বৃষ্টি মাথায় ৫ কেজি চাল কেনার অপেক্ষায় তারা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। বন্ধ রয়েছে দেশের সব কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বিধিনিষেধে কাজ হারিয়ে অনেকেই পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এ অবস্থায় ন্যায্যমূল্যে চাল ও আটা কিনতে ভিড় করছে নিম্ন আয়ের মানুষ। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ৩০ টাকা কেজিতে চাল ও ২৩ টাকা কেজিতে আটা কেনেন তারা।
বুধবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোলা বাজারে (ওএমএস) ট্রাক সেলের সামনে দেখা গেছে এমন দৃশ্য।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দুপুর দেড়টায় রামপুরা এলাকায় ওএমএস ট্রাক সেলের সামনে মানুষের ভিড়। বৃষ্টিতে ভিজে ট্রাকের সামনে অপেক্ষা করছেন শতাধিক নারী ও পুরুষ। দুটি আলাদা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন তারা।

ওএমএসের চালের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন আসাদুল। তিনি বলেন, লেদের কারখানায় কাজ করতাম। বিধিনিষেধের কারণে কাজ কম। তাই আয় রোজগারও কমে গেছে। যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। বাজারে ৫০ টাকার নিচে চাল নেই। ৩০ টাকা করে পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারলে, বাজার থেকে ১০০ টাকা কম দাম পড়ে। এজন্য ওএমএসের চাল কিনতে লাইনে দাঁড়িয়েছি।
চাল ও আটা কিনতে আসা আরেক ক্রেতা হালিমা বেগম বলেন, ‘ঘরে ভাত রান্না করার মতো চাল নাই। দোকানে অনেক দাম। এখান থেকে নিলে কিছু কমে পাওয়া যায় তাই দাঁড়াইয়া আছি।’
হালিমা বেগম জানান, তিনি একটি দোকানে কাজ করেন আর তার স্বামী রিকশা চালক। বিধিনিষেধের কারণে দোকান বন্ধ। স্বামীর আয়ও কমে গেছে। এখন তাদের পাঁচজনের পরিবারের তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা করাই কষ্ট হয়ে যায়।

এদিকে ওএমএসের ডিলাররা জানান, লকডাউনের শুরু থেকেই ক্রেতাদের চাপ বেড়েছে। তারা যে চাল ও আটা বরাদ্দ পান, তা অল্প সময়ের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়।
বিক্রি পরিস্থিতি জানতে চাইলে রামপুরার ওএমএসের বিক্রেতা রুবেল বলেন, আজকে এক টন আটা ও দুই টন চাল বরাদ্দ পেয়েছি। এখানে আমরা সকাল ১০টার দিকে এসেছি। প্রথমে বৃষ্টির কারণে ক্রেতা কম ছিল। এখন বৃষ্টি কমায় ক্রেতাদের চাপ বেড়েছে। দুই ঘণ্টায় অর্ধেকের বেশি পণ্য বিক্রি হয়ে গেছে। আর ঘণ্টা খানেকের মধ্যে সব পণ্য বিক্রি হয়ে যাবে।
তিনি জানান, ৩০ টাকা কেজিতে চাল ও ২৩ টাকা কেজিতে আটা বিক্রি করা হচ্ছে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি চাল ও তিন কেজি আটা নিতে পারেন।
এসআই/এসকেডি