আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার, পুলিশের ধারণা হত্যা

রাজধানীর দক্ষিণ সায়দাবাদের একটি আবাসিক হোটেল থেকে অজ্ঞাত (১২) এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও শিশুটির পায়ুপথে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে খবর পেয়ে সায়দাবাদের আনোয়ারা আবাসিক হোটেলের পাঁচতলার একটি কক্ষ থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য জন্য সন্ধ্যায় মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হাসান বশির। তিনি জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হোটেল কর্তৃপক্ষের সংবাদে ঘটনাস্থলে যাই। পরে ওই আবাসিক হোটেলের পাঁচতলার একটি কক্ষের বিছানায় ওই শিশুর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। তবে দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।

মো. হাসান বশির বলেন, দুই দিন আগে আল আমিন (৩০) নামের এক যুবক শিশুটিকে নিয়ে ওই হোটেলে উঠেছিলেন। তিনি একদিনের কথা বলে হোটেল ভাড়া নিয়েছিলেন। ১৩ জুলাই তাকে হোটেল কর্তৃপক্ষ কল করে। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানান রাতে আসবেন। কিন্তু রাতে না আসায় হোটেল কর্তৃপক্ষ পরদিন সোমবার (১৪ জুলাই) ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে রুমের তালা খুলে ভেতরে ঢুকে দেখে শিশুটি বিছানার ওপর পড়ে আছে। পরে খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া শিশুটির পায়ুপথে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। এ ছাড়া সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।

এসআই জানান, হোটেলে আল আমিনের দেওয়া ঠিকানাটি ভুয়া। তিনি আগেও এই হোটেলে বেশ কয়েকবার এসেছেন। তিনি হোটেলে যে নাম লিখেছেন সেটিও সঠিক নয়। আশা করি এ ঘটনায় জড়িত ওই যুবককে দ্রুত আইনে নিয়ে আসতে পারব।

এসএএ/এসএসএইচ