হিজরি নববর্ষের শুরুতেই যে পরিকল্পনা করবেন

নতুন বছরে সব পাপ পঙ্কিলতা থেকে পবিত্র হওয়ার পরিকল্পনা করা জরুরি। তওবা বা ক্ষমাপ্রার্থনা একজন মুসলমানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মহানবী (সা.) বলেছেন—
তোমরা আল্লাহর কাছে ইস্তেগফার (ক্ষমাপ্রার্থনা) করো, কেননা আমি নিজেও প্রতিদিন আল্লাহর কাছে ১০০ বার ইস্তেগফার (ক্ষমাপ্রার্থনা) করি। (সহিহ মুসলিম)
ইবন আতাআ বলেন, আল্লাহ তায়ালা বান্দার তওবা কবুল করেন, যত বড়ই পাপ হোক না কেন। তিনি সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেন। কেননা আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
কোরআনে আল্লাহ বলেন— বলুন, হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ; আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে হতাশ হয়ো না, নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা আয-যুমার, আয়াত : ৫৩)
আরও পড়ুন
নববর্ষ একজন মুসলিমের সামনে জীবনের পেছনের ভালো মন্দ নতুন করে ভাবার সুযোগ তৈরি করে দেয়। তার সমানে নতুন করে তওবার সুযোগ এনে দেয়। আল্লাহর কাছে তওবা গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য কিছু শর্ত মানতে হবে।
তওবার শর্তগুলো
১. গভীর অনুশোচনা : বিগত পাপের জন্য অন্তর থেকে অনুতপ্ত হওয়া।
২. পাপ ছেড়ে দেওয়া : পাপ থেকে পুরোপুরি সরে আসা এবং যে মাধ্যম বা পরিস্থিতিগুলো পাপে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয় তা থেকে দূরে সরে আসা।
৩. পুনরায় পাপ না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা : জীবনে আর কখনো পাপ না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করতে হবে এবং পূর্ববর্তী পাপ থেকে তওবার পর থেকেই ভালো কাজ শুরু করে দিতে হবে।
৪. মানুষের হক নষ্ট করলে তা পূরণ করা : অন্য কোনো মানুষের হক নষ্ট করলে অবশ্যই তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তওবা কবুল হওয়ার জন্য এটা জরুরি। কারণ আল্লাহ তায়ালা বান্দার হক মাফ করবেন না।
এই শর্তগুলো পূরণ করে অন্তর থেকে তওবা করলে আল্লাহ তায়ালা একজন মানুষকে নিষ্পাপ করে দেবেন। নবী করীম (সা.) বলেছেন—
যে ব্যক্তি পাপ থেকে তাওবা করে, সে সেই ব্যক্তির মতো, যে কোনো পাপই করেনি। (ইবন মাজাহ)
অ্যাবাউট ইসলাম অবলম্বনে