ইসলামাবাদে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত

পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সঙ্গে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) এ উপলক্ষ্যে বাণীপাঠ, আলোচনা ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা ও স্মরণসভা শুরু হয়। হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতির পিতা এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা পর্বে হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিকামী বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এরকম বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর নৃশংসভাবে হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ধারা সমুন্নত রেখে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানের আহ্বান জানিয়ে হাইকমিশনার তার বক্তব্য শেষ করেন।
পরিশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এসএসএইচ