ফুলবাড়ী চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন চায় জাতীয় কমিটি

ফুলবাড়ী দিবস উপলক্ষে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ফুলবাড়ীর শহীদ তরিকুল, আল আমিন, সালেকিনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তারা। এ সময় শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও শহীদদের লাল সালাম জানানো হয়।
জাতীয় কমিটির পর বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ (মার্কসবাদী), জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, সাম্যবাদী আন্দোলন, গণমুক্তি ইউনিয়ন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, কমিউনিস্ট লীগসহ বিভিন্ন ছাত্র ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
ফুলবাড়ী চুক্তির ৬ দফার পূর্ণ বাস্তবায়ন দাবি করে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ফুলবাড়ী গণআন্দোলনের ১৬ বছর পার হলেও এখনো এশিযা এনার্জিকে বহিষ্কার করা হয়নি। উল্টো আন্দোলনকারীদের নামে একাধিক মামলা করা হয়েছে।
অবিলম্বে এসব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান প্রিন্স। তিনি বলেন, ফুলবাড়ী চুক্তিতে দেশে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা-তেল নিষিদ্ধ থাকার পরও বর্তমান বিদ্যুৎ সংকটে দেশ-বিদেশের কয়লা ব্যবসায়ী ও কমিশন এজেন্টরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
দেশের জাতীয় সম্পদের ওপর শতভাগ মালিকানা নিশ্চিত করে দেশের স্বার্থে সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের দাবি জানান প্রিন্স।
পুষ্পমাল্য অর্পণের সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কমিটির নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, সাইফুল হক, নজরুল ইসলাম, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, মাসুদ রানা, মাহিন উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট জমি, জলা, পানি, জনপদ, পরিবেশ ধ্বংস করে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে খনি বাস্তবায়নের প্রস্তাবকারী এশিয়া এনার্জি নামে একটি বহুজাতিক কোম্পানির ফুলবাড়ীর অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করতে গেলে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিছিলের ওপর টিয়ারশেল ও গুলিবর্ষণ করে। তরিকুল ইসলাম, আলআমিন ও সালেকিন নামে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
এএইচআর/আরএইচ