স্পেনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উদযাপন

বাংলাদেশ দূতাবাস মাদ্রিদে দূতাবাসের শ্রম উইংয়ের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ উদযাপন করা হয়েছে। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে স্পেন থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পদক’ দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য, ‘প্রবাসী কর্মীরা উন্নয়নের অংশীদার সমুন্নত রাখব তাদের অধিকার’।
দিবসটি উপলক্ষ্যে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দূতাবাসের মিলনায়তনে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় প্রবাসী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পেনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি স্পেন প্রবাসী অভিবাসী কর্মী, তাদের সুহৃদ ও পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ অভিবাসন কার্যক্রম ও কল্যাণে যুক্ত সব জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

তিনি বলেন, জাতির পিতার অসামান্য নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। তার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি উন্নয়নের সিঁড়ি বেয়ে। দেশের সার্বিক এই অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসী কর্মীদের ও রয়েছে অসামান্য অবদান। স্পেনে বসবাসরত প্রায় ৬০ হাজার প্রবাসী তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করছেন।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সারা বিশ্বের অর্থনীতির মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিও কিছুটা চাপে পড়েছে। দেশের অর্থনীতির এই চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, স্পেন থেকে বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানো প্রতিবছর উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে। স্পেন থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮৪.৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈধভাবে দেশে এসেছে। অধিকসংখ্যক মানুষ যেন বৈধভাবে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহবোধ করে সেই জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পদক’ চালু করা হয়েছে।
এ বছর ব্যক্তি ক্যাটাগরিতে দিদারুল আলম প্রথম পুরস্কার এবং প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে আমানাহ মানি ট্রান্সফার প্রথম স্থান ও ভিক্টরি মানি ট্রান্সফার ও ট্রাভেলস দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। তিনি এই পুরস্কার অর্জন করায় তাদের শুভেচ্ছা জানান।

তিনি বলেন, স্পেন সহ ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে দক্ষ কর্মীর চাহিদা রয়েছে এবং বৈধ প্রক্রিয়ায় ভিসা নিয়ে প্রবাসীরা যেন ইউরোপিয়ান ইউনিউয়নভুক্ত দেশগুলোতে আসতে পারেন সেজন্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে মর্মে তিনি সবাইকে অবহিত করেন।
স্পেন প্রবাসীরা যেন দূতাবাসের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে পারেন এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স যেন তারা সহজে পান সেজন্য দূতাবাস আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে তিনি সবাইকে অবহিত করেন।
রাষ্টদূত প্রবাসীদের পরিবার স্পেনে আনার কার্যক্রম সহজিকরণ করার জন্য স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার বিষয় অবহিত করেন।
তিনি আরও বলেন, প্রবাসীদের কল্যাণে বাংলাদেশ সরকার নানাবিধ ভূমিকা রেখে চলেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে চালু করা হয়েছে পেনশন স্কিম, যার মধ্যে প্রবাস স্কিম চালু করা হয়েছে শুধুমাত্র প্রবাসীদের কল্যাণে। প্রবাসীরা ওই স্কিমে নিজে অংশগ্রহণ করতে পারেন অথবা পছন্দ অনুসারে অন্য যেকোনো স্কিমে নিজের কোনো নিকটাত্মীয়ের পক্ষেও অংশ নিতে পারেন।
এমএ