মোটরসাইকেলে ঘুরে ঘুরে ছিনতাই করে তারা

চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ চক্রটি দীর্ঘ দিন ধরে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার গতিরোধ করে ছিনতাই করে আসছিল।
শনিবার (২৬ জুন) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিন।
গ্রেফতার তিনজন হলেন : মো. আরমান আলী (২৩), মো. রফিকুল আলম (২৩) ও মো. আবু (২৬)। আসামি আরমানের বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় একটি মামলা আছে।
ওসি বলেন, এই চক্রটি কখনো রিকশার যাত্রীকে টার্গেট করে, কখনো সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা ব্যক্তিকে টার্গেট করে। আবার কখনো বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা নিয়ে বের হওয়া ব্যক্তিদের টার্গেট করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করত।
তিনি আরও বলেন, আসামিরা মোটরসাইকেলযোগে শহর ঘুরে বিভিন্ন ব্যাংক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করে। সেখানে যারা বড় অংকের টাকা উত্তোলন করে তাদের টার্গেট করে নিমিষেই তা ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৫ জুন) রাতে অভিযান চালিয়ে জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদের পশ্চিম গেইটের ১০০ গজ দক্ষিণে ফাঁকা জায়গায় থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় চক্রের আরও চার সদস্য পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, শুক্রবার ব্যাংক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগে তারা ডাকাতির উদ্দেশ্যে অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছিল।
ওসি নেজাম বলেন, আসামিরা পেশাদার ছিনতাইকারী ও ডাকাত দলের সদস্য। চট্টগ্রাম নগরীসহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দিনে ও রাতে ছিনতাই করে তারা। এ জন্য মোটরসাইকেলে করে রাস্তায় চলাচলরত সিএনজি অটোরিকশার গতিরোধ করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সবকিছু কেড়ে নিত তারা। চক্রের সদস্যরা একাধিক গ্রুপে ভাগ হয়ে ছিনতাই করত। এর মধ্যে একটি গ্রুপ ছিনতাই করত। আরেকটি তাদের ব্যাকআপ দিত। ছিনতাই শেষে মোটরসাইকেলযোগে দ্রুতই পালিয়ে যেত তারা।
ওসি বলেন, তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি এলজি, ৩ রাউন্ড কার্তুজ, ২টি টিপ ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। বাকি চারজনকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কেএম/এসকেডি