্শন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে অভিযোগ করেও শ্রমিকরা এই আইন লঙ্ঘনের প্রতিকার পায়নি।
বক্তারা আরও বলেন, রবিনটেক্স এবং পুলিশের দায়ের করা মামলায় ৬৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে ভয় দেখিয়ে চাকরিচ্যুত করা, শ্রমিকদের বাসায় পুলিশ যাওয়া এবং রবিনটেক্স কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিতভাবে সংগঠিত হওয়ার প্রচেষ্টাকারী শ্রমিকদের দমন করতে এই ধরনের ঘটনা সংগঠিত হওয়ার ক্ষেত্র তৈরি করেছে। এসব কর্মকাণ্ড অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
ওএফএ/এমএন