টাকা জমিয়ে স্বপ্নপূরণের আশায় ৩০০ ফিটে দিনমজুর

মাত্র ৬০০ টাকা হাজিরায় শ্রম বেচেন মাসুম ফরাজি। এ উপার্জনেই চলে তার সংসার। কিন্তু তারেক রহমানের নিজ দেশে ফেরার কথা শুনে টাকা জমাতে শুরু করেন পঞ্চাশোর্ধ এই দিনমজুর। ছবিতে দেখা বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দুই নয়নজুড়ে দেখার আশায় ছয়দিনের মজুরি জমিয়ে আগেভাগেই ঢাকায় আসেন তিনি। তার মতো আরও অনেক শ্রমজীবীর দেখা মেলে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায়।
দীর্ঘ নির্বাসন শেষে স্বদেশে ফেরা তারেক রহমানকে এখানেই বরণ করে নিতে প্রস্তুত বিএনপি। অল্প সময়ের মধ্যেই ৩০০ ফিটে আয়োজিত সংবর্ধনা মঞ্চে আসবেন দলের এই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এরই মধ্যে বাংলাদেশে পৌঁছেছেন তিনি। তার অপেক্ষায় লাখো নেতাকর্মী।
নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বৃহস্পতিবার ৩০০ ফিট সড়ক পরিণত হয় জনসমুদ্রে। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত গোটা এলাকা। সংবর্ধনাস্থলসহ সড়কজুড়ে লাখো নেতাকর্মীর সরব উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে এখনও আসছেন বিভিন্ন জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীরা। এ যেন ঈদের আমেজ বইছে তাদের মনে। এই ভিড়ে দেখা মেলে মাসুম ফরাজির। শরীরে ধানের শীষ মোড়ানো এই বিএনপিপ্রেমীর সঙ্গে ছবি তোলেন অনেকে।
মাসুম ফরাজির বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলায়। কাজ করেন দৈনিক হাজিরায়। ৩০০ ফিটে আসার কারণ জানতে চাইলেই কেঁদে ওঠেন তিনি। মাসুম ফরাজি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছোটবেলা থেকেই বিএনপিকে ভালোবাসি। আমার পুরো পরিবার এ দলের সমর্থক। সেই ভালোবাসা থেকেই এখানে আসা।
তিনি বলেন, ছয়দিনের হাজিরা জমিয়ে তিন হাজার টাকা নিয়ে তারেক রহমানকে দেখতে এসেছি। বুধবার সকালে এখানে পৌঁছাই। কিন্তু মানুষের ভিড়ে সংবর্ধনাস্থল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারিনি। তারেক রহমানকে ছবিতে দেখে আসছি। বাস্তবে দেখার আশা নিয়ে এতদূর থেকে এলাম। কিন্তু একনজর না দেখলে কষ্ট রয়ে যাবে আজীবন। এসব বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন এই দিনমজুর।
আরেক বিএনপিপ্রেমী ইয়াছিন। তিনি এসেছেন রংপুর থেকে। কিন্তু জনস্রোত ঠেলে সংবর্ধনাস্থল পৌঁছাতে না পেরে ৩০০ ফিট সড়কের প্রবেশপথে লাগানো বড় পর্দার সামনে বসে তারেক রহমানকে দেখার অপেক্ষা করছেন। দীর্ঘ আকাঙ্ক্ষা বা প্রতীক্ষার অবসানের সাক্ষী হতেই তিনি এসেছেন বলে জানান তিনি।
এমআরআর/এমএসএ