মহানবী (সা.) সাহাবিদের কাছে যে বায়াত নিয়েছেন

উবাদাহ ইবনু সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন সাহাবির উপস্থিতিতে বলেন—
বিজ্ঞাপন
তোমরা আমার কাছে এই মর্মে বায়াত গ্রহণ কর যে, আল্লাহর সঙ্গে কোন কিছুকে অংশীদার সাব্যস্ত করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না, তোমাদের সন্তানদের হত্যা করবে না, কারো প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপ করবে না এবং সৎকাজে নাফরমানী করবে না।
তোমাদের মধ্যে যে তা পূর্ণ করবে, তার পুরস্কার আল্লাহর নিকট রয়েছে। আর কেউ এর কোন একটিতে লিপ্ত হলো এবং দুনিয়াতে তার শাস্তি পেয়ে গেল, তবে তা হবে তার জন্য কাফফারা।
বিজ্ঞাপন
আর কেউ এর কোন একটিতে লিপ্ত হয়ে পড়ল এবং আল্লাহ তা অপ্রকাশিত রাখলেন, তবে তা আল্লাহর ইচ্ছাধীন। তিনি যদি চান, তাকে ক্ষমা করবেন আর যদি চান, তাকে শাস্তি প্রদান করবেন। আমরা এর উপর বায়াত গ্রহণ করলাম। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৮)
এই হাদিসে সাহাবায়ে কিরাম (রহ.)-এর কাছ থেকে বায়াত গ্রহণ করেছেন মহানবী (সা.)। তিনি গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি বিষয়ে বায়াত বা অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন। তা হলো—
বিজ্ঞাপন
১. শিরক না করা, ২. চুরি না করা, ৩. ব্যভিচার না করা, ৪. সন্তান হত্যা না করা, ৫. মিথ্যা অপবাদ না দেওয়া, ৬. সৎ কাজে নাফরমানি না করা। হাদিসে উল্লিখিত প্রথম পাঁচটি বিষয় স্পষ্ট হলেও শেষ বিষয়টি ব্যাখ্যাসাপেক্ষ। তাহলো, সৎ কাজে নাফরমানি না করা।
হাদিস বিশারদগণ বলেন, এর ব্যাখ্যা হলো, জেনে-বুঝে পাপ না করা, ঈমানের আহ্বান প্রত্যাখ্যান না এবং বিদয়াত না করা।
আরও পড়ুন
সাত কাজের আদেশ ও নিষেধ
বারা ইবনু আযিব (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সাতটি আদেশ ও সাতটি কাজ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি আমাদেরকে আদেশ করেছেন-
(১) রোগীর খোঁজ-খবর নিতে, (২) জানাজায় শরীক হতে, (৩) হাঁচির আলহামদুলিল্লাহ’র জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলতে, (৪) সালামের জবাব দিতে, (৫) দা’ওয়াত দিলে তা কবূল করতে, (৬) কসম করলে তা পূর্ণ করতে, (৭) মাজলুমের সাহায্য করতে।
এভাবে তিনি আমাদেরকে (১) সোনার আংটি পরতে, (২) রেশমের পোশাক, (৩) ইস্তিবরাক (মোটা রেশম), (৪) দীবাজ (পাতলা রেশম) পরতে, (৫) লাল নরম গদীতে বসতে, (৬) ক্বাস্সী ও (৭) রূপার পাত্র ব্যবহার করতে। (বুখারি, হাদিস : ১২৩৯)