বিপ্লবী সরকার গঠন করতে পারলে আজ আর রাজপথে নামতে হতো না

৫ আগস্টের পর বিপ্লবী সরকার গঠন করতে পারলে আজ আর রাজপথে নামতে হতো না বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম ঘনিষ্ঠ ইসলামী বক্তা ও রাজনৈতিক কর্মী মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী। তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মে মাসে আমাদের রাজপথে নামতে হতো না, যদি আমরা হাসিনা পতনের পরে চুপ্পু সাহেবের জায়গাটা নাড়িয়ে দিতাম। এমনকি গত ৫ আগস্টের পরে যদি একটি বিপ্লবী সরকার গঠিত হতো তাহলেও বর্তমান রাজপথের আন্দোলন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না।
শনিবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে চলমান আন্দোলনের গণজমায়েতে তিনি এসব কথা বলেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে কারণ ছাত্র উপদেষ্টাসহ দু’একজন ছাড়া কাউকেই জুলাইয়ের চেতনায় বিশ্বাসী মনে হয় না। উপদেষ্টা পরিষদের অনেককেই হয়ত শেখ হাসিনা টিকে গেলে জেল খাটতে হতো না। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, শাপলা চত্বর, পিলখানা ও জুলাই গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, গত এক দশকে যারা নেতৃত্বে থেকেছেন, তারা যদি যথাসময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতেন, তাহলে রাজপথে আরেক দফা নামার প্রয়োজন হতো না। এখন আমাদের মেহনত, রক্ত ও সাহস দিয়ে আবারও শোষণের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হচ্ছে।
বক্তব্যের মাধ্যমে মাদানী মূলত বর্তমান রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অনাস্থা এবং জুলাই আন্দোলনের ব্যর্থতার জন্য অতীত সিদ্ধান্তকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে এখনই সময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য জাতীয় আন্দোলন গড়ে তোলার।
এসময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ এখন দুই ভাগে বিভক্ত– একদিকে ফ্যাসিবাদী শক্তি, অন্যদিকে বাংলাদেশি শক্তি। যারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে চায় না, তারা ফ্যাসিবাদী; আর যারা নিষিদ্ধ করতে চায়, তারা প্রকৃত বাংলাদেশি শক্তি।
জুলাই মাসে ঘোষিত ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রতি ইঙ্গিত করে এনসিপির এ নেতা বলেন, যতই ষড়যন্ত্র হোক, ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে কেউ আলাদা করতে পারবে না। আমি যদি পরবর্তী কর্মসূচি নাও দিতে পারি, আপনাদের মানজিলে মাকসুদ যেন হয়– আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা।
এসময় ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদীসহ অনেকেই আন্দোলনরতদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন।
টিআই/এসএসএইচ