এমপি-মন্ত্রীর বাড়ি ভেঙে শহীদদের জন্য ভবন নির্মাণের দাবি হান্নানের

শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের বাড়ি ভেঙে জুলাই আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের জন্য ভবন নির্মাণ করে ফ্ল্যাট উপহার দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ।
বুধবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এমন আহ্বান জানান তিনি।
যেখানে হান্নান লেখেন, খুনি হাসিনাসহ সকল ভোটচোর ফ্যাসিস্ট এমপি-মন্ত্রীর আবাস ভেঙে সেখানে ভবন করে প্রতিটি শহীদ পরিবারকে ফ্ল্যাট উপহার দেয়া এখন সময়ের দাবি।
এর কিছুক্ষণ পরই অপর একটি স্ট্যাটাসে এই সমন্বয়ক লেখেন, এটা এই প্রজন্মের ক্ষোভ। বাপকে বেইচা মানুষকে গুম-খুন করার ক্ষোভ। চোখের সামনে তাদের ভাই-বোনদের রক্ত ঝরানোর ক্ষোভ। এটা যে কোনো স্বৈরাচারের-অত্যাচারীর জন্যে বড় শিক্ষা হয়ে থাকবে। যদিও কেউ-ই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না।
এদিকে বুধবার রাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সমন্বয়ক সারজিস আলম লিখেছেন, আবু জাহেলের বাড়ি এখন পাবলিক টয়লেট!
একই রকম স্ট্যাটাস দিতে দেখা গেছে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও নুসরাত তাবাচ্ছুমকেও। হাসনাত তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ। নুসরাত লিখেছেন, ৯টা বলে ৮টায় শুরু করার ধিক্কার জানাই! হায়রে মানোস (মানুষ)! ছিহ সমোন্নোয়ক (সমন্বয়ক) ছিহ!
আরও পড়ুন
সমন্বয়ক রিফাত রশিদ লিখেছেন, আওয়ামী মুজিববাদী ফ্যাসিবাদের কেবলা ধানমন্ডি ৩২ গুড়িয়ে দেয়ার জন্য সারাদেশের মানুষ জাতীয় ঐক্যমতে পৌঁছেছে এবং রাস্তায় নেমে এসেছে। এবার এই ঐক্যমতকে কাজে লাগিয়ে আওয়ামী লীগকে দলীয়ভাবে নিষিদ্ধ করার পালা। শুধুমাত্র ৩২ ভাঙার মধ্য দিয়ে এই জাতীয় ঐক্যকে জনতুষ্টির মাঝে হারিয়ে যেতে দেবো না আমরা। ছাত্রজনতা মাঠে আছে এইটার প্রমাণ ইন্টিরিম পেয়েছে। এবার বল তাদের কোর্টে, তারা কিভাবে নিজেদের কোর্টের বল খেলে সেদিকে আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি।
এর আগে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল অধিবেশনে যোগদানের ঘোষণা দেন। এর প্রতিবাদে বুধবার রাত ৯টার দিকে ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ (বুধবার) রাত ৮টার দিকে বাড়িটিতে প্রবেশ করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা। এরপর বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ভাঙচুর শুরু করেন তারা। এসময় প্রবেশমুখে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি ভেঙে ফেলা হয়। এরপর বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়।
এনএইচ