সাবেক মন্ত্রী গাজীর বিরুদ্ধে ৮৭ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে সিআইডির মামলা

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (৭৭) ও তার সাবেক পিএস এমদাদুল হক (৫২) সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডি।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানিয়েছে।
জসীম উদ্দিন খান বলেন, প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে অবৈধভাবে মোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি (যার বর্তমান সরকারি বাজারমূল্য ৮৬ কোটি ৭৮ লক্ষ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা) জবর দখল, হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডি।
মামলায় এজাহারনামীয় অভিযুক্তরা হলেন গোলাম দস্তগীর গাজী (৭৭), এমদাদুল হক (৫২), সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা (৫৭), তোফায়েল আহমেদ আলমাছ (৫৫), মো. মাহাবুবুর রহমান জাকারিয়া মোল্লা (৪৮), মো. আনছার আলী (৫৫), আলফাজ উদ্দিন (৬৩) ও দিমন ভূঁইয়া (৫৫)।
তিনি বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় ৭ থেকে ৮ জন ব্যক্তির সহায়তায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র গড়ে তোলে।
অপরাধ চক্রটি পরস্পর যোগসাজশে গত ২০১৫ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে ভিকটিম মো. শাহ আলমের ১২৪ শতাংশ, আব্দুস সোবহান মিয়ার ১০ শতাংশ, নাঈম প্রধানের ১৮ শতাংশ, হাসিনা বেগমের ৯ শতাংশ, আলেয়ার ৪৫ শতাংশ, ইয়াছিন প্রধানের ২৭.৫ শতাংশ, সানজুরা বেগমের ৪ শতাংশ, মো. আশরাফ উদ্দিন ভুইয়ার ৭২ শতাংশ, মোস্তফা মনোয়ার ভুইয়ার ৩৪৬ শতাংশ, মো. হাবিব খানের ১৮৩.৫ শতাংশ, রাশিদা ভুইয়ার ১২৪ শতাংশ, আমজাদ আলী ভুইয়ার ৭৬০.৫ শতাংশ, মোবারক ভুইয়ার ৩১ শতাংশ, নূর-ই-তাছলীম তাপসের ৪৩০.৭ শতাংশ, মো. মাহবুবুল হক ভুইয়ার ৭১.৪৭ শতাংশ এবং মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের ৬৫ শতাংশসহ সর্বমোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি যার বর্তমান মূল্য সরকারি দর অনুযায়ী ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা পরস্পর সংঘবদ্ধভাবে প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজির মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে অবৈধভাবে স্থাবর সম্পত্তি জবর দখল করে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে আদালত গত ৮ জুলাই মূলে সম্পত্তি ক্রোক করা আছে, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪০০ কোটি টাকা।
এমএসি/বিআরইউ