গ্রিসে বাংলাদেশ দূতাবাসে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন

‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গ্রিসে উৎসবমুখর পরিবেশে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন করা হয়েছে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় গ্রিসে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীদের অংশগ্রহণে এক আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয় তারুণ্য উৎসব ২০২৫।
গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ নিয়ে তাদের ভাবনা ও ভবিষ্যতে কেমন বাংলাদেশ দেখতে চায় এসব বিষয়ে মনোভাব প্রকাশ করেন গ্রিসে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোররা।

উৎসবটির বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট দুই চিত্রশিল্পী ভেরোনিকা আরগুয়েলো এবং শ্যারন, তারা তাদের শিল্পকলা ও চিত্রাঙ্কন কলাকৌশল তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এবং জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এ নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সাত জন তরুণ-তরুণী বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের চিন্তা ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন। অংশগ্রহণকারী নুসরাত জাহান স্নেহা ও মালিহা রহমান জুলাই-আগস্ট ২০২৪ অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট এবং এর সঙ্গে ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন ও ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় অধ্যায়ের তুলনা করেন। তারা বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত ও নৈরাজ্যমুক্ত একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।

ফাইজা মকলেছুর জেন জির ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, তরুণরা শিক্ষা, উদ্ভাবন, পরিবেশ সচেতনতা এবং সামাজিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা সম্প্রসারণ, পরিবেশ রক্ষার সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে তরুণ প্রজন্মই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনা বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তারুণ্যের শক্তি ও উদ্ভাবনী ক্ষমতার ওপর। তিনি উল্লেখ করেন, জুলাই অভ্যুত্থান ২০২৪-এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম দেশের স্বৈরাচার থেকে মুক্তি এনে সাম্য ও টেকসই অগ্রগতির ভিত্তি স্থাপন করেছে। তরুণদের এ সংগ্রামী চেতনা ও উদ্যোগকে আরও জাগ্রত করতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
এসএসএইচ