নানা আয়োজনে মালদ্বীপে বিজয় দিবস উদযাপন

নানা আয়োজনে মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ৫২তম বিজয় দিবস উদযাপন করেছে মালদ্বীপের বাংলাদেশ হাইকমিশন। অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মালদ্বীপের রাজধানী মালের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে আয়োজন করা হয় সান্ধ্যকালীন আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হাইকমিশনের প্রথম সচিব ও দূতালয়ের প্রধান মো. সোহেল পারভেজ, প্রবাসী ব্যবসায়ী গ্লোবাল রিচ গ্রুপ অব কোম্পানির সিইও সিআইপি মোহাম্মদ সোহেল রানা, তৃতীয় সচিব চন্দন কুমার সাহা, মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মাদবর, সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন, মাস্টার মো. শফিকুর রহমান।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত শেষে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করেন মিশনের দ্বিতীয় সচিব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, প্রশাসনিক কর্মকর্তা শিরিন ফারজানা ও কল্যাণ সহকারী আল মামুন পাঠান।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মো. ইবাদ উল্লাহ। এতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন ডা. জেবা উন নাহার ও আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মাদবর।
প্রধান অতিথি বাংলাদেশ হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ তার বক্তব্যে শ্রদ্ধা সঙ্গে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ষড়যন্ত্রকারীরা হত্যা করলেও তার স্বপ্নকে হত্যা করা যাবে না।
দেশের ক্রমবর্ধমান বিভিন্ন উন্নয়ন ও বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়ে গুরত্বারোপ করে তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ ও তা পালনের ওপর গুরুত্ব প্রদান করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাঙালি আজ বিজয়ী জাতি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে সাড়ে সাত কোটি বাঙালি রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল সফল পরিসমাপ্তি ঘটে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে। বিশ্বকে কাঁপিয়ে বাঙালি জানিয়ে দেয় তার স্বতন্ত্র অস্তিত্বের কথা, বদলে যায় পৃথিবীর মানচিত্র, সৃষ্টি হয় এক নতুন ইতিহাস, স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা খচিত হয় বিশ্বের মানচিত্র।
সবশেষে বাংলাদেশ থেকে আগত বন্যা তালুকদারের নেতৃত্বে একঝাঁক উদীয়মান শিল্পীর পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি, স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
পিএইচ