ইতালির বাংলা স্কুলে একুশ উদযাপন

Dhaka Post Desk

জমির হোসেন, ইতালি

০২ মার্চ ২০২৩, ০৭:৪২ এএম


ইতালির বাংলা স্কুলে একুশ উদযাপন

ইতালির ভেনিস বাংলা স্কুলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে দিবসটি পালিত হয়।

এ সময় উপস্থিত প্রবাসীরা বলেন, ইতালির ভেনিস বাংলা স্কুলের অনুষ্ঠান মানেই কচি-কাঁচাদের আসর। এবারের একুশের অনুষ্ঠানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অভিবাসী শিশু কিশোর, অভিভাবক ও কমিউনিটির বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। উপস্থিত সবাই জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সময়ে দাঁড়িয়ে সম্মান জানান। এ সময় তারা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

ভেনিসের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা মেসত্রের প্রাণকেন্দ্রে এম নাইন হলে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। একুশের গান, দেশের গান, কবিতা, নৃত্য শেষে জাতীয় সংগীত প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। 

জমকালো এই একুশ উৎসবে সভাপতিত্ব করেন বাংলা স্কুলের সভাপতি সৈয়দ কামরুল সরোয়ার। প্রধান অতিথি ছিলেন ভেনিসের সাবেক সংসদ সদস্য নিকোলা পেল্লিকানি। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্কুল কমিটির উপদেষ্টা পলাশ রহমান ও নাজমুল আলম খন্দকার রিপন।

বক্তব্য রাখেন স্কুলের সিনিয়র সহসভাপতি এমডি আকতার উদ্দিন, সহসভাপতি নাসিরুদ্দিন পান্না, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ সোহেল মিয়া, শাহাদৎ হোসেন, স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আফাই আলি, শহিদুল ইসলাম সুজন, ফকরুল ইসলাম চৌধুরী, সুমন সরকার, কামরুজ্জামান উজ্জ্বল প্রমুখ।

জানা গেছে, গত ১৮ বছর ধরে পরিচালিত ভেনিস বাংলা স্কুলের সব অনুষ্ঠানে দলমত নির্বিশেষে কমিউনিটির সবাই যোগ দেন। নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করেন শেকড়ের সাথে জুড়ে থাকতে। বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাজি আল রোনাক, সহিদুল ইসলাম, রাসেদুল ইসলাম, রতন মিয়া প্রমুখ।

বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকের পাঠদান, দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির তালিম দেন তিন শিক্ষিকা- সুরাইয়া আক্তার, দিলরুবা জামান ও মেহেরুন নেছা মলি। তাদের অক্লান্ত সাধনার ফলে প্রবাসী শিশুরা মাতৃভাষার চর্চা করে, কথা বলতে পারে। দেশ চেনে, দেশের সংস্কৃতির সাথে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পরিচিত হয়। তাদের তিনজনকে বিশেষ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে আলাদাভাবে সম্মান জানানো হয়। পরে একুশের কবিতা, গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

ওএফ

Link copied