নামিবিয়ার রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ

বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রিটোরিয়ায় নিযুক্ত হাইকমিশনার শাহ্ আহমেদ শফী নামিবিয়ার রাষ্ট্রপতি নাতেমবো নানদিন দাইতওয়াহ-এর কাছে বাংলাদেশের অনাবাসিক হাইকমিশনার হিসেবে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
স্থানীয় সময় গত বুধবার (৭ মে) বাংলাদেশের অনাবাসিক হাইকমিশনার নামিবিয়ার রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন।
বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রিটোরিয়া জানায়, নামিবিয়ার রাষ্ট্রপতির কাছে ওইদিন বাংলাদেশসহ মোট পাঁচটি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার পরিচয়পত্র পেশ করেন। বাংলাদেশ পর্বের পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানটি নামিবিয়ার রাজধানী উইন্ডহোক-এ অবস্থিত রাষ্ট্রপতির অতিথি ভবনে শেষ হলে হাইকমিশনার বাংলাদেশ ও নামিবিয়ার মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।
তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং নামিবিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার যে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে সে ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। বিশেষ করে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও ওষুধশিল্পে বাংলাদেশ বিগত কয়েক দশক ধরে যে অভাবনীয় উন্নতি সাধন করেছে, সে কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, নামিবিয়া চাইলে এদেশে পোশাক কারখানা স্থাপন করা সম্ভব এবং দুই দেশ থেকেই জনশক্তি নিয়োগ দিয়ে এ শিল্প স্থাপন করে পরস্পরের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে নামিবিয়া তাদের বেকারত্ব সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারে।
পৃথিবীর প্রায় একশ ষাটটি দেশে বাংলাদেশে উৎপন্ন ওষুধ রপ্তানি হয় এবং বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধ বিশ্বমানের, এসব তথ্য উল্লেখ করে নামিবিয়ার রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানির অনুরোধ করেন। পাশাপাশি, কেনিয়ায় বাংলাদেশের ওষুধ কারখানা স্থাপনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে হাইকমিশনার নামিবিয়ায় বাংলাদেশি ওষুধ কারখানা নির্মাণেরও সুযোগ রয়েছে এবং এতে নামিবিয়া লাভবান হতে পারে বলে তিনি জানান।
নামিবিয়াতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানা স্থাপনে উভয় দেশই লাভবান হওয়ার প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, এতে নামিবিয়ার জনগণের ব্যাপক হারে কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং তারা এ শিল্পে দক্ষতা অর্জন করবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ নামিবিয়াতে পোশাক তৈরি করলে তা আফ্রিকান গ্রোথ অ্যান্ড অপরচুনিটি অ্যাক্ট-এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিনা শুল্কে প্রবেশাধিকার পাবে।
হাইকমিশনার বাংলাদেশ ও নামিবিয়ার মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর উপরও জোর দেন এবং এ বছরের মধ্যে নামিবিয়া থেকে বাংলাদেশে একটি উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল পাঠানোর জন্য নামিবিয়ার রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেন এবং নামিবিয়া চাইলে বাংলাদেশ থেকেও সরকারের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল আসতে পারে।
এনআই/জেডএস